ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মঠবাড়িয়া সাংবাদিক কন্যা স্কুলছাত্রী ঊর্মির ধর্ষক ও হত্যাকারী ছগীরের ফাঁসির দাবিতে এবং সারা দেশের ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল নাসিরনগরে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২৯ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদকদ্রব্য সহ ১জন আটক জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানাল জামায়াত জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক সংস্কারের কথা সবার আগে বলেছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল বিগত সরকারের সময় অর্থনৈতিক তথ্য ছিল ‘গোঁজামিল নির্ভর’ গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রেন্ট এ কারের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে জুলাই গণঅভুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে নান্দাইলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে ॥ স্বাস্থ্য ডিজি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩৪৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে আমাদের চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কিছু কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, করোনা মহামারিতে সাংবাদিকদের আমরা শুরু থেকেই সহযোদ্ধা হিসেবে দেখেছি। তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে এই সময়েও কিছু কিছু মিডিয়া সমালোচনার মাধ্যমে আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। আমরা যদি ভুল করে থাকি তাহলে সমালোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে কেউ যদি না জেনে, না বুঝে, বিস্তারিত খোঁজ না নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাহলে আমরা ঠিক থাকতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এ অবস্থায় মানুষকে বিভ্রান্ত না করে, আমাদের মনোবল না ভেঙে, আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় কাজ করছি। আমাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তারপরও মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, আমাদের ভুল হতেই পারে। সেটা আমাদের ধরিয়ে দিলে আমরা শুধরে নিতে পারব। কিন্তু সমালোচনা না করে এ অবস্থায় আমাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

বসুন্ধরার করোনা হাসপাতাল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল যে পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল, সেই অবস্থা পরবর্তী সময়ে না থাকায় আমরা সেটিকে উঠিয়ে নিয়েছি। সেখানকার সব যন্ত্রপাতি সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ছড়িয়ে দিয়েছি। একটি টিস্যু পেপার বক্স কোথায় দেওয়া হয়েছে, আমাদের কাছে সেই তালিকাও আছে। আপনারা চাইলে সেগুলো নিতে পারেন। বসুন্ধরার কোভিড হাসপাতাল পরিচালনা করতে প্রতি মাসে ৬০ লাখের বেশি টাকা খরচ হতো। কিন্তু রোগী ছিল মাত্র ১৫ থেকে ২০ জনের মতো। হাসপাতালটিতে চিকিৎসক-নার্সসহ ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ জনবল ছিল। এছাড়া নিরাপত্তাকর্মীসহ হাজারের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেখানে কর্মরত ছিল। রোগী কম থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ না করে এর ব্যয়ভার বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই অবস্থায় আমরা বাধ্য হয়েই হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছি।

স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক আরও বলেন, ডিএনসিসি করোনা হাসপাতাল নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সমালোচনা করা হয়েছে। কোনো রকম খোঁজ না নিয়েই সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, আমরা আগের স্থাপনা ব্যবহার না করে নতুন স্থাপনা ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের অর্থ ব্যয় করছি। কিন্তু আপনারা জানবেন যে আগের যে স্থাপনা (ডিএনসিসির আইসোলেশন সেন্টার) সেখানে আমাদের ২০০ শয্যার আইসিইউ রয়েছে। নতুন করে নয় তলায় আমরা আরও সাড়ে ৯০০ শয্যার বিছানা দিয়েছি। প্রতিটি বিছানায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলে এ হাসপাতালে ২০০ সহ আরও সাড়ে ৯০০ শয্যার যে হাসপাতাল তৈরি হয়েছে এটা কি আগের স্থাপনায় ব্যবস্থা করা যেত?

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, অধিদফতরের পরিচালক (টিকাদান) ডা. শামসুল হক প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে ॥ স্বাস্থ্য ডিজি

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে আমাদের চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কিছু কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, করোনা মহামারিতে সাংবাদিকদের আমরা শুরু থেকেই সহযোদ্ধা হিসেবে দেখেছি। তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে এই সময়েও কিছু কিছু মিডিয়া সমালোচনার মাধ্যমে আমাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। আমরা যদি ভুল করে থাকি তাহলে সমালোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে কেউ যদি না জেনে, না বুঝে, বিস্তারিত খোঁজ না নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাহলে আমরা ঠিক থাকতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এ অবস্থায় মানুষকে বিভ্রান্ত না করে, আমাদের মনোবল না ভেঙে, আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় কাজ করছি। আমাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তারপরও মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, আমাদের ভুল হতেই পারে। সেটা আমাদের ধরিয়ে দিলে আমরা শুধরে নিতে পারব। কিন্তু সমালোচনা না করে এ অবস্থায় আমাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

বসুন্ধরার করোনা হাসপাতাল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা করোনা হাসপাতাল যে পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল, সেই অবস্থা পরবর্তী সময়ে না থাকায় আমরা সেটিকে উঠিয়ে নিয়েছি। সেখানকার সব যন্ত্রপাতি সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ছড়িয়ে দিয়েছি। একটি টিস্যু পেপার বক্স কোথায় দেওয়া হয়েছে, আমাদের কাছে সেই তালিকাও আছে। আপনারা চাইলে সেগুলো নিতে পারেন। বসুন্ধরার কোভিড হাসপাতাল পরিচালনা করতে প্রতি মাসে ৬০ লাখের বেশি টাকা খরচ হতো। কিন্তু রোগী ছিল মাত্র ১৫ থেকে ২০ জনের মতো। হাসপাতালটিতে চিকিৎসক-নার্সসহ ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ জনবল ছিল। এছাড়া নিরাপত্তাকর্মীসহ হাজারের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেখানে কর্মরত ছিল। রোগী কম থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ না করে এর ব্যয়ভার বহন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই অবস্থায় আমরা বাধ্য হয়েই হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছি।

স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক আরও বলেন, ডিএনসিসি করোনা হাসপাতাল নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সমালোচনা করা হয়েছে। কোনো রকম খোঁজ না নিয়েই সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, আমরা আগের স্থাপনা ব্যবহার না করে নতুন স্থাপনা ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের অর্থ ব্যয় করছি। কিন্তু আপনারা জানবেন যে আগের যে স্থাপনা (ডিএনসিসির আইসোলেশন সেন্টার) সেখানে আমাদের ২০০ শয্যার আইসিইউ রয়েছে। নতুন করে নয় তলায় আমরা আরও সাড়ে ৯০০ শয্যার বিছানা দিয়েছি। প্রতিটি বিছানায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলে এ হাসপাতালে ২০০ সহ আরও সাড়ে ৯০০ শয্যার যে হাসপাতাল তৈরি হয়েছে এটা কি আগের স্থাপনায় ব্যবস্থা করা যেত?

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, অধিদফতরের পরিচালক (টিকাদান) ডা. শামসুল হক প্রমুখ।