ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রাজশাহীতে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় নার্সের ধর্ষণ মামলা

  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৫৪ ৫০০.০০০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥

রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রবিবার রাতে পুঠিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক সিনিয়র নার্স। ওই নার্স পুঠিয়ার একটি ক্লিনিকে কাজ করতেন।

ভুক্তভোগী নার্স দুর্গাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকার জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটে কর্মরত। তার দাবি, ২০১৯ সালে তিনি পুঠিয়ায় একটি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় মেয়র মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি তিনি বিয়ের জন্য মেয়র মামুনকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন।

নিরুপায় হয়ে রবিবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে তিনি মেয়র মামুনের পুঠিয়া সদরের চেম্বারে হাজির হন। কিন্তু তাকে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

পুঠিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, পরে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। রাতে তিনি বাদী হয়ে মেয়রের নামে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে কয়েকবার চেষ্টা করেও মেয়র আল মামুন খানের মোবাইলফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ডিসেম্বর সর্বশেষ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবিকে হারিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আল মামুন খান। আগের মেয়াদের নির্বাচনেরও জয় পান মামুন খান। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে চেয়ার হারান তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় নার্সের ধর্ষণ মামলা

আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥

রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রবিবার রাতে পুঠিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক সিনিয়র নার্স। ওই নার্স পুঠিয়ার একটি ক্লিনিকে কাজ করতেন।

ভুক্তভোগী নার্স দুর্গাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকার জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটে কর্মরত। তার দাবি, ২০১৯ সালে তিনি পুঠিয়ায় একটি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় মেয়র মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি তিনি বিয়ের জন্য মেয়র মামুনকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন।

নিরুপায় হয়ে রবিবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে তিনি মেয়র মামুনের পুঠিয়া সদরের চেম্বারে হাজির হন। কিন্তু তাকে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

পুঠিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, পরে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। রাতে তিনি বাদী হয়ে মেয়রের নামে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে কয়েকবার চেষ্টা করেও মেয়র আল মামুন খানের মোবাইলফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ডিসেম্বর সর্বশেষ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবিকে হারিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আল মামুন খান। আগের মেয়াদের নির্বাচনেরও জয় পান মামুন খান। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে চেয়ার হারান তিনি।