ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে ॥ জাফরুল্লাহ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৮:৪১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৯৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থন করি না। তবে তাদের মিটিং মিছিল করাটাকে সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত হত্যা ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য ঢাকা থেকে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট টিম গত ৩ এপ্রিল সেখানে সফর করে ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনার স্থান পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। শুনে এবং দেখে এটিই আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে এই হামলার সঙ্গে তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।

তিনি বলেন, রেল স্টেশনে আগুনের ঘটনা সাতদিন আগে ঘটলেও ৩ এপ্রিল আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন জ্বলছে। এটা কেন? এটা কাকে দেখাতে চান তাহলে এটা কি হেফাজত ইসলাম নাকি জনগণ নাকি অন্য কোনো তৃতীয় রাষ্ট্র এখানে জড়িত।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতি এখন আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের করতে দেন। সেখানকার এমপি একজন আমলা তার কোনো রাজনৈতিক কর্মী নেই। তার রয়েছে পুলিশ ও হেলমেট বাহিনী।

জোনায়েদ সাকী সংবাদ সম্মেলনে সবার পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তব তুলে ধরেন। এক, এগুলোর মধ্যে নিহত আহতদের তালিকা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।দুই, বায়তুল মোকাররম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। তিন, একই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ২০ হাজারের অধিক মানুষের নামে যে মামলা দেওয়া হয়েছে সেই সব মামলার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, মানুষ এখনো কথা বলতে পারেনা। অজ্ঞাতনামা দিয়ে মানুষকে আটকানো সুযোগ হয়েছে। সকলকে এই ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি শিশুর শরীরে গুলিবিদ্ধ অথচ চিকিৎসা নিতে যেতে পারছেনা। এই ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম

জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবী আমানউল্লাহ, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে ॥ জাফরুল্লাহ

আপডেট টাইম : ১০:৩৮:৪১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থন করি না। তবে তাদের মিটিং মিছিল করাটাকে সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আজ সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত হত্যা ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য ঢাকা থেকে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট টিম গত ৩ এপ্রিল সেখানে সফর করে ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনার স্থান পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। শুনে এবং দেখে এটিই আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে এই হামলার সঙ্গে তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।

তিনি বলেন, রেল স্টেশনে আগুনের ঘটনা সাতদিন আগে ঘটলেও ৩ এপ্রিল আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন জ্বলছে। এটা কেন? এটা কাকে দেখাতে চান তাহলে এটা কি হেফাজত ইসলাম নাকি জনগণ নাকি অন্য কোনো তৃতীয় রাষ্ট্র এখানে জড়িত।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতি এখন আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের করতে দেন। সেখানকার এমপি একজন আমলা তার কোনো রাজনৈতিক কর্মী নেই। তার রয়েছে পুলিশ ও হেলমেট বাহিনী।

জোনায়েদ সাকী সংবাদ সম্মেলনে সবার পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তব তুলে ধরেন। এক, এগুলোর মধ্যে নিহত আহতদের তালিকা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।দুই, বায়তুল মোকাররম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। তিন, একই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ২০ হাজারের অধিক মানুষের নামে যে মামলা দেওয়া হয়েছে সেই সব মামলার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, মানুষ এখনো কথা বলতে পারেনা। অজ্ঞাতনামা দিয়ে মানুষকে আটকানো সুযোগ হয়েছে। সকলকে এই ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি শিশুর শরীরে গুলিবিদ্ধ অথচ চিকিৎসা নিতে যেতে পারছেনা। এই ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম

জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবী আমানউল্লাহ, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।