সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কোন বিভেদ নেই: সেনাবাহিনী

- আপডেট টাইম : ০১:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / ১০ ১৫০.০০০ বার পাঠক
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো মতপার্থক্য বা বিভেদ নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সরকারের নির্দেশনা মেনেই বাহিনীর সদস্যরা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।
সোমবার দুপুরে ঢাকায় সেনা সদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
“যেভাবে বলা হচ্ছে, সরকারের সাথে সেনাবাহিনীর বিশাল মতপার্থক্য হয়েছে, বিভেদ হয়েছে। যেটা দেখছি মিডিয়াতে…এরকম আসলে কিছু হয়নি। সরকার এবং সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে। সুতরাং এটা নিয়ে মিস ইন্টারপ্রেট (ভুলভাবে ব্যাখ্যা) করার কোনো সুযোগ নেই,” সাংবাদিকদের বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যেন এটাকে এমনভাবে না দেখি যে, সরকার এবং সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে বা একে অপরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে। এটা কখনোই নয়। সরকার সেনাবাহিনী একই সাথে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও সুন্দরভাবে কাজ করে যাবো বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”
রাখাইনের মানবিক করিডর ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে আরেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “করিডর একটু স্পর্শকাতর বিষয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো কাজে সম্পৃক্ত হবে না।”
সীমান্তে পুশ-ইনের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যে পুশ-ইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি বন্ধ করতে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন পড়লে সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী সেখানেও যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন এই সেনা কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়া গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি সত্য কী-না তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।
এছাড়া মব তৈরি করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। গত কয়েক মাসে সেনা অভিযানে বিভিন্ন মামলার তালিকাভুক্ত আসামিসহ ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।