ঢাকা ১১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগরে তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাবেক সিইসির সঙ্গে মব জাস্টিসের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে থানা পুলিশ ঠাকুরগাঁওয়ে পেনশন মেলা উপলক্ষে কর্মশালা গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন ঘুস ছাড়া’ কোনো কাজই করেন না, এলজিইডির জিয়াউর রহমান উপ সহকারী প্রকৌশলী- নিরাব ভূমিকায় উপজেলা প্রকৌশলী পুলিশের জালে আটক সাংবাদিক শহীদুল কে হামলাকারী ৩ জন। দুদকের ৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি সরকারি ভাতা বাড়লো, বিশেষ সুবিধা পাবেন যারা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেভাবে সামরিক শক্তি অর্জন করেছে ইরান

ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১২:২৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নার তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।পাশাপাশি আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে শুনানির জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এদিন মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ছিল। আইয়ুব আলী ফাহিম চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। চার্জশিট আসায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

গত ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আইয়ুব আলী ফাহিমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়।ওই দিনই রাত ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে আসামি আইয়ুব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর তখন তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা আমেরিকা চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে তারও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ুব আলী। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত করে ধানমন্ডি মডেল থানার উপপরিদর্শক খোকন মিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে

আপডেট টাইম : ১২:২৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সৎ মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নার তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।পাশাপাশি আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে শুনানির জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এদিন মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ছিল। আইয়ুব আলী ফাহিম চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। চার্জশিট আসায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

গত ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আইয়ুব আলী ফাহিমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়।ওই দিনই রাত ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে আসামি আইয়ুব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর তখন তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা আমেরিকা চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে তারও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ুব আলী। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত করে ধানমন্ডি মডেল থানার উপপরিদর্শক খোকন মিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।