রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেবে মিয়ানমার
- আপডেট টাইম : ০৯:২০:৫৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
- / ৫৩০ ৫০০০.০ বার পাঠক
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে দ্রুত তাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মায়িন্ত হাতুই। এজন্য তারা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলেও তিনি জানান। শনিবার রাশিয়ার মস্কোতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ নাসিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে সে দেশের মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সব রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে তাদের বাসস্থানসহ খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন যাবত নিজ দেশেই স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত থেকে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগে ভূগছে। পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাই তাদের নাই সে দেশের সরকারের অবহেলার কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতায় তারা বাংলাদেশে আশ্রয়, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অন্য দেশের প্রায় আট লাখ নাগরিকদের জন্য এভাবে সাহায্য চালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের মতো সীমিত সম্পদের দেশের সম্ভব না। তাই অবিলম্বে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করার জন্য তিনি মিয়ানমারের মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেডরোস এডহানম গেব্রেইসাস এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অর্জনগুলো তুলে ধরে এক্ষেত্রে সহায়তা করায় সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আগামীতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কেও অবহিত করে সংস্থার অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাফল্য যেমন বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়, তেমনি মানসিক বৈকল্য ও অটিজম বিষয়ে বিশ্বনেতাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে জাতিসংঘে অটিজমবিষয়ক কয়েকটি প্রস্তাবনা পাসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অটিস্টিকদের পুনর্বাসন ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী কন্যা, জাতিসংঘের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের অবদান অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।
রাশিয়ার মস্কোতে চলমান ‘টেকসই উন্নয়নের যুগে টিবি নির্মূলে করণীয়’ বিষয়কমন্ত্রী পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন। গত ১৬ নভেম্বর সম্মেলন শুরু হয়। একশ’রও বেশি দেশের মন্ত্রী ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।