ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহ আলম ও কথিত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা -পর্ব ১ সিটি কলেজ-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হঠাৎ বিসিবিতে অভিযানে দুদক তরমুজ যেভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠল নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোওয়ার ও মেহেরুন রুনি রাষ্ট্র সংস্কারে সবার লক্ষ্য এক, জাতীয় সনদ শিগগিরই : আলী রীয়াজ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উদযাপন।পাহাড়পুরেও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান উদযাপন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে পাবনার বেড়া মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে ধামরাইয়ে আব্দুল হাই স্মরণে ১৫তম ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা ও আনন্দ মেলা অনুষ্ঠিত আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই – সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: প্রধান আসামি হিটু শেখ ৭ দিনের রিমান্ডে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / ২২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখের ৭ দিন এবং বাকি ৩ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৯ মার্চ) মধ্যরাতে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার ৪ আসামি আগেই হেফাজতে ছিলেন। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন— শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর (১৭) ও তাদের মা জাবেদা বেগম (৪০)।

এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে শিশুটির মা উল্লেখ করেন, বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি হিটুর স্ত্রী ও আরেক ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, চার মাস আগে বড় মেয়ের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। এর পর থেকে বড় মেয়েকে তার শ্বশুর অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিবাদ করেননি।

মামলায় বলা হয়েছে, বুধবার রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে শিশুটি ঘুমায়। রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই। মেঝেতে পড়ে আছে। তখন সে বড় বোনকে জানায়, গোপনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। বিষয়টি হালকাভাবে নেন তিনি।

পরদিন সকাল ৬টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে একই কথা জানান। তখন তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলে শিশুটি জানায়, রাতে দুলাভাই দরজা খুলে দিয়েছিল। তখন তার বাবা (হিটু শেখ) তার মুখ চেপে ধরে অন্য কক্ষে নিয়ে যায়। এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে গলা চেপে ধরা হয়েছিল। পরে তাকে বোনের কক্ষে ফেলে রেখে যায় হিটু শেখ। বোন বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানাতে গেলে সজীব ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করেন। ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। পরে দুই বোনকে দুই কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সজিবের মা মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: প্রধান আসামি হিটু শেখ ৭ দিনের রিমান্ডে

আপডেট টাইম : ০৬:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখের ৭ দিন এবং বাকি ৩ আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৯ মার্চ) মধ্যরাতে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার ৪ আসামি আগেই হেফাজতে ছিলেন। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন— শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর (১৭) ও তাদের মা জাবেদা বেগম (৪০)।

এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে শিশুটির মা উল্লেখ করেন, বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি হিটুর স্ত্রী ও আরেক ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, চার মাস আগে বড় মেয়ের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। এর পর থেকে বড় মেয়েকে তার শ্বশুর অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিবাদ করেননি।

মামলায় বলা হয়েছে, বুধবার রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে শিশুটি ঘুমায়। রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই। মেঝেতে পড়ে আছে। তখন সে বড় বোনকে জানায়, গোপনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। বিষয়টি হালকাভাবে নেন তিনি।

পরদিন সকাল ৬টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে একই কথা জানান। তখন তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলে শিশুটি জানায়, রাতে দুলাভাই দরজা খুলে দিয়েছিল। তখন তার বাবা (হিটু শেখ) তার মুখ চেপে ধরে অন্য কক্ষে নিয়ে যায়। এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে গলা চেপে ধরা হয়েছিল। পরে তাকে বোনের কক্ষে ফেলে রেখে যায় হিটু শেখ। বোন বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানাতে গেলে সজীব ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করেন। ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। পরে দুই বোনকে দুই কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সজিবের মা মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তিনি।