ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ Logo মহম্মদপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo দেশের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরাও প্রতারণার শিকার অনিক ও সোহেলের ভুয়া “প্রাচীন পিলার ও কয়েন” চক্র Logo দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রায় অর্ধশত বদলি বানিজ্য পিএইচডি জালিয়াতি-বদলি বানিজ্য-ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী Logo কাচিঘাটা রেঞ্জে গাছকাটা সিন্ডিকেটের তাণ্ডব রাতে চার–পাঁচশ গাছ উজাড়—বন রক্ষাকারীরাই অভিযুক্ত!** স্থানীয়দের অভিযোগ: “৫ আগস্টের পর এলাকা একেবারে মগের মুল্লুক—বন কেটে লুটে খাচ্ছে সবাই Logo চীনে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত Logo ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া Logo প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা জয় ও পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড Logo তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

গোপালগঞ্জে বলপ্রয়োগ হলেও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি : সেনা সদর

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:১৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৪০ ১৮৪৪.০০০ বার পড়া হয়েছে

দুই সপ্তাহ আগে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের সময় জীবননাশের হুমকি তৈরি হলে আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বল প্রয়োগ করলেও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি বলে জানিয়েছে সেনা সদর। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ছিল। যেখানে শুধুমাত্র ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়নি, ককটেলও নিক্ষেপ করা হয়েছে। যখন সেখানে জীবননাশের হুমকি ছিল, তখন আত্মরক্ষার্থে আমাদের যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ছিল তারা বল প্রয়োগ করেছে বা করতে বাধ্য হয়েছে। এখানে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি। খবর বিডিনিউজের।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে কী হয়েছিল, সেটার সত্যতা উদঘাটনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আমরা আশা করি এই তদন্ত কমিটি সত্য এবং সঠিক ঘটানো উন্মোচনে সক্ষম হবে। এনসিপির প্রতি সেনাবাহিনীর আলাদা নজর থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে কখনো কাউকে সহায়তা করিনি। আমাদের দায়িত্বের মধ্যে কাউকে বিশেষভাবে দেখি না। গোপালগঞ্জে যেটা হয়েছে ওইখানে ওই রাজনৈতিক দলের অনেকেরই জীবন নাশের হুমকি ছিল। তাদের জীবন বাঁচানোর জন্যই সেনাবাহিনী সহায়তা করেছে। এখানে জীবন বাঁচানোই মূল লক্ষ্য ছিল অন্য কিছু না।

মেজর সাদিক নামে একজন আওয়ামী লীগের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, এমন একটি বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কর্নেল শফিকুল বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়ে আমরা অবগত। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে বলতে পারব বিষয়টি পুরোপুরিভাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও কথা বলেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম–উদ–দৌলা।


প্রিন্ট
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান নাজিরের বদলী নিয়ে চরম অসন্তোষ

গোপালগঞ্জে বলপ্রয়োগ হলেও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি : সেনা সদর

আপডেট সময় ০৩:১৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

দুই সপ্তাহ আগে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের সময় জীবননাশের হুমকি তৈরি হলে আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বল প্রয়োগ করলেও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি বলে জানিয়েছে সেনা সদর। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ছিল। যেখানে শুধুমাত্র ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়নি, ককটেলও নিক্ষেপ করা হয়েছে। যখন সেখানে জীবননাশের হুমকি ছিল, তখন আত্মরক্ষার্থে আমাদের যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ছিল তারা বল প্রয়োগ করেছে বা করতে বাধ্য হয়েছে। এখানে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি। খবর বিডিনিউজের।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে কী হয়েছিল, সেটার সত্যতা উদঘাটনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আমরা আশা করি এই তদন্ত কমিটি সত্য এবং সঠিক ঘটানো উন্মোচনে সক্ষম হবে। এনসিপির প্রতি সেনাবাহিনীর আলাদা নজর থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে কখনো কাউকে সহায়তা করিনি। আমাদের দায়িত্বের মধ্যে কাউকে বিশেষভাবে দেখি না। গোপালগঞ্জে যেটা হয়েছে ওইখানে ওই রাজনৈতিক দলের অনেকেরই জীবন নাশের হুমকি ছিল। তাদের জীবন বাঁচানোর জন্যই সেনাবাহিনী সহায়তা করেছে। এখানে জীবন বাঁচানোই মূল লক্ষ্য ছিল অন্য কিছু না।

মেজর সাদিক নামে একজন আওয়ামী লীগের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, এমন একটি বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কর্নেল শফিকুল বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়ে আমরা অবগত। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে বলতে পারব বিষয়টি পুরোপুরিভাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও কথা বলেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম–উদ–দৌলা।


প্রিন্ট