ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতার সাথে বাড়ছে গরম কাপড়ের দোকানের ভীড়
- আপডেট টাইম : ১১:৫৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ০ ৫০০০.০ বার পাঠক
হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত দেশের উত্তরের জেলাগুলির মধ্যে ঠাকুরগাঁও অন্যতম। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো জেলা। সূর্যের দেখা মিলছেনা বললেই চলে। দুপুরের পর কোন কোন দিন সূর্য উঠলেও থাকছে না তীব্রতা । এতে করে সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষজন বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা । প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। তাই শীতের সাথে এখানকার গরম কাপড়ের দোকান গুলিতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের ভিড়। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানগুলিতে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বেশি চাইছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
প্রায় প্রতিদিনই সকাল ১০ টা পর্যন্ত মহাসড়কের যানবাহনগুলোকে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে। কয়েকদিনের ভারী কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে লক্ষ্যনীয় মাত্রায় । যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন রাত ৮ টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো। শীত নিবারনের জন্য গরম কাপর কিনতে শীতের পুরোনো কাপরের দোকানগুলোতে ভীড় করছে সাধারণ মানুষ।
পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের গরম কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভীড় করছেন পছন্দমত শীতের কাপড় কিনতে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার এমনকি ১০ হাজার টাকা দামের কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে সেখানে।
শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে হর্কাস মার্কেট বসলেও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় হচ্ছে বেশি।
রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম জানান, এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের মানুষজনের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে তিনি এখানে কাপড় কিনছেন। ভাল মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় তবে কাপড়ের দাম গত বারের চেয়ে অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
গরম কাপড় ব্যবসায়ি রাসেল হাসান জানান, এ বছর ভাল মানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এখনকার মত শীত থাকলে বেচাকেনাও আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বোাচ্চ ২২ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পরেছেন তারা। জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তবে শীত যত বাড়বে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ আরো বাড়বে বলে আশা এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষদের।