ছবি: যুগান্তর
দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়ে রেখেছিলেন বাড়ির মালিক। এরই মধ্যে আগামী ৯ আগস্ট দলের প্রধান নুরুল হক নুর রাজশাহী আসতে চেয়েছেন। দলীয় কার্যালয়েও যেতে পারেন। এ অবস্থায় পুলিশের সহযোগিতায় রাজশাহীতে খোলা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মহানগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় তিনতলা একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলায় গণঅধিকার পরিষদের রাজশাহীর কার্যালয় খোলা হয়।
বাড়ির মালিক বলছেন, খেলোয়াড়রা থাকবেন বলে বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস পর তারা দেখেন সেখানে রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড। অফিসে কেউ আসতেন না, তারা ভাড়াও পেতেন না। তাই জিনিসপত্র চুরির ভয়ে সম্প্রতি তারা বাড়িতে আগের তালার ওপরে তালা মেরে দেন।
শনিবার সকালে গণঅধিকার পরিষদের রাজশাহীর নেতারা নগরের বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে তালা খুলতে পুলিশের সহযোগিতা চান। পরে দুপুরে মিজানুর রহমান নামের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) নেতাদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়টিতে আসেন। তিনি বাড়ির মালিককে ডেকে তালা খুলে দেন। এরপর ভেতরে দুইপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ সময় বাড়ির মালিক ফাতেমা আহমেদ বলেন, তিনি চার মাসের ভাড়া পাবেন। তাকে টাকা দিতে হবে। তবে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা দাবি করেন, চার মাস তারা কার্যালয় ব্যবহার করতে পারেননি। এজন্য ভাড়া দিতে পারবেন না। তবে তারা বিদ্যুৎ বিল দেবেন।
উভয়পক্ষের আলোচনায় বাড়ির মালিককে কিছু টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে দলটির কয়েকজন নেতা বলতে থাকেন, এসব নিয়ে নিউজ করা যাবে না। এতে দলের বদনাম হবে।
ফাতেমা আহমেদ জানান, বাচ্চু নামের এক ব্যক্তি বাড়ির দ্বিতীয়তলা ভাড়া নিয়েছিলেন এই বলে যে এখানে খেলোয়াড়রা থাকবেন আর স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করবেন। ৩০ হাজার টাকা জামানত দিয়েছিলেন। মাসিক ভাড়া ঠিক হয় ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু ভাড়া দেওয়ার পর কোনো খেলোয়াড় আসেননি। হঠাৎ তারা বাড়ির সামনে রাজনৈতিক দলের সাইনবোর্ড দেখেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া থানার এসআই মিজানুর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
গণঅধিকার পরিষদের রাজশাহীর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল বলেন, আগামী ৯ তারিখে আমাদের দলের প্রধান ভিপি নুর আসছেন। দলীয় কার্যালয় না থাকলে কেমন হয়, তাই পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তালা খুলেছি। আর দুই মাস সেখানে থাকব। তারপর অন্য কোথাও অফিস খুঁজে নেব।
প্রিন্ট