গত সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে প্রায় ১২টা পর্যন্ত পৌর সদরের বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালত প্রাঙ্গণে এক আসামির জামিনের বিষয় নিয়ে পৌরসভার নগর গ্রামের বাসিন্দা রশিদ মিয়ার পুত্র ও সাবেক কলেজ ছাত্রদল নেতা ফখরুল ইসলামের সাথে পৌরসভার আজিমনগর গ্রামের কুতুব মিয়ার পুত্র যুবদল নেতা মারুফ আহমদের বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারুফকে মারধর করেন ফখরুল। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মারুফের পক্ষের কয়েকজন ফকরুলের বিরুদ্ধে পৌর সদরে মিছিল করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। টানা চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত তিনশতাধিক লোক আহত হন।এরি জেরে আজও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পেীরএলাকা থমথমে বিরাজ করছে যে কোন সময় হতে পারে সাম্প্রদায়িক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষর মত ঘটনা। শালিশের জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করেন। এই বিষয় নিয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান উভপক্ষে নিয়ে বসে আলোচনা হয়েছে আর কোন সংঘর্ষ যেন না হয়। প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে ও পুলিশ মহরায় আছে, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
প্রিন্ট