বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, এখনো সবার জন্য সমান সুযোগ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি। তবে নির্বাচন হলে জামায়াত অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২০তম দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যদি নির্বাচন হয়, তাহলে জামায়াতের ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনই হবে প্রথম এজেন্ডা। একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে রায় দেবে, জামায়াত তা মেনে নেবে।’
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) প্রসঙ্গে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “পূর্বে পিএসসিতে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মত করে লোক বসিয়েছে। আমরা চাই একটি স্বচ্ছ, মেধাভিত্তিক ও নিরপেক্ষ পিএসসি—যাতে প্রশাসনে আর কোনো ‘স্বৈরাচারী প্রেতাত্মা’ শাসন করতে না পারে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বহু মেধাবী তরুণ চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বা চাকরি হারিয়েছেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্র।’
প্রশাসনে মেধার মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তাহের বলেন, ‘বর্তমান পদ্ধতিতে নিয়োগ অনেক সময় হয় ‘ড্রয়ারের একটি স্লিপ’ থেকে। আমরা চাই সংবিধানে সুরক্ষিত, স্বাধীন পিএসসি—যেখানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বা কোনো দলের হস্তক্ষেপ থাকবে না।’
দিনব্যাপী আলোচনায় সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান—বিশেষ করে পিএসসি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহাহিসাবরক্ষক ও ওমবাডসম্যান—সংস্কার ও সংবিধানে সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ প্রসঙ্গে তাহের বলেন, ‘অধিকাংশ দল এসব প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক সুরক্ষার পক্ষে। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি দল আইন দিয়ে সুরক্ষার প্রস্তাব দিয়েছে, কারণ সংবিধান পরিবর্তন কঠিন। আমাদের মত হলো—সংবিধানে রাখতে হবে, যাতে স্থায়িত্ব থাকে এবং দলীয় স্বার্থে পরিবর্তনের সুযোগ না থাকে।’
বিএনপির ওয়াকআউট প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা বলেন, ‘তারা পুরো অনুষ্ঠান বর্জন করেনি, পরে অংশ নিয়েছে—এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা সরকার বা বিরোধী দল নয়, প্রস্তাবের উপযোগিতাকে বিবেচনা করি।
প্রিন্ট