১০ রান করলেও লিটনকে দলে চান ‘ভক্ত’ সুজন লিটন দাস ও খালেদ মাহমুদ সুজন
- আপডেট টাইম : ১১:১৪:২৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
- / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
৩১, ০, ২, ৯–বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ সংস্করণের প্রথম চার ম্যাচে লিটন দাসের রান। এককথায় ব্যাট হাতে নিজেকে হাতড়ে খুঁজছেন এই ব্যাটার। এদিকে তার দল ঢাকা ক্যাপিটালস চার ম্যাচ খেলে সবগুলো হেরে এখন পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে।
তবু লিটন দাসের ওপর অগাধ আস্থা দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের। জয়ের খোঁজে টিম কম্বিনেশনে পরিবর্তন আনা হলে লিটন দাস বাজে ফর্মের কারণে বাদ পড়তে পারেন, যদি এমনটা ভেবে থাকেন আপনি তাহলে খুবই ভুল ভাবছেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সুজন সাফ বলে দিয়েছেন, ‘আমার সবচেয়ে প্রিয় ক্রিকেটারদের একজন সে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে। যদিও সবাই বারবার আমাকে বলে, তবে আমি বারবারই বলব, লিটন ১০ রান করলেও দলে রাখতে চাই। কারণ লিটনের এত বড় ভক্ত আমি।’
লিটন ব্যাটে রান না পেলেও সুজন গণমাধ্যমের সামনে তার হয়ে ব্যাট ধরেছেন, ‘লিটনের একটা ব্যাডপ্যাচ যাচ্ছে। সবারই যায় এটা। একটা ভালো ইনিংস দরকার। ভালো শুরু করেছিল প্রথম ম্যাচে। টি-টোয়েন্টির বিচারে স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে খুব বড় ইনিংস নয়, তার পরও… ওর ব্যাটিং দেখলে ওই ৩০ রান দেখতেও ভালো লাগে। তখন ভাবলাম যে, ৩০ করেছে, তাহলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচে ব্যর্থ হলো। ও নিজেও জানে… বিশেষ করে শেষ ম্যাচে যখন স্পিনে মারতে গিয়ে আউট হলো, কতটা বাজে বলে আউট হলো, নিজেও জানে। আমার বলার দরকার নেই।’
এদিকে লিটন যেন নির্ভার হয়ে নিজের ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে পারেন, সেজন্যই নাকি তাকে নেতৃত্ব না দিয়ে লংকান থিসারা পেরেরার হাতে আর্মব্যান্ড তুলে দিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ। সুজন জানালেন, ‘দেশি অধিনায়ক হলে ভালো হতো হয়তোবা, এটা তো আমি বলতে পারব না…। অবশ্যই চাওয়া তো ছিলই (দেশী অধিনায়ক), যেহেতু লিটন ভালো করছিল টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব। তবে এটা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট, আবাহনী ক্লাব নয়। এখানে উনাদেরও (দলের মালিকপক্ষ) একটা কথার মূল্য থাকে। উনারা চেয়েছেন থিসারা হোক (অধিনায়ক)। উনারা এটাও চেয়েছেন, লিটন যেন চাপহীন খেলেন। লিটনের কাছ থেকে যেন সেরা সার্ভিসটা পাই।’
তবে নেতৃত্বের ‘বোঝা’ কাঁধে না থাকার পরও যে নির্বিষ লিটনের ব্যাট। তার ব্যাটে ১০ রান পেলেও খুশি সুজন, কিন্তু সবশেষ তিন ম্যাচ মিলিয়ে ১১ রান করা লিটনের কারণে যে কোচের ওপর চাপ বাড়ছে–সেটা বলাই বাহুল্য।