ভোলা এওয়াজপুরের লিটন মেম্বার ইয়াবাসহ ধরা পড়েছে।
- আপডেট টাইম : ০৫:১২:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
- / ৩৭১ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরিশাল, রিপোর্টার।।
সন্ত্রাসবাদী ভোলা জেলার সন্ত্রাসবাদী চরফ্যাশন উপজেলার সন্ত্রাসবাদী শশীভূষন থানার সন্ত্রাসবাদী এওয়াজপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসবাদী দুই নং ওয়ার্ডের কন্ডম মেম্বার জালাল আহমেদ দালালের পুত্র লিটন মেম্বার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২১/০৪/২০২১ ইং তারিখে সকাল বেলা ধরা পরার পর এওয়াজপুর ইউনিয়নের ব্যক্তিগত জীবনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম খোকন এর শশীভূষন বাজারের অফিসে (চেম্বারে) নেওয়া হয়। সেখানে সাহাবুদ্দিন লিটন সকাল বেলার বিলম্ব নাস্তার রীতিমত গনধোলাই খেয়ে ব্যাপক নাস্তানাবুদ হয়। পুলিশের হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে শশীভূষন বাজার দিয়ে তাকে নিকটস্থ শশীভূষন থানায় নেওয়ার প্রাক্কালে আইনী জটিলতায় বিভিন্ন লোকজনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার ফন্দিতে ঘটনার দিনই পুলিশের সহায়তায় তাকে তার পৈতৃক নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেলা দেড়টা পর্যন্ত সে চোরের মত বাড়ীতে ছিল। দুই টার পর থেকে তাকে আর তার বাড়ীতে আছে বলে খোঁজ খবর পাওয়া যায় নাই। বিকাল বেলা লোকজনের কথিত সূত্রে শুনা গেছে যে, চিকিৎসার জন্য চরফ্যাশন হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা সম্ভব হয় নাই। তাই তাকে ভোলা জেলা সদরের অজ্ঞাতনামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। তার পারিবারিক সূত্রের অনেকে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারে নাই। কি হতে কি হয়েছে, কে হতে কারা মেরেছে এই ব্যাপারেও ব্যাপক ধোঁয়াশা রয়েছে। অন্যদিকে শুনা যায় যে, গত এক মাস আগে সে স্থানীয় আওয়ামীলীগ হতে বহিস্কার হয়েছে। এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি পদ থেকে বাতিল হয়েছে। শশীভূষনের গনধর্ষণখানা নামে পরিচিত বেগম রহিমা ইসলাম মহিলা কলেজের দপ্তরি পদবী থেকেও বাতিল হয়েছে। তার ভাতিজা জিহাদকে ঐ কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বাতিল করা হয়েছে। এদিকে সে একবার মেম্বার হওয়ার পরবর্তী দ্বিতীয়বারে এলাকার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের একজন মেম্বার পদ প্রার্থী। চলমান করোনা লকডাউনের কারনে উক্ত নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। তার ভোটার জনগনের সাথে তার নির্বাচনী প্রেমপর্ব চলাকালে এলাকায় একাধিকবার হামলা ও আক্রমনের মুখে পড়ার কথা সে নিজেও বহুবার এলাকায় বলেছিল। তার প্রথমবারের মেম্বারী নির্বাচনের দিন সে নির্বাচনী সহিংসতায় অংশ নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রায় আড়াই ডজন জঘন্য হত্যাপ্রচেষ্টাকান্ড ঘটায়। তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল একাধিক প্রার্থী। চলমান পেন্ডিং নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী শুধু একজন। গত নির্বাচনের দিন সে যাদের সেল্টারে হত্যাপ্রচেষ্টাকান্ড করেছে এইবারের নির্বাচনে তারা তার প্রতিপক্ষকে শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, এলাকায় তার টিকে থাকার লড়াইয়ে পরিস্থিতির বদল ঘটেছে। গত ২০/০৪/২০২১ ইং তারিখ দিনগত রাতে তার নির্বাচনী কর্মী, এলাকার বিশিষ্ট লুইচ্ছা বাহিনীর লোক মতিন দেওয়ান এর ডাকে সাড়া দিয়ে দেওয়ান বাড়ীতে গিয়ে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের আচার-বিচারে মতিন দেওয়ানের বড়ভাই মোস্তফা দেওয়ানকে চড়-থাপ্পর-কিল-ঘুষির হুমকি-হামকি করেছিল বলে খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই ঘটনার পর দর্জি বাড়ীর পশ্চিমের হালটের দোকানের সামনে গিয়ে সন্ত্রাসবাদী চরফ্যাশন-মনপুরার উপজেলার এমপির মাকে গালিগালাজ করার খবর পাওয়া গেছে। চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়রকে গালিগালাজ করার খবর পাওয়া গেছে। মূলত: লিটন চরফ্যাশন-মনপুরা উপজেলার এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর মত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে থাকা হেফাজতে ইসলামের গোয়েন্দা কর্মী। সেই জন্য গত টার্মে সে এলাকার মেম্বার হওয়ার জন্য জ্যাকব এমপির নমিনেশন পেয়েছিল। বর্তমানের পেন্ডিং নির্বাচনে সেই সমর্থন পাওয়ার সকল সম্ভাবনা রাজনীতির ব্যাপক কাঁদার জলে ঘোলা। তার সাথে ঘটে যাওয়া নির্বাচনী প্রেমপর্বের সহিংসতায় শশীভূষন থানায় তার একটি মামলার খবর পাওয়া গেছে। সেই মামলায় সে যাদেরকে আসামী করেছে তারা গত ২১/০৪/২০২১ ইং তারিখের ঘটনায় মুখ খুলতে নারাজ। এদিকে মোস্তফা দেওয়ানের সমর্থিত সাহাবুদ্দিন পন্ডিতের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ গত একুশ তারিখের ঘটনার পর থেকে মোস্তফা দেওয়ান বাড়ীর লোকজন ঐ ব্যাপারে কোন উক্তি করা এড়িয়ে চলার ভাব ধারন করেছে। আর ঘটনা ঘটানোর কাজে তাদেরকে কিছু দৌড়ঝাঁপে নিয়োজিত দেখা গেছে। লিটন মেম্বারকে নাস্তানাবুদ করার ব্যাপারে- কে বা কারা করাতে পারে সেই ব্যাপারে দেওয়ান বাড়ীর লোকজনের সাথে কথা বলার জন্য ব্যাপক দেনদরবারের জন্য ঘুরপাক করেও কোন লাভ হয় নাই। তবে রফিক দেওয়ান আরগোট ল্যাগুয়েজে কিছু বলেছে। তবে পুরো ঘটনাটা এলাকার চেয়ারম্যান হতে চাওয়া রেজাউল করিম ও কামাল পাটোয়ারী সহ অন্যান্য সম্ভাব্য কারো না কারো চাল, বেড়া, দরজা, সিড়ি, ডরমেটরি, নাটাই ও হাতিয়ার কিনা ধারনা করা হলেও এখনো অনুমান করা যায় নাই। ছবিতে নাস্তানাবুদ লিটনকে হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় দেখা যায়।