ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: ড. ইউনূস ভারত মহাসাগরের যে ঘাঁটি থেকে ইরানকে টার্গেট করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা শ্রমিকের মৃত্যু গাজীপুরে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত -২ ফের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে গাজায় ইংল্যান্ডে ঘাপটি মেরে আছে জার্মানির গুপ্তচর নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় এ আর মামুন খানের উদ্যোগে ছয় সাংবাদিক সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মোংলায় সাংবাদিকদের সম্মানে শেখ ফরিদুল ইসলামের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ব্যাংক লেনদেনের ৮৪ শতাংশই ডিজিটালি হচ্ছে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

দেশের ব্যাংক লেনদেনের ৮৪ শতাংশই ডিজাটালি পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ হচ্ছে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এবং ২৮ শতাংশ হচ্ছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে। আর ডিজিটাল লেনদেনের ৬৯ শতাংশ আরটিজিএস সিস্টেমে এবং ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হোটেল সোনরাগাঁও ‘ট্রান্সফর্মিং দ্য পেমেন্ট ল্যান্ডস্কেপ : অ্যান ইরা অব ইভ্যুলিউশন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্তি পরিচালক মো. খাইরুল এনাম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, মুখপাত্র আরিফ হোসেন খানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেমের একটি আপডেটেড সংস্করণ চালু করার ঘোষণা করা হয়। আপগ্রেড আরটিজিএস সিস্টেম এখন সপ্তাহে সাত দিন লেনদেন করা যাবে। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আরটিজিএস সিস্টেম বর্তমানে বাংলাদেশি টাকা, মার্কিন ডলার এবং ব্রিটিশ পাউন্ডসহ সাতটি মুদ্রায় লেনদেন করা যায়। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৭০টি অনলাইন ব্যাংক শাখা আরটিজিএস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত। এই সিস্টেমটি প্রতিদিন ৪৮ হাজার ৪১০টি লেনদেন সম্পন্ন করে, যার গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ২২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের বাধার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, ব্যবহারকারীদের অসচ্ছলতা, সঠিকভাবে তথ্যের তত্ত্ববধান, জালিয়াতি ও প্রতারণা এবং নতুন স্টার্টআপ ও ফিনটেক কোম্পানিগুলোর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাতের অর্জনগুলো খুবই উল্লেখযোগ্য। এর জন্য আমরা সবাই গর্ববোধ করি। অনেকে আরটিজিএস সম্পর্কে জানেন না। আমি নিজেও না। ২০১৫ সালে সাবেক গভর্নর আতিউর যখন আরটিজিএস চালু করেছিলেন, সেই সময় এটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তীতে আর্থিক লেনদেনের জন্য এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রমাণ হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্যাংক লেনদেনের ৮৪ শতাংশই ডিজিটালি হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের ব্যাংক লেনদেনের ৮৪ শতাংশই ডিজাটালি পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ হচ্ছে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এবং ২৮ শতাংশ হচ্ছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে। আর ডিজিটাল লেনদেনের ৬৯ শতাংশ আরটিজিএস সিস্টেমে এবং ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হোটেল সোনরাগাঁও ‘ট্রান্সফর্মিং দ্য পেমেন্ট ল্যান্ডস্কেপ : অ্যান ইরা অব ইভ্যুলিউশন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্তি পরিচালক মো. খাইরুল এনাম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, মুখপাত্র আরিফ হোসেন খানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেমের একটি আপডেটেড সংস্করণ চালু করার ঘোষণা করা হয়। আপগ্রেড আরটিজিএস সিস্টেম এখন সপ্তাহে সাত দিন লেনদেন করা যাবে। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আরটিজিএস সিস্টেম বর্তমানে বাংলাদেশি টাকা, মার্কিন ডলার এবং ব্রিটিশ পাউন্ডসহ সাতটি মুদ্রায় লেনদেন করা যায়। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৭০টি অনলাইন ব্যাংক শাখা আরটিজিএস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত। এই সিস্টেমটি প্রতিদিন ৪৮ হাজার ৪১০টি লেনদেন সম্পন্ন করে, যার গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ২২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের বাধার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, ব্যবহারকারীদের অসচ্ছলতা, সঠিকভাবে তথ্যের তত্ত্ববধান, জালিয়াতি ও প্রতারণা এবং নতুন স্টার্টআপ ও ফিনটেক কোম্পানিগুলোর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাতের অর্জনগুলো খুবই উল্লেখযোগ্য। এর জন্য আমরা সবাই গর্ববোধ করি। অনেকে আরটিজিএস সম্পর্কে জানেন না। আমি নিজেও না। ২০১৫ সালে সাবেক গভর্নর আতিউর যখন আরটিজিএস চালু করেছিলেন, সেই সময় এটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তীতে আর্থিক লেনদেনের জন্য এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রমাণ হয়েছে।