ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মুরগি ও মুরগির উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: ডা. শফিকুর রহমান ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু

ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন: স্বস্তিকা

বিনোদন রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

তোমার শরীর জুড়ে নেশার মাতম, ঠোঁটে আগলে রাখা চুমুর সমুদ্র কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে সেই প্রেম সাগরেই ডুব দিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা। কোনো কিছুর পরোয়া না করে ‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড’ গড়লেন তারা। খাস কলকাতার মেট্রো স্টেশনে গভীর চুম্বনরত যুগলের সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। চারদিকে ছি ছি পড়েছে! কত কটূক্তি। আর শিক্ষা-দীক্ষা নিয়েও উঠল প্রশ্ন।

মেট্রো স্টেশনের সেই চুমু-চর্চাতেই এবার টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন— ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন?

মেট্রো স্টেশনের ভাইরাল চুমু চর্চা নিয়ে প্রতিদিন রোববারডটইনের জন্য কলম ধরেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা বলেছেন, গোটা পৃথিবী জুড়ে যেখানে এত নৈরাজ্য জ্বালা, যন্ত্রণা, খেয়োখেয়ি, মারপিট আর ঈর্ষা, সেখানে দুটো মানুষ— তারা ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন? ভালোবাসা থেকে যাতে মানুষের আশা-ভরসা, বিশ্বাস বিলুপ্ত না হয়, তার জন্য তো যাদের ভালোবাসি, তাদের হাত ধরে হাঁটা উচিত, তাদের চুমু খাওয়া উচিত। সেটি জনসমক্ষে অশ্লীল পর্যায়ে চলে না গেলে কারও কেন এটা নিয়ে মাথাব্যথা থাকবে?

যাদের জীবনে প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে, তাদের সবার উচিত ঘণ্টায় ঘণ্টায় মেট্রো স্টেশনে গিয়ে চুমু খাওয়া। অভিনেত্রীর প্রশ্ন— ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এটি একটি বিষয় হলো চর্চা করার মতো?

প্রেমের প্রকাশ স্বাভাবিক ও সহজাত। সেই প্রকাশ কোনো বাধা মানে না। কত ভিড়ের মাঝেই তো প্রিয়জনের চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়া যায়! প্রেমের আবহ এমনই যে ক্ষণে ক্ষণেই মনে হয়, ‘সমাজ সংসার মিছে সব/মিছে এ জীবনের কলরব…।

যে ভিডিওটি সবার টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে— কালীঘাট স্টেশন। আশপাশে গুটিকয়েক যাত্রী। তাদের উপস্থিতি হেলায় উপেক্ষা করে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে প্রেমে মগ্ন। আর সেই মুহূর্ত মুঠোফোনে বন্দি করে নেটপাড়ায় যিনি ছড়িয়ে দিলেন, তার খোঁজ কেউ করলেন না কেন? প্রশ্ন স্বস্তিকার।

তিনি বলেন, যে লুকিয়ে-চুরিয়ে ছবি তুলছে, সে কি সেই যুগলের অনুমতি নিয়ে ছবি তুলেছে? এই লোকটার মানসিকতা ততটাই কদর্য, যতটা যারা ক্যামেরা বসিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে, যারা পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে দেখার জন্য জানালা খুলে দেয়! নিজস্ব ভয়ারিজমের জায়গা থেকে যে ছবিটা তুলেছে, তাকে কেন প্রশ্ন করে, ট্রোল করে, গালাগাল দিয়ে তুলাধোনা করছি না আমরা? এই নোংরা মানুষটার পরিচয় বের করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে এক্সপোজ করা উচিত, যাতে সে লুকানোর কোনো পথ না পায়। তা না করে যারা নিজেদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেছিল, তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি আমরা।— এটা আমাদের দ্বিচারিতা!

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন: স্বস্তিকা

আপডেট টাইম : ০৮:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

তোমার শরীর জুড়ে নেশার মাতম, ঠোঁটে আগলে রাখা চুমুর সমুদ্র কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে সেই প্রেম সাগরেই ডুব দিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা। কোনো কিছুর পরোয়া না করে ‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড’ গড়লেন তারা। খাস কলকাতার মেট্রো স্টেশনে গভীর চুম্বনরত যুগলের সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। চারদিকে ছি ছি পড়েছে! কত কটূক্তি। আর শিক্ষা-দীক্ষা নিয়েও উঠল প্রশ্ন।

মেট্রো স্টেশনের সেই চুমু-চর্চাতেই এবার টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন— ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন?

মেট্রো স্টেশনের ভাইরাল চুমু চর্চা নিয়ে প্রতিদিন রোববারডটইনের জন্য কলম ধরেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা বলেছেন, গোটা পৃথিবী জুড়ে যেখানে এত নৈরাজ্য জ্বালা, যন্ত্রণা, খেয়োখেয়ি, মারপিট আর ঈর্ষা, সেখানে দুটো মানুষ— তারা ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন? ভালোবাসা থেকে যাতে মানুষের আশা-ভরসা, বিশ্বাস বিলুপ্ত না হয়, তার জন্য তো যাদের ভালোবাসি, তাদের হাত ধরে হাঁটা উচিত, তাদের চুমু খাওয়া উচিত। সেটি জনসমক্ষে অশ্লীল পর্যায়ে চলে না গেলে কারও কেন এটা নিয়ে মাথাব্যথা থাকবে?

যাদের জীবনে প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে, তাদের সবার উচিত ঘণ্টায় ঘণ্টায় মেট্রো স্টেশনে গিয়ে চুমু খাওয়া। অভিনেত্রীর প্রশ্ন— ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এটি একটি বিষয় হলো চর্চা করার মতো?

প্রেমের প্রকাশ স্বাভাবিক ও সহজাত। সেই প্রকাশ কোনো বাধা মানে না। কত ভিড়ের মাঝেই তো প্রিয়জনের চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়া যায়! প্রেমের আবহ এমনই যে ক্ষণে ক্ষণেই মনে হয়, ‘সমাজ সংসার মিছে সব/মিছে এ জীবনের কলরব…।

যে ভিডিওটি সবার টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে— কালীঘাট স্টেশন। আশপাশে গুটিকয়েক যাত্রী। তাদের উপস্থিতি হেলায় উপেক্ষা করে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে প্রেমে মগ্ন। আর সেই মুহূর্ত মুঠোফোনে বন্দি করে নেটপাড়ায় যিনি ছড়িয়ে দিলেন, তার খোঁজ কেউ করলেন না কেন? প্রশ্ন স্বস্তিকার।

তিনি বলেন, যে লুকিয়ে-চুরিয়ে ছবি তুলছে, সে কি সেই যুগলের অনুমতি নিয়ে ছবি তুলেছে? এই লোকটার মানসিকতা ততটাই কদর্য, যতটা যারা ক্যামেরা বসিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে, যারা পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে দেখার জন্য জানালা খুলে দেয়! নিজস্ব ভয়ারিজমের জায়গা থেকে যে ছবিটা তুলেছে, তাকে কেন প্রশ্ন করে, ট্রোল করে, গালাগাল দিয়ে তুলাধোনা করছি না আমরা? এই নোংরা মানুষটার পরিচয় বের করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে এক্সপোজ করা উচিত, যাতে সে লুকানোর কোনো পথ না পায়। তা না করে যারা নিজেদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেছিল, তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি আমরা।— এটা আমাদের দ্বিচারিতা!