ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা” বাঁচতে চায় ঠাকুরগাঁওয়ের শামীম

মো গোলাম রব্বানী, সদর প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৭:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

মা,ভাই-বোন সহ পরিবারের সুখের আশায় ২০১৪ সালে এক বুক আশা নিয়ে সুদূর লিবিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শামীম। সে আশায় এখন গুড়েবালি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছে সে। বিদেশে পাড়ি দিয়ে সংসারের হাল ধরতে চাওয়া ছেলেটি দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে আজ নিজেই সংসারের বোঝা। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমান এর ছেলে শামীম ইসলামের (৩৬)।

চোরাই পথে বিদেশ (লিবিয়া) যাওয়ার ফলে তাকে পড়তে হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কায়। মাত্র ৪শ দিনার (৮ হাজার টাকা) বেতনে চাকুরী হয় একটি পানির কোম্পানিতে। সেই টাকায় কোনমতে নিজে চললেও উপায় ছিলো না পরিবারকে সহযোগিতা করার। সেখানকার মালিকপক্ষ তার পাসপোর্টটি কেড়ে নেয়ায় অনিচ্ছা সত্বেও সেখানে কাটাতে হয় ৯টি বছর। এরই মধ্যে দেখা দেয় তার শারিরিক নানা জটিলতার এবং হাসপাতালের আইসিইউ এ থাকতে হয় দু সপ্তাহ। ডাক্তার জানায় তার দুটি কিডনিই অচল।

অবশেষে লিবিয়ায় অবস্থানরত এক বাংলাদেশী ভাইয়ের সহায়তায় ও দেশ থেকে পাঠানো বড়ভাই সেলিমের টাকায় কোনরকম দেশে আসে শামীম। সহায়-সম্বল যা ছিলো সব বিক্রি করে চিকিৎসা করানো হলেও ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে সে। বর্তমানে ধার-মহাজন করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সপ্তাহে দুদিন ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে কিডনি সচল রাখার চেষ্টা করছে পরিবার। কিন্তু দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

শামীমের বড় ভাই সেলিম ইসলাম জানান, অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছোটভাইকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু আমাদের সেই আশা পূরণ হলো না। তিন মাসের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। তার চিকিৎসাতেই খরচ হবে ৩০ লক্ষ টাকা। সমাজের বিত্তবানসহ সকলের কাছে আকুল আবেদন করছি-আপনারা আমার ভাইকে বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। যার যতোটুকু সামর্থ আছে তাই দিয়েই সহযোগিতা করুন। সাহায্য পাঠানো যাবে- বিকাশ ও নগদ নম্বর-০১৭২২৮৮৫৮৪৪, ব্যাংক একাউন্ট নং-১৪২১১১২৩৫৩২ (ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড) ও ব্যাংক একাউন্ট নং-২০৫০১৯৪০২০১৪৫৬৫০৪ (ইসলামী ব্যাংক,ঠাকুরগাঁও শাখা)।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা” বাঁচতে চায় ঠাকুরগাঁওয়ের শামীম

আপডেট টাইম : ১২:৫৭:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

মা,ভাই-বোন সহ পরিবারের সুখের আশায় ২০১৪ সালে এক বুক আশা নিয়ে সুদূর লিবিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শামীম। সে আশায় এখন গুড়েবালি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছে সে। বিদেশে পাড়ি দিয়ে সংসারের হাল ধরতে চাওয়া ছেলেটি দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে আজ নিজেই সংসারের বোঝা। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমান এর ছেলে শামীম ইসলামের (৩৬)।

চোরাই পথে বিদেশ (লিবিয়া) যাওয়ার ফলে তাকে পড়তে হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কায়। মাত্র ৪শ দিনার (৮ হাজার টাকা) বেতনে চাকুরী হয় একটি পানির কোম্পানিতে। সেই টাকায় কোনমতে নিজে চললেও উপায় ছিলো না পরিবারকে সহযোগিতা করার। সেখানকার মালিকপক্ষ তার পাসপোর্টটি কেড়ে নেয়ায় অনিচ্ছা সত্বেও সেখানে কাটাতে হয় ৯টি বছর। এরই মধ্যে দেখা দেয় তার শারিরিক নানা জটিলতার এবং হাসপাতালের আইসিইউ এ থাকতে হয় দু সপ্তাহ। ডাক্তার জানায় তার দুটি কিডনিই অচল।

অবশেষে লিবিয়ায় অবস্থানরত এক বাংলাদেশী ভাইয়ের সহায়তায় ও দেশ থেকে পাঠানো বড়ভাই সেলিমের টাকায় কোনরকম দেশে আসে শামীম। সহায়-সম্বল যা ছিলো সব বিক্রি করে চিকিৎসা করানো হলেও ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে সে। বর্তমানে ধার-মহাজন করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সপ্তাহে দুদিন ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে কিডনি সচল রাখার চেষ্টা করছে পরিবার। কিন্তু দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

শামীমের বড় ভাই সেলিম ইসলাম জানান, অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছোটভাইকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু আমাদের সেই আশা পূরণ হলো না। তিন মাসের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। তার চিকিৎসাতেই খরচ হবে ৩০ লক্ষ টাকা। সমাজের বিত্তবানসহ সকলের কাছে আকুল আবেদন করছি-আপনারা আমার ভাইকে বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। যার যতোটুকু সামর্থ আছে তাই দিয়েই সহযোগিতা করুন। সাহায্য পাঠানো যাবে- বিকাশ ও নগদ নম্বর-০১৭২২৮৮৫৮৪৪, ব্যাংক একাউন্ট নং-১৪২১১১২৩৫৩২ (ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড) ও ব্যাংক একাউন্ট নং-২০৫০১৯৪০২০১৪৫৬৫০৪ (ইসলামী ব্যাংক,ঠাকুরগাঁও শাখা)।