ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সিটি কলেজ-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হঠাৎ বিসিবিতে অভিযানে দুদক তরমুজ যেভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠল নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোওয়ার ও মেহেরুন রুনি রাষ্ট্র সংস্কারে সবার লক্ষ্য এক, জাতীয় সনদ শিগগিরই : আলী রীয়াজ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উদযাপন।পাহাড়পুরেও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান উদযাপন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে পাবনার বেড়া মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে ধামরাইয়ে আব্দুল হাই স্মরণে ১৫তম ঐতিহ্যবাহী রশিটান খেলা ও আনন্দ মেলা অনুষ্ঠিত আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই – সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সাব-রেজিস্টার প্রদীপের ঘুষ দুর্নীতির অনুসন্ধানে সময়ের কন্ঠ পত্রিকা

ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন: স্বস্তিকা

বিনোদন রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১১৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

তোমার শরীর জুড়ে নেশার মাতম, ঠোঁটে আগলে রাখা চুমুর সমুদ্র কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে সেই প্রেম সাগরেই ডুব দিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা। কোনো কিছুর পরোয়া না করে ‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড’ গড়লেন তারা। খাস কলকাতার মেট্রো স্টেশনে গভীর চুম্বনরত যুগলের সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। চারদিকে ছি ছি পড়েছে! কত কটূক্তি। আর শিক্ষা-দীক্ষা নিয়েও উঠল প্রশ্ন।

মেট্রো স্টেশনের সেই চুমু-চর্চাতেই এবার টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন— ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন?

মেট্রো স্টেশনের ভাইরাল চুমু চর্চা নিয়ে প্রতিদিন রোববারডটইনের জন্য কলম ধরেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা বলেছেন, গোটা পৃথিবী জুড়ে যেখানে এত নৈরাজ্য জ্বালা, যন্ত্রণা, খেয়োখেয়ি, মারপিট আর ঈর্ষা, সেখানে দুটো মানুষ— তারা ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন? ভালোবাসা থেকে যাতে মানুষের আশা-ভরসা, বিশ্বাস বিলুপ্ত না হয়, তার জন্য তো যাদের ভালোবাসি, তাদের হাত ধরে হাঁটা উচিত, তাদের চুমু খাওয়া উচিত। সেটি জনসমক্ষে অশ্লীল পর্যায়ে চলে না গেলে কারও কেন এটা নিয়ে মাথাব্যথা থাকবে?

যাদের জীবনে প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে, তাদের সবার উচিত ঘণ্টায় ঘণ্টায় মেট্রো স্টেশনে গিয়ে চুমু খাওয়া। অভিনেত্রীর প্রশ্ন— ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এটি একটি বিষয় হলো চর্চা করার মতো?

প্রেমের প্রকাশ স্বাভাবিক ও সহজাত। সেই প্রকাশ কোনো বাধা মানে না। কত ভিড়ের মাঝেই তো প্রিয়জনের চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়া যায়! প্রেমের আবহ এমনই যে ক্ষণে ক্ষণেই মনে হয়, ‘সমাজ সংসার মিছে সব/মিছে এ জীবনের কলরব…।

যে ভিডিওটি সবার টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে— কালীঘাট স্টেশন। আশপাশে গুটিকয়েক যাত্রী। তাদের উপস্থিতি হেলায় উপেক্ষা করে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে প্রেমে মগ্ন। আর সেই মুহূর্ত মুঠোফোনে বন্দি করে নেটপাড়ায় যিনি ছড়িয়ে দিলেন, তার খোঁজ কেউ করলেন না কেন? প্রশ্ন স্বস্তিকার।

তিনি বলেন, যে লুকিয়ে-চুরিয়ে ছবি তুলছে, সে কি সেই যুগলের অনুমতি নিয়ে ছবি তুলেছে? এই লোকটার মানসিকতা ততটাই কদর্য, যতটা যারা ক্যামেরা বসিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে, যারা পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে দেখার জন্য জানালা খুলে দেয়! নিজস্ব ভয়ারিজমের জায়গা থেকে যে ছবিটা তুলেছে, তাকে কেন প্রশ্ন করে, ট্রোল করে, গালাগাল দিয়ে তুলাধোনা করছি না আমরা? এই নোংরা মানুষটার পরিচয় বের করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে এক্সপোজ করা উচিত, যাতে সে লুকানোর কোনো পথ না পায়। তা না করে যারা নিজেদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেছিল, তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি আমরা।— এটা আমাদের দ্বিচারিতা!

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন: স্বস্তিকা

আপডেট টাইম : ০৮:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

তোমার শরীর জুড়ে নেশার মাতম, ঠোঁটে আগলে রাখা চুমুর সমুদ্র কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে সেই প্রেম সাগরেই ডুব দিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা। কোনো কিছুর পরোয়া না করে ‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড’ গড়লেন তারা। খাস কলকাতার মেট্রো স্টেশনে গভীর চুম্বনরত যুগলের সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয়েছে। চারদিকে ছি ছি পড়েছে! কত কটূক্তি। আর শিক্ষা-দীক্ষা নিয়েও উঠল প্রশ্ন।

মেট্রো স্টেশনের সেই চুমু-চর্চাতেই এবার টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন— ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন?

মেট্রো স্টেশনের ভাইরাল চুমু চর্চা নিয়ে প্রতিদিন রোববারডটইনের জন্য কলম ধরেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা বলেছেন, গোটা পৃথিবী জুড়ে যেখানে এত নৈরাজ্য জ্বালা, যন্ত্রণা, খেয়োখেয়ি, মারপিট আর ঈর্ষা, সেখানে দুটো মানুষ— তারা ভালোবেসে চুমু খাচ্ছে, সেটিতে গাত্রদাহ কেন? ভালোবাসা থেকে যাতে মানুষের আশা-ভরসা, বিশ্বাস বিলুপ্ত না হয়, তার জন্য তো যাদের ভালোবাসি, তাদের হাত ধরে হাঁটা উচিত, তাদের চুমু খাওয়া উচিত। সেটি জনসমক্ষে অশ্লীল পর্যায়ে চলে না গেলে কারও কেন এটা নিয়ে মাথাব্যথা থাকবে?

যাদের জীবনে প্রেম আছে, ভালোবাসা আছে, তাদের সবার উচিত ঘণ্টায় ঘণ্টায় মেট্রো স্টেশনে গিয়ে চুমু খাওয়া। অভিনেত্রীর প্রশ্ন— ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এটি একটি বিষয় হলো চর্চা করার মতো?

প্রেমের প্রকাশ স্বাভাবিক ও সহজাত। সেই প্রকাশ কোনো বাধা মানে না। কত ভিড়ের মাঝেই তো প্রিয়জনের চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়া যায়! প্রেমের আবহ এমনই যে ক্ষণে ক্ষণেই মনে হয়, ‘সমাজ সংসার মিছে সব/মিছে এ জীবনের কলরব…।

যে ভিডিওটি সবার টাইমলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে— কালীঘাট স্টেশন। আশপাশে গুটিকয়েক যাত্রী। তাদের উপস্থিতি হেলায় উপেক্ষা করে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে প্রেমে মগ্ন। আর সেই মুহূর্ত মুঠোফোনে বন্দি করে নেটপাড়ায় যিনি ছড়িয়ে দিলেন, তার খোঁজ কেউ করলেন না কেন? প্রশ্ন স্বস্তিকার।

তিনি বলেন, যে লুকিয়ে-চুরিয়ে ছবি তুলছে, সে কি সেই যুগলের অনুমতি নিয়ে ছবি তুলেছে? এই লোকটার মানসিকতা ততটাই কদর্য, যতটা যারা ক্যামেরা বসিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে, যারা পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে দেখার জন্য জানালা খুলে দেয়! নিজস্ব ভয়ারিজমের জায়গা থেকে যে ছবিটা তুলেছে, তাকে কেন প্রশ্ন করে, ট্রোল করে, গালাগাল দিয়ে তুলাধোনা করছি না আমরা? এই নোংরা মানুষটার পরিচয় বের করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে এক্সপোজ করা উচিত, যাতে সে লুকানোর কোনো পথ না পায়। তা না করে যারা নিজেদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেছিল, তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি আমরা।— এটা আমাদের দ্বিচারিতা!