ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এরা কোথায় যারা ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে সংবাদ মাদ্যম ও সাংবাদিক পেশা ধারন করে দুনীতি করেছে এবং  দেশকে ধ্বংস করেছে প্রবীণ সম্পাদকের অজান্তেই মামলা ও ওয়ারেন্ট: সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিবাদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর ফুটবল খেলারমাঠে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে টিভিতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মোংলায় সংবাদ সম্মেলন জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ পাঠায়নি কানাডা নিজের গুম নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে অভিযোগ দিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ টাঙ্গাইলের মহাসড়কে ঝরলো বাবা ও দুই ছেলের প্রাণ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আপেল মাহমুদকে প্রমাণ দিতে হলো তিনি মুক্তিযোদ্ধা নাসিরনগরে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন বিরলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সি,এইচ,সি,পি (CHCP) রাজনৈতিক মামলার আসামি।

২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • আপডেট টাইম : ০২:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৬৬ ১৫০.০০০ বার পাঠক

——————————————-
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ২৫২ বছরের পুরানো জেলা প্রশাসকের অফিসে প্রথম’বারের মতো নিয়োগ পেলেন নারী জেলা প্রশাসক। ২০২৪ ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফরিদা খানম এই গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন হন। ১৭৭২ সালে চট্টগ্রামের জেলা কালেক্টর অফিস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৯০ জন জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তান আমল বা স্বাধীনতার পরেও কোন নারী এই দায়িত্ব পাননি। এই প্রথম চট্টগ্রামে এই পদে নারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন ফরিদা খানম।
ফরিদা খানম তার এই দায়িত্ব’পালনের সুযোগকে নিজেকে সৌভাগ্যবান হিসেবে মনে করে তিনি বলেন, মানবতার সেবার জন্য এবং চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এমন কিছু করতে চাই, যা শত বছর পরেও শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসার সাথে চট্টগ্রামের মানুষ আমার নাম স্মরণ করবে।
১২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, ফরিদা খানম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে ১টি জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করছি, জেলা প্রশাসকের অফিসকে মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার জায়গায় নিয়ে যেতে।
তিনি আরও জানান, সিস্টেমের কারণে অনেক সময় সেবা প্রার্থীদের সমস্যাগুলো যথাযথভাবে জানানো হয় না। তাই আমি সাপ্তাহিক বুধবার নির্ধারিত শুনানি ছাড়াও, প্রতি মাসে একদিন গণশুনানির আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি। এই শুনানিতে সকল জেলা প্রশাসক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন, এবং গণশুনানিতে উঠে আসা সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
দুর্নীতি এবং মানবাধিকারের প্রতি তার দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করে ফরিদা খানম বলেন, যেখানে দুর্নীতি বা মানবাধিকারের অবমূল্যায়ন দেখব, সেখানেই আমি হস্তক্ষেপ করব। তিনি তার বাবার শিক্ষাকে স্মরণ করে বলেন, আমার বাবা কখনো সততার সঙ্গে আপস করেননি। তিনি বলতেন, ‘সততার সঙ্গে যোগ্য হয়ে ওঠো, এবং সাধারণ মানুষের সেবা করতে নিজেকে নিয়োজিত করো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফরিদা খানম বলেন, রক্তস্নাত ১টি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমি সেই বাংলাদেশকে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।
চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ফরিদা খানম সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মতো মানুষের হৃদয়ও বড়। আমি বিশ্বাস করি, চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সবাই আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবেন।
ফরিদা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০০১ সালে অনার্স এবং ২০০২ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২৫তম বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে ২০০৬ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ৯ সেপ্টেম্বর তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

আপডেট টাইম : ০২:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

——————————————-
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ২৫২ বছরের পুরানো জেলা প্রশাসকের অফিসে প্রথম’বারের মতো নিয়োগ পেলেন নারী জেলা প্রশাসক। ২০২৪ ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফরিদা খানম এই গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন হন। ১৭৭২ সালে চট্টগ্রামের জেলা কালেক্টর অফিস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৯০ জন জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তান আমল বা স্বাধীনতার পরেও কোন নারী এই দায়িত্ব পাননি। এই প্রথম চট্টগ্রামে এই পদে নারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন ফরিদা খানম।
ফরিদা খানম তার এই দায়িত্ব’পালনের সুযোগকে নিজেকে সৌভাগ্যবান হিসেবে মনে করে তিনি বলেন, মানবতার সেবার জন্য এবং চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এমন কিছু করতে চাই, যা শত বছর পরেও শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসার সাথে চট্টগ্রামের মানুষ আমার নাম স্মরণ করবে।
১২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, ফরিদা খানম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে ১টি জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করছি, জেলা প্রশাসকের অফিসকে মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার জায়গায় নিয়ে যেতে।
তিনি আরও জানান, সিস্টেমের কারণে অনেক সময় সেবা প্রার্থীদের সমস্যাগুলো যথাযথভাবে জানানো হয় না। তাই আমি সাপ্তাহিক বুধবার নির্ধারিত শুনানি ছাড়াও, প্রতি মাসে একদিন গণশুনানির আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি। এই শুনানিতে সকল জেলা প্রশাসক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন, এবং গণশুনানিতে উঠে আসা সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
দুর্নীতি এবং মানবাধিকারের প্রতি তার দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করে ফরিদা খানম বলেন, যেখানে দুর্নীতি বা মানবাধিকারের অবমূল্যায়ন দেখব, সেখানেই আমি হস্তক্ষেপ করব। তিনি তার বাবার শিক্ষাকে স্মরণ করে বলেন, আমার বাবা কখনো সততার সঙ্গে আপস করেননি। তিনি বলতেন, ‘সততার সঙ্গে যোগ্য হয়ে ওঠো, এবং সাধারণ মানুষের সেবা করতে নিজেকে নিয়োজিত করো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফরিদা খানম বলেন, রক্তস্নাত ১টি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমি সেই বাংলাদেশকে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।
চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ফরিদা খানম সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মতো মানুষের হৃদয়ও বড়। আমি বিশ্বাস করি, চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সবাই আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবেন।
ফরিদা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০০১ সালে অনার্স এবং ২০০২ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২৫তম বিসিএস কর্মকর্তা হিসেবে ২০০৬ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ৯ সেপ্টেম্বর তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।