ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সখিপুর তানযীমুল কুরআন মাদরাসার উদ্যোগে ২য় তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিল ও পাগড়ী প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় পুলিশের জব্দ করা ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে দিয়ে আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ। দখলদারিত্বের জের দরে লক্ষ্মীপুরে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংর্ঘষ। আহত-১৫ বাঞ্ছারামপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বনানী বস্তির আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ইকোস অব রেভ্যুলিউশন’ কনসার্ট ঘিরে যে নির্দেশনা ডিএমপির পাকুন্দিয়ায় শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বপ্ন ডিঙ্গা কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর বৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত চাঁদপুর সদর, হানারচরে ইসলামী আন্দোলনের গন সমাবেশ উত্তরায় ১২ নম্বর সেক্টরের শাহ মখদুম রুডের লাভলীন রেস্তোরায় সংবাদ প্রকাশের পর গাজীপুরে জিএমপি মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে এক সাংবাদিকের একাউন্ট রিমোভ

কুমিল্লা মহানগরীর কর্মী সম্মেলনে আমীরে জামায়াত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান -ডা. শফিকুর রহমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:১২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১২ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ও জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক কাতারে দাঁড়িয়েছেন। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো বিদেশি আগ্রাসন সহ্য করবো না। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমি আমরা কাউকে ছেড়ে দেব না। আমাদের জীবন দেব, তবু এক ইঞ্চি জমি আমরা ছেড়ে দেব না। এটি আমাদের কমিটমেন্ট।

৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে মহানগরী জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা নামে বিভাগ না দেয়ায় পতিত সরকারের সমালোচনা করে আমীরে জামায়াত আরও বলেন, নামের কারণে বিভাগ না দিয়ে একটি জেলার মানুষের প্রতি জুলুম ও অসম্মান করা হয়েছে। দেশের এক ইঞ্চি মাটির প্রতি অবজ্ঞাকারী কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘কুমিল্লা’ নামে বিভাগ ঘোষণা করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা বিমানবন্দর সচলের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এবং বিমানবন্দর তৈরী করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, প্রশাসনের সর্বস্তরে সংস্কারের জন্য আমরা সরকারকে সময় দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও দেবো। তবে মৌলিক সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার করতে হবে। তবে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। পরাজিত শক্তি এখনও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেয়েছিলো। কিন্ত এদেশের মানুষ তাদের সে পাতা ফাঁদে পায় দেয়নি। দেশের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কাউকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। সবার পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশি।

কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন ও সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা আব্দুল হালিম, চাকসুর সাবেক ভিপি অ্যাডভোকট জসীমউদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জনাব আবদুর রব, জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শূরা ও অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত ভূঞা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও টিম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক আবদুল মতিন, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, ড. মোবারক হোসেন, কুমিল্লা মহানগরী নায়েবে আমির মোছলেহ উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি ড. সৈয়দ সরোয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা উত্তর জেলা সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, মহানগরী সহকারী সদস্য কামরুজ্জামান সোহেল, মহানগরী শিবির সভাপতি নোমান হোসেন নয়ন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি হাফেজ ইউসুফ ইসলাহী, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন,নাসিম আহমেদ মোল্লাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ড. আবরার আহম্মদ। সমাবেশের উদ্বোধন করেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মাছুম মিয়ার পিতা শাহীর মিয়া।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত সমাবেশ উপলক্ষে গত কয়েকদিন থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালায় জামায়াত। দলীয় আমিরকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো নগরী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই নগরীর ২৭টি ওয়ার্ড ও ৬টি ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে পুরুষদের জন্য টাউনহল মাঠ ও নারীদের জন্য নির্ধারিত কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলো না। এক পর্যায়ে কর্মী সমাবেশ জনসমাবেশে রূপ নেয়। পুরুষদের প্যান্ডেল টাউনহল মাঠের আশপাশের এলাকা পূবালী চত্বর, লিবার্টি মোড়, জিলা স্কুলের সামনের রাস্তা, মনোহরপুর, বাদুড়তলা ও লাকসাম রোডের পুরো রাস্তাই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। অপরদিকে নারীদের জন্য নির্ধারিত ঈদগাহ মাঠেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় সিটি পার্ক মোড় ও প্রেস ক্লাবসহ আশাপাশের এলাকাও নারী কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত সাড়ে ষোল বছর জাতির জন্য একটি শ্বাসরুদ্ধকর শাসন ছিল। মূলত পিলখানায় হত্যাকা-ের মাধ্যমে দেশের অস্তিত্ব ধ্বংস করার মিশন শুরু হয়। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকশ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট আজো প্রকাশ করা হয়নি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানতে পারেননি তাদের সহকর্মীদের হত্যার রহস্য। পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত তদন্ত করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, পিলখানা হত্যা কান্ডের পর একের পর এক দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যা করা হয়। সবচেয়ে বড় আঘাত দেয়া হয় জামায়াতে ইসলামীর উপর। জামায়াতে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিচারের নামে হত্যা করা হয়। আলেমদের হত্যা করা হয়। সাংবাদিকদেরও হত্যা করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়। বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিলো না। বিশেষ করে জামায়াতের ওপর সবচেয়ে বেশি অবিচার করা হয়। আমাদের শীর্ষ নেতাদের একে একে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেয়া হয়। অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়। আমাদের কার্যালয়গুলো অন্যায়ভাবে বন্ধ রাখা হয়। তবে এতো নির্যাতনের পরও আল্লাহর রহমত ও নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিবিনিময়ে আমরা টিকে আছি। তাদের ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত তারা হত্যাকান্ড চালিয়েছে। ২৪ এর হত্যার সকল নায়ক-নায়িকাদের বিচার করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানান। শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই। দেশের প্রশ্নে জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক দেশ নয়। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলেছি, আমরা বাংলাদেশে মেজরিটি মাইনরিটি মানি না। বাংলাদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করেছে তারা বাংলাদেশী। এই মাইনরিটি শব্দ ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী দেশের বাইরে থেকে স্বার্থ হাসিল করতে চায়। ভারতের হলুদ মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জগন্নাথ হলের হিন্দু ছেলে মেয়েরা প্রতিবাদ করেছে। তারা বলেছে, ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা মিথ্যা। আমরা বলতে চাই, কেন ভারত এসব মিথ্যাচার করছে? আমরা কী তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছি? ভারত বলে, আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সহিষ্ণুতার অভাব। বিশ্ববাসী জানে ভারতীয় উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাতে কত মানুষ নির্মমভাবে নিহত হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে না।

তিনি বলেন, একটি চরমপন্থী সংগঠনের হাতে নির্মমভাবে চট্টগ্রামের আদালতে একজন আইনজীবী খুন হয়েছেন। তারা চেয়েছিল এই খুনের মাধ্যমে দাঙ্গা বাঁধাতে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের মুখে চুনকালি লেপে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বলেছে, এ খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার হবে আইন অনুযায়ী। আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে চাই না। ভারতে এমন একটি উদাহরণ কেউ কী দেখাতে পারবে?

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দেখেছেন, বিভিন্ন ধর্মের সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে একসাথে দাঁড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ দেশ আমাদের সবার। আমরা কোন বিভাজন চাই না। এ মহৎ উদ্যোগের জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান এবং এ যাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
তিনি আগামীতে দেশ যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে চালানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, আগামীতে চাঁদাবাজ মুক্ত, দেশপ্রেমিক চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ দেশ চালাবেন। জনগণ ভোটের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সেই নির্বাচনে কোন টাকার খেলা হবে না। এ জন্য কিছু নির্বাচনী সংস্কার প্রয়োজন। ৪২ বছরের যুবকরা ভোট দিতে পারে নাই। এবার যুবকরা শুধু ভোটই দিবে না, জাতিকে নেতৃত্বও দিবে। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানান। বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নের দাবি জানান। বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীরা যথাযথ মর্যাদা ও নিরাপত্তা পাবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে সবাইকে মূল্যায়ন করা হবে। দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। তিনি অভিযোগ করেন বিগত দিনে পুলিশের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তারপরও আমরা প্রতিশোধপরায়ন হইনি। আমরা সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সব সময় সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতে হবে। অন্যায়কারী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ভুল হলেও লিখবেন। তাহলে সংশোধন হতে পারবো। তিনি বলেন ২৪ এর আন্দোলনের মূল সেনাপতি ছিলেন শিক্ষার্থীরা। আমরা শুধু তাদের পাশে থেকে পানি পান করিয়েছি। তবে সে সময় রাতে ঘুমাইনি। যে জাতির নেতৃত্ব ঘুমায় না সে জাতি নিরাপদ থাকে। তিনি নেতাকর্মীদের চরিত্র গঠনের পাশাপাশি মানুষের ক্রান্তিকালে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।

কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের বলেন, ভারত আমাদের প্রতি আগ্রাসী আচরণ করলে বাংলাদেশের মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবেলা করবে। সীমান্তে হাজারো শহীদের লাশের মিছিল হবে। তারপরও আধিপত্যবাদী শক্তিকে মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে সৎ ও খোদা ভীরু নেতা নির্বাচিত করতে হবে। তিনি বলেন জামায়াতে ইসলামী ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তাই এবার জামায়াতকে সুযোগ দিতে হবে। ডা. তাহের কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণা ও কুমিল্লা বিমানবন্দর সচলের দাবি জানান।

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম বলেন, ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তি পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে বিতর্কিত করতে চায়।তিনি দেশ রক্ষায় সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান। জামায়াতকে সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানা। করার দাবি করেন।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা জীবন দিতে পারি কিন্তু কোন আধিপত্য শক্তির কাছে মাথানত করবো না। আমরা আওয়ামী শক্তির কাছে মাথানত করি নাই। জুলুম নির্যাতন হয়েছে তবু আপস করি নাই। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানান।

জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে প্রচন্ড জনরোষের মুখে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁকে যে কোনো মূল্যে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লা মহানগরীর কর্মী সম্মেলনে আমীরে জামায়াত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান -ডা. শফিকুর রহমানের

আপডেট টাইম : ০৩:৪৭:১২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ও জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক কাতারে দাঁড়িয়েছেন। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো বিদেশি আগ্রাসন সহ্য করবো না। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমি আমরা কাউকে ছেড়ে দেব না। আমাদের জীবন দেব, তবু এক ইঞ্চি জমি আমরা ছেড়ে দেব না। এটি আমাদের কমিটমেন্ট।

৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে মহানগরী জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা নামে বিভাগ না দেয়ায় পতিত সরকারের সমালোচনা করে আমীরে জামায়াত আরও বলেন, নামের কারণে বিভাগ না দিয়ে একটি জেলার মানুষের প্রতি জুলুম ও অসম্মান করা হয়েছে। দেশের এক ইঞ্চি মাটির প্রতি অবজ্ঞাকারী কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘কুমিল্লা’ নামে বিভাগ ঘোষণা করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা বিমানবন্দর সচলের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এবং বিমানবন্দর তৈরী করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, প্রশাসনের সর্বস্তরে সংস্কারের জন্য আমরা সরকারকে সময় দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও দেবো। তবে মৌলিক সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার করতে হবে। তবে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। পরাজিত শক্তি এখনও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চেয়েছিলো। কিন্ত এদেশের মানুষ তাদের সে পাতা ফাঁদে পায় দেয়নি। দেশের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কাউকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। সবার পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশি।

কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন ও সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা আব্দুল হালিম, চাকসুর সাবেক ভিপি অ্যাডভোকট জসীমউদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জনাব আবদুর রব, জনাব মোবারক হোসাইন প্রমুখ। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শূরা ও অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত ভূঞা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও টিম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক আবদুল মতিন, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, ড. মোবারক হোসেন, কুমিল্লা মহানগরী নায়েবে আমির মোছলেহ উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি ড. সৈয়দ সরোয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা উত্তর জেলা সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, মহানগরী সহকারী সদস্য কামরুজ্জামান সোহেল, মহানগরী শিবির সভাপতি নোমান হোসেন নয়ন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি হাফেজ ইউসুফ ইসলাহী, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন,নাসিম আহমেদ মোল্লাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ড. আবরার আহম্মদ। সমাবেশের উদ্বোধন করেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মাছুম মিয়ার পিতা শাহীর মিয়া।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত সমাবেশ উপলক্ষে গত কয়েকদিন থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালায় জামায়াত। দলীয় আমিরকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো নগরী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই নগরীর ২৭টি ওয়ার্ড ও ৬টি ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে পুরুষদের জন্য টাউনহল মাঠ ও নারীদের জন্য নির্ধারিত কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলো না। এক পর্যায়ে কর্মী সমাবেশ জনসমাবেশে রূপ নেয়। পুরুষদের প্যান্ডেল টাউনহল মাঠের আশপাশের এলাকা পূবালী চত্বর, লিবার্টি মোড়, জিলা স্কুলের সামনের রাস্তা, মনোহরপুর, বাদুড়তলা ও লাকসাম রোডের পুরো রাস্তাই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। অপরদিকে নারীদের জন্য নির্ধারিত ঈদগাহ মাঠেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় সিটি পার্ক মোড় ও প্রেস ক্লাবসহ আশাপাশের এলাকাও নারী কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত সাড়ে ষোল বছর জাতির জন্য একটি শ্বাসরুদ্ধকর শাসন ছিল। মূলত পিলখানায় হত্যাকা-ের মাধ্যমে দেশের অস্তিত্ব ধ্বংস করার মিশন শুরু হয়। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকশ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট আজো প্রকাশ করা হয়নি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানতে পারেননি তাদের সহকর্মীদের হত্যার রহস্য। পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত তদন্ত করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, পিলখানা হত্যা কান্ডের পর একের পর এক দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যা করা হয়। সবচেয়ে বড় আঘাত দেয়া হয় জামায়াতে ইসলামীর উপর। জামায়াতে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিচারের নামে হত্যা করা হয়। আলেমদের হত্যা করা হয়। সাংবাদিকদেরও হত্যা করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়। বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিলো না। বিশেষ করে জামায়াতের ওপর সবচেয়ে বেশি অবিচার করা হয়। আমাদের শীর্ষ নেতাদের একে একে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেয়া হয়। অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়। আমাদের কার্যালয়গুলো অন্যায়ভাবে বন্ধ রাখা হয়। তবে এতো নির্যাতনের পরও আল্লাহর রহমত ও নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিবিনিময়ে আমরা টিকে আছি। তাদের ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত তারা হত্যাকান্ড চালিয়েছে। ২৪ এর হত্যার সকল নায়ক-নায়িকাদের বিচার করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানান। শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই। দেশের প্রশ্নে জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক দেশ নয়। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলেছি, আমরা বাংলাদেশে মেজরিটি মাইনরিটি মানি না। বাংলাদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করেছে তারা বাংলাদেশী। এই মাইনরিটি শব্দ ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী দেশের বাইরে থেকে স্বার্থ হাসিল করতে চায়। ভারতের হলুদ মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জগন্নাথ হলের হিন্দু ছেলে মেয়েরা প্রতিবাদ করেছে। তারা বলেছে, ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা মিথ্যা। আমরা বলতে চাই, কেন ভারত এসব মিথ্যাচার করছে? আমরা কী তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছি? ভারত বলে, আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সহিষ্ণুতার অভাব। বিশ্ববাসী জানে ভারতীয় উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাতে কত মানুষ নির্মমভাবে নিহত হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে না।

তিনি বলেন, একটি চরমপন্থী সংগঠনের হাতে নির্মমভাবে চট্টগ্রামের আদালতে একজন আইনজীবী খুন হয়েছেন। তারা চেয়েছিল এই খুনের মাধ্যমে দাঙ্গা বাঁধাতে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের মুখে চুনকালি লেপে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বলেছে, এ খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার হবে আইন অনুযায়ী। আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে চাই না। ভারতে এমন একটি উদাহরণ কেউ কী দেখাতে পারবে?

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দেখেছেন, বিভিন্ন ধর্মের সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে একসাথে দাঁড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ দেশ আমাদের সবার। আমরা কোন বিভাজন চাই না। এ মহৎ উদ্যোগের জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান এবং এ যাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
তিনি আগামীতে দেশ যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে চালানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, আগামীতে চাঁদাবাজ মুক্ত, দেশপ্রেমিক চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ দেশ চালাবেন। জনগণ ভোটের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সেই নির্বাচনে কোন টাকার খেলা হবে না। এ জন্য কিছু নির্বাচনী সংস্কার প্রয়োজন। ৪২ বছরের যুবকরা ভোট দিতে পারে নাই। এবার যুবকরা শুধু ভোটই দিবে না, জাতিকে নেতৃত্বও দিবে। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানান। বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নের দাবি জানান। বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীরা যথাযথ মর্যাদা ও নিরাপত্তা পাবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে সবাইকে মূল্যায়ন করা হবে। দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। তিনি অভিযোগ করেন বিগত দিনে পুলিশের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তারপরও আমরা প্রতিশোধপরায়ন হইনি। আমরা সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সব সময় সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতে হবে। অন্যায়কারী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ভুল হলেও লিখবেন। তাহলে সংশোধন হতে পারবো। তিনি বলেন ২৪ এর আন্দোলনের মূল সেনাপতি ছিলেন শিক্ষার্থীরা। আমরা শুধু তাদের পাশে থেকে পানি পান করিয়েছি। তবে সে সময় রাতে ঘুমাইনি। যে জাতির নেতৃত্ব ঘুমায় না সে জাতি নিরাপদ থাকে। তিনি নেতাকর্মীদের চরিত্র গঠনের পাশাপাশি মানুষের ক্রান্তিকালে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।

কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের বলেন, ভারত আমাদের প্রতি আগ্রাসী আচরণ করলে বাংলাদেশের মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবেলা করবে। সীমান্তে হাজারো শহীদের লাশের মিছিল হবে। তারপরও আধিপত্যবাদী শক্তিকে মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে সৎ ও খোদা ভীরু নেতা নির্বাচিত করতে হবে। তিনি বলেন জামায়াতে ইসলামী ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তাই এবার জামায়াতকে সুযোগ দিতে হবে। ডা. তাহের কুমিল্লা নামে বিভাগ ঘোষণা ও কুমিল্লা বিমানবন্দর সচলের দাবি জানান।

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম বলেন, ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তি পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে বিতর্কিত করতে চায়।তিনি দেশ রক্ষায় সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান। জামায়াতকে সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানা। করার দাবি করেন।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা জীবন দিতে পারি কিন্তু কোন আধিপত্য শক্তির কাছে মাথানত করবো না। আমরা আওয়ামী শক্তির কাছে মাথানত করি নাই। জুলুম নির্যাতন হয়েছে তবু আপস করি নাই। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানান।

জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে প্রচন্ড জনরোষের মুখে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁকে যে কোনো মূল্যে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।