ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন এড.মো. মাসউদ তারাকান্দা উপজেলায় ছেঁড়া ১০টাকা নিয়ে সংঘর্ষে ছেলে নিহত-বাবা সংকটাপন্ন

আতঙ্ক ছড়ানো পতন শেষে বড় উত্থানে শেয়ারবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥

লকডাউন ঘোষণার দিনে আতঙ্ক ছড়ানো দরপতন শেষে সোমবার বড় উত্থানে ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের ঋণ নিয়ে শেয়ার কেনার সুবিধার্থে মার্জিণ ঋণের হার বাড়ানোর ঘোষণা এবং শেয়ারবাজার গত বছরের মধ্যে বন্ধ হচ্ছে না এমন সিদ্ধান্তেই সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৫০ পয়েন্ট।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়। আর এই সময়ে ব্যাংকে লেনদেন হবে আড়াই ঘণ্টা (সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা)। ব্যাংকের সাথে স্বমন্বয় রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় দুই ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে পুঁজিবাজারে। ব্যাংকিং সময়ের সাথে সমন্বয়ের কারণে লেনদেনের প্রভাব ফেললেও শেয়ারবাজার চালুকে ইতিবাচক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে শুরুতে অটোমেটেড লেনদেনের ক্ষেত্রে ঘাটতির কারণে ৬৬দিন শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কিছুটা হলেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। তাই এবার ব্যাংক চালু থাকলে শেয়ারবাজার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে লেনদেন চালাতে কিছুটা সমস্যা হলেও অর্থনীতির স্বার্থে এই ঝুঁকি নিতেই হবে। কারণ করোনা কখন শেষ হবে সেটি এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তাই অর্থনীতি সচল রাখতে শেয়ারবাজার চালুর বিকল্প নেই। খাত সংশ্লিষ্ট সবার রুটি রুজির জন্যই শেয়ারবাজার খোলা রাখা উচিত।

এদিন ডিএসইতে ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে ২৮৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে। রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৫২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার।

এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়েছে। সোমবার ডিএসইতে মোট ৩২১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩১টির, দর কমেছে ১৪টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি কোম্পানির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৫০ পয়েন্ট। সূচকটি ১৪ হাজার ৯৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার।

সিএসইতে মোট ১৮৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, দর কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার

আতঙ্ক ছড়ানো পতন শেষে বড় উত্থানে শেয়ারবাজার

আপডেট টাইম : ১০:২১:১১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥

লকডাউন ঘোষণার দিনে আতঙ্ক ছড়ানো দরপতন শেষে সোমবার বড় উত্থানে ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের ঋণ নিয়ে শেয়ার কেনার সুবিধার্থে মার্জিণ ঋণের হার বাড়ানোর ঘোষণা এবং শেয়ারবাজার গত বছরের মধ্যে বন্ধ হচ্ছে না এমন সিদ্ধান্তেই সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৫০ পয়েন্ট।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়। আর এই সময়ে ব্যাংকে লেনদেন হবে আড়াই ঘণ্টা (সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা)। ব্যাংকের সাথে স্বমন্বয় রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় দুই ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে পুঁজিবাজারে। ব্যাংকিং সময়ের সাথে সমন্বয়ের কারণে লেনদেনের প্রভাব ফেললেও শেয়ারবাজার চালুকে ইতিবাচক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে শুরুতে অটোমেটেড লেনদেনের ক্ষেত্রে ঘাটতির কারণে ৬৬দিন শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কিছুটা হলেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। তাই এবার ব্যাংক চালু থাকলে শেয়ারবাজার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে লেনদেন চালাতে কিছুটা সমস্যা হলেও অর্থনীতির স্বার্থে এই ঝুঁকি নিতেই হবে। কারণ করোনা কখন শেষ হবে সেটি এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তাই অর্থনীতি সচল রাখতে শেয়ারবাজার চালুর বিকল্প নেই। খাত সংশ্লিষ্ট সবার রুটি রুজির জন্যই শেয়ারবাজার খোলা রাখা উচিত।

এদিন ডিএসইতে ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে ২৮৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে। রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৫২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার।

এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়েছে। সোমবার ডিএসইতে মোট ৩২১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩১টির, দর কমেছে ১৪টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি কোম্পানির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৫০ পয়েন্ট। সূচকটি ১৪ হাজার ৯৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার।

সিএসইতে মোট ১৮৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, দর কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।