ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

গাজীপুর বিআরটিএ ডিজিটাল সেবার সুফল পাচ্ছেন গ্রাহকরা

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের ভোগান্তির দিন শেষ হয়েছে। স্বস্তির বাতাস বইতে শুরু করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিস গাজীপুর। দিন যতই এগিয়ে যাচ্ছে, সরকারি সকল দপ্তরের কার্যক্রম ততই সহজ হচ্ছে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর সেবার মানও সহজ হচ্ছে, যা গ্রাহকের ক্ষেত্রে কাজ করতে সহজ হচ্ছে। গ্রাহক এখন ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারে। এজন্য গ্রাহকে প্রথমে www.bsp.brta.gov.bd তে নিবন্ধন করে একটি শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। পরে শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে। পরীক্ষার দিন প্রথমে গ্রাহকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য গাজীপুর জেলার পরিষদ মিলনায়তনে যেতে হয়। সেখানে অতিরিক্ত জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রের প্রতিনিধি, জেলার পুলিশের প্রতিনিধি ও বিআরটিএ দর মোটরযান পরিদর্শক দ্বারা পরীক্ষা পরিচালিত হয়। পরীক্ষার ফলাফল যাচাই-বাচাইয়ের পর যারা উত্তীর্ণ হয়, তারা মৌখিক পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রের কক্ষে গিয়ে অংশগ্রহন করেন, সেখানে উত্তীর্ণ হলে, মাঠ পরীক্ষার জন্য বিআরটিসি ট্রেইনিং সেন্টারে যেতে হয়। সেখানে মাঠ পরীক্ষা বাদ ৩০০/= টাকা দিতে হয় যা সরকারি কোষাগারে জমা হয় (যে পরীক্ষার্থীগণ নিজেস্ব গাড়ী নিয়ে আসেন তাদের উক্ত টাকা দিতে হয় না)। মাঠ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই বিআরটিএ রেজাল্ট সিট থেকে প্রার্থীর ফোনে ম্যাসেজ আসে। পরে www.bsp.brta.gov.bd তে গিয়ে বিকাশ/নগতের মাধ্যমে অনলাইনে সরকারি ফি দিয়ে সাবমিট করলে ১ মাসের মধ্যেই ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রাহকগণ ঘরে বসে পায়। এতে গ্রাহকগণকে হয়রানীর শিকার হতে হয় না।

ফিটনেসের জন্য গাড়ী মালিককে প্রথমে www.bsp.brta.gov.bd তে appointment করতে হয়। পরে appointment এর তারিখ অনুযায়ী গাড়ী বিআরটিএ অনুমোদিত জায়গায় নিয় আসতে হয়। পরে মোটরযান পরিদর্শক গাড়ী যাচাই-বাছাই করেন, গাড়ী ঠিক থাকলে উক্ত গাড়ীর ফিটনেস বিআরটিএ দেয়। এতে কোন দালালে সরোনাপূর্ণ হতে হয় না।

মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ডিলারের www.bsp.brta.gov.bd তে ডাটা করে, মোটরসাইকেলের ফাইল ও গাড়ী নিয়ে বিআরটিএ তে প্রদর্শন করলে, উক্ত গাড়ী পরিদর্শন করে একদিনেই গাড়ীর নাম্বার দেয়।

বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা কয়েক জন সেবা গ্রহিতারা এই প্রতিবেদককে জানান, গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের ভোগান্তির দিন শেষ হয়েছে। এখন আর কোন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিচ্ছে বিআরটিএ অফিস। ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবার সুফল ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে আসা গ্রাহকরা।

গাজীপুর বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা যেন কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন গাজীপুর বিআরটিএ অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী। আমরা চাই সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করে গাজীপুর বিআরটিএ অফিসকে এক ভিন্ন চিত্রে সকলের সামনে উপস্থাপন করতে। যাতে করে গাজীপুর বিআরটিএ অফিস নিয়ে পূর্বে যাদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, তারা যেন তাদের সেই আতঙ্ক কাটিয়ে সাচ্ছন্দে সেবা গ্রহণের জন্য গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে আসেন। এখন ২৮ দিনেই ডাকযোগে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুর বিআরটিএ ডিজিটাল সেবার সুফল পাচ্ছেন গ্রাহকরা

আপডেট টাইম : ০৫:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের ভোগান্তির দিন শেষ হয়েছে। স্বস্তির বাতাস বইতে শুরু করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিস গাজীপুর। দিন যতই এগিয়ে যাচ্ছে, সরকারি সকল দপ্তরের কার্যক্রম ততই সহজ হচ্ছে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর সেবার মানও সহজ হচ্ছে, যা গ্রাহকের ক্ষেত্রে কাজ করতে সহজ হচ্ছে। গ্রাহক এখন ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারে। এজন্য গ্রাহকে প্রথমে www.bsp.brta.gov.bd তে নিবন্ধন করে একটি শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। পরে শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে। পরীক্ষার দিন প্রথমে গ্রাহকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য গাজীপুর জেলার পরিষদ মিলনায়তনে যেতে হয়। সেখানে অতিরিক্ত জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রের প্রতিনিধি, জেলার পুলিশের প্রতিনিধি ও বিআরটিএ দর মোটরযান পরিদর্শক দ্বারা পরীক্ষা পরিচালিত হয়। পরীক্ষার ফলাফল যাচাই-বাচাইয়ের পর যারা উত্তীর্ণ হয়, তারা মৌখিক পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রের কক্ষে গিয়ে অংশগ্রহন করেন, সেখানে উত্তীর্ণ হলে, মাঠ পরীক্ষার জন্য বিআরটিসি ট্রেইনিং সেন্টারে যেতে হয়। সেখানে মাঠ পরীক্ষা বাদ ৩০০/= টাকা দিতে হয় যা সরকারি কোষাগারে জমা হয় (যে পরীক্ষার্থীগণ নিজেস্ব গাড়ী নিয়ে আসেন তাদের উক্ত টাকা দিতে হয় না)। মাঠ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই বিআরটিএ রেজাল্ট সিট থেকে প্রার্থীর ফোনে ম্যাসেজ আসে। পরে www.bsp.brta.gov.bd তে গিয়ে বিকাশ/নগতের মাধ্যমে অনলাইনে সরকারি ফি দিয়ে সাবমিট করলে ১ মাসের মধ্যেই ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রাহকগণ ঘরে বসে পায়। এতে গ্রাহকগণকে হয়রানীর শিকার হতে হয় না।

ফিটনেসের জন্য গাড়ী মালিককে প্রথমে www.bsp.brta.gov.bd তে appointment করতে হয়। পরে appointment এর তারিখ অনুযায়ী গাড়ী বিআরটিএ অনুমোদিত জায়গায় নিয় আসতে হয়। পরে মোটরযান পরিদর্শক গাড়ী যাচাই-বাছাই করেন, গাড়ী ঠিক থাকলে উক্ত গাড়ীর ফিটনেস বিআরটিএ দেয়। এতে কোন দালালে সরোনাপূর্ণ হতে হয় না।

মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ডিলারের www.bsp.brta.gov.bd তে ডাটা করে, মোটরসাইকেলের ফাইল ও গাড়ী নিয়ে বিআরটিএ তে প্রদর্শন করলে, উক্ত গাড়ী পরিদর্শন করে একদিনেই গাড়ীর নাম্বার দেয়।

বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা কয়েক জন সেবা গ্রহিতারা এই প্রতিবেদককে জানান, গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের ভোগান্তির দিন শেষ হয়েছে। এখন আর কোন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিচ্ছে বিআরটিএ অফিস। ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবার সুফল ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে আসা গ্রাহকরা।

গাজীপুর বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা যেন কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন গাজীপুর বিআরটিএ অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী। আমরা চাই সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করে গাজীপুর বিআরটিএ অফিসকে এক ভিন্ন চিত্রে সকলের সামনে উপস্থাপন করতে। যাতে করে গাজীপুর বিআরটিএ অফিস নিয়ে পূর্বে যাদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, তারা যেন তাদের সেই আতঙ্ক কাটিয়ে সাচ্ছন্দে সেবা গ্রহণের জন্য গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে আসেন। এখন ২৮ দিনেই ডাকযোগে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।