ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চায় চীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ হতে প্রাপ্ত ২৯ জন কে অনুদানের অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ কার্যক্রম গাজীপুরের পূবাইলে ঈদ বোনাসকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক ধস্তা ধস্তি রাজনৈতিক ভুয়া হয়রানিমূলক আরও ৬৬৮২ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা, গেজেট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন সরকার ঘটনাটা কি বাপের বাড়ি মোয়া নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ফুলবাড়ীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেফতার ৬ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ হতে প্রাপ্ত ২৯ জন কে অনুদানের অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ কার্যক্রম ঈদ যাত্রায় বকশিশের নামে ৮৩২ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, খালাস মা

আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ার থেকে গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি প্রায় এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভারত সরকারের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বকেয়া সংক্রান্ত বিরোধ।

২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় আদানি পাওয়ার ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গড্ডা কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা বিদ্যুৎ দেশটির মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করত।

বাংলাদেশ বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে আদানিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ মূল্যে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। আদানির সরবরাহ করা বিদ্যুতের মূল্য অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ।

ভারতের ইস্টার্ন রিজিওনাল পাওয়ার কমিটির তথ্য অনুসারে, গত নভেম্বর মাসে গড্ডা প্ল্যান্ট বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুৎ রপ্তানি করেছে। যা বার্ষিক হিসাবের তুলনায় ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। এই পতন মাসিক বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে গত বছরের ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন।

শীতকালীন মৌসুমে বিদ্যুৎ চাহিদা কমলেও বাংলাদেশের বার্ষিক বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্ভরতা বাড়িয়েছে।

নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনও টানা পাঁচ মাসের হ্রাস শেষে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তবে কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন টানা তৃতীয় মাসে হ্রাস পেয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আদানি প্ল্যান্টের সরবরাহ কমে যাওয়া জ্বালানি নীতি ও চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে। সরকারের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর এ পরিস্থিতির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য হতে পারে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ

আপডেট টাইম : ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ার থেকে গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি প্রায় এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভারত সরকারের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বকেয়া সংক্রান্ত বিরোধ।

২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় আদানি পাওয়ার ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গড্ডা কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা বিদ্যুৎ দেশটির মোট চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করত।

বাংলাদেশ বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে আদানিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ মূল্যে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। আদানির সরবরাহ করা বিদ্যুতের মূল্য অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ।

ভারতের ইস্টার্ন রিজিওনাল পাওয়ার কমিটির তথ্য অনুসারে, গত নভেম্বর মাসে গড্ডা প্ল্যান্ট বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুৎ রপ্তানি করেছে। যা বার্ষিক হিসাবের তুলনায় ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। এই পতন মাসিক বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে গত বছরের ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন।

শীতকালীন মৌসুমে বিদ্যুৎ চাহিদা কমলেও বাংলাদেশের বার্ষিক বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্ভরতা বাড়িয়েছে।

নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনও টানা পাঁচ মাসের হ্রাস শেষে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তবে কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন টানা তৃতীয় মাসে হ্রাস পেয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আদানি প্ল্যান্টের সরবরাহ কমে যাওয়া জ্বালানি নীতি ও চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে। সরকারের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর এ পরিস্থিতির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য হতে পারে।