টেকসই চামড়া শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে কালিয়াকৈরে আলোচনা সভা
- আপডেট টাইম : ০২:৪৯:১২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
টেকসই চামড়া শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করণীয় নির্ধারণে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের মিটিং রুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সলিডার সুইসের তত্ত্বাবধানে ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিল আফরোজ।
সভায় সরকার প্রতিনিধি, চামড়া শিল্পের মালিক পক্ষের প্রতিনিধি, শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল চামড়া শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং এই শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য করণীয়।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চামড়া শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য সবাই মিলে একত্রে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে এনে আমরা এই শিল্পকে আরও উন্নত করতে পারি।
সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন, টেকসই চামড়া শিল্প গড়ে তোলার জন্য পরিবেশগত ক্ষতির কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা প্রয়োজন। শ্রমিকদের সুরক্ষা, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই শিল্পকে আরও টেকসই করা সম্ভব।
ল্যান্ডমার্ক জুতা প্রস্তুতকারী কারখানার পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অফিসার কামরুল হাসান, চামড়া খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, এই খাতের টিকে থাকার জন্য আমাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চামড়া প্রক্রিয়াজাত থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে রাসায়নিকের ব্যবহার রয়েছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই, আমাদের দায়িত্ব পরিবেশকে রক্ষা করে চামড়া শিল্পকে টেকসইভাবে পরিচালনা করা। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো।
সহকারী কমিশনার (ভূমি), কালিয়াকৈর দিল আফরোজ বলেন, চামড়া শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে আনা আমাদের জন্য এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এই খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার, শিল্পমালিক, শ্রমিক এবং স্থানীয় জনগণকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে চামড়া শিল্পকে টেকসইভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে এবং পরিবেশগত ঝুঁকিও হ্রাস পাবে।