বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর
- আপডেট টাইম : ১১:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কোম্পানি কমান্ডার ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রাজাকে সাংবাদিক পরিচয়ে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল দশটায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রেজাউল করিম রাজা। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তিনি। ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
সাইদুল ইসলাম বরগুনার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের মৃত নাজমুল হুদা সেন্টুর ছেলে। তিনি বরিশাল দিগন্ত নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজা অভিযোগ করে বলেন, গত ১১ জানুয়ারী রাতে পাথরঘাটা বাজারে বসে আমাকে আ’লীগের দালাল বলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। তখন এর প্রতিবাদ করলে আমাকে লাঞ্ছিত করে সাইদুল। পরে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরী করলে ১৪ জানুয়ারি আমাকে জড়িয়ে অনলাইনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
রেজাউল করিম রাজা আরও বলেন, আমি বিগত সরকারের আমলে তিনবার নির্বাচনে অংশ নিয়েও পরাজিত হয়েছি। কিন্তু এর আগে আমি পরপর দু’বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এছাড়াও আমার স্ত্রী পাথরঘাটা পৌরসভার দু’বার সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর আস্থাভাজন হওয়ায় পাথরঘাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু নামসর্বস্ব অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয়ে সাইদুল আমাকে লাঞ্ছিত করেছে এবং হুমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচার দাবি করছি। এছাড়াও আমাকে জড়িয়ে সাইদুল ‘স্বাভাবিক পাথরঘাটাকে অস্বাভাবিক করার জন্য ঘাপটি মেরে আছে আ.লীগ নেতা রাজা’ শিরোনামে যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনলাইন সংবাদ প্রকাশ করেছে আমি তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনকি ওই সংবাদে সাংবাদিকতা নীতিমালা ও অনুসরণ করেনি, ওই সংবাদে আমার বক্তব্য নেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলন সাবেক বিডিআর সদস্য গাজী হেমায়েতুল হুদা বলেন, সাইদুল ইসলাম আমার কাছ থেকে দু’বার বার চাঁদা নিয়েছে। তৃতীয়বার চাঁদা না দেয়ায় আমার উপর হামলা করেছে। এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার সাধারণ ডায়েরী করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে পাথরঘাটা পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ফরিদা ইয়াসমিন কলি উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে সাইদুল ইসলাম জানান, আমি বরিশাল দিগন্তের পরিচালক এবং কয়েকটি লোকাল পত্রিকায় কাজ করি। লোকমুখে শুনেছি সে আ’লীগ করে এবং নেতাদের সাথে সম্পর্ক রেখে চলে। তার উপর ভিত্তি করে আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি। বর্তমানে আমি শারিরিক দুর্বলতার জন্য বরিশালে আছি।
ওই সংবাদে অভিযুক্তের বক্তব্য নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সাইদুল ইসলামের পরিচালক দাবি করা বরিশাল দিগন্ত অনলাইনের সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ওলামাদলের নির্বাহী সদস্য মাওলানা শামীম আহমেদ জানান, আমাকে না জানিয়েই সাইদুল ইসলাম আমাকে অনলাইনের পদ দিয়ে রেখেছে। এসব নামসর্বস্ব অনলাইনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের নাম ব্যবহার করে জনসাধারণকে হয়রানি করে আসছে। আমার নাম ঐ পোর্টাল থেকে সরিয়ে দিতে বলেছি।
এবিষয়ে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিন সোহেল সময়ের কন্ঠকে জানান, “সম্প্রতি পাথরঘাটায় গ্রামগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে নামসর্বস্ব অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কিছু অসাধু ব্যাক্তি সম্মানিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের নামে হয়রানি করছে। যা সাংবাদিক নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়”।