ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

নান্দাইলে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতে মাদকের আড্ডা ও চুরি পাশেই থানা তবু দেখার কেউ নেই

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ০২:১৬:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতে মাদকের আড্ডা সহ প্রতিষ্ঠানের সিলিং ফ্যান, পুরাতন চালের ঢেউটিন সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা গত ২ সেপ্টেম্বর ও ২২শে আগস্ট/২৪ইং নান্দাইল মডেল থানায় পৃথক পৃথক চুরির ঘটনায় দুটি সাধারণ ডায়েরী নথিভূক্ত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একটি কিশোরগ্যাং এসমস্ত মাদক আড্ডা সহ চুরির মতো অনৈতিক কর্মর্কান্ড করে যাচ্ছে। যদিও স্কুল থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরেই রয়েছে নান্দাইল মডেল থানা। তথাপিও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় মাদক আড্ডার বিষয়ে কোন সাড়া নেই পুলিশ প্রশাসনের। এছাড়া উক্ত কিশোরগ্যাংয়ের ভয়ে অত্র বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরীও ওদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে নারাজ। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ১৫টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়ে গেছে। জানাগেছে, সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যালয়ের সামনে নরসুন্দা নদীর পাড়ে, বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিংয়ের বারান্দায় ও খোলামাঠে একদল যুবক অর্থাৎ কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে থাকে। এ বিষয়ে কোন কিছু বলার সাহস নেই কারও। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতের বেলায় মাদকের আড্ডার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন সহ জরুরীভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশ কয়েকবার উত্থাপন করেছি, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এছাড়া আমি দূরের মানুষ এখানে চাকুরী করি। অনেক কিছু দেখেও না দেখার মতো থাকতে হয়। এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মজিদ বলেন, প্রায় সময়ই ওই বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পুলিশ পাঠানো হয়। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওইখানের নাইটগার্ডও অনেক সময় পাহারা না দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। এছাড়া ওই কিশোরগ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগও পাচ্ছিনা। তারপরেও বিষয়টি কথিয়ে দেখা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নান্দাইলে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতে মাদকের আড্ডা ও চুরি পাশেই থানা তবু দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম : ০২:১৬:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতে মাদকের আড্ডা সহ প্রতিষ্ঠানের সিলিং ফ্যান, পুরাতন চালের ঢেউটিন সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা গত ২ সেপ্টেম্বর ও ২২শে আগস্ট/২৪ইং নান্দাইল মডেল থানায় পৃথক পৃথক চুরির ঘটনায় দুটি সাধারণ ডায়েরী নথিভূক্ত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একটি কিশোরগ্যাং এসমস্ত মাদক আড্ডা সহ চুরির মতো অনৈতিক কর্মর্কান্ড করে যাচ্ছে। যদিও স্কুল থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরেই রয়েছে নান্দাইল মডেল থানা। তথাপিও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় মাদক আড্ডার বিষয়ে কোন সাড়া নেই পুলিশ প্রশাসনের। এছাড়া উক্ত কিশোরগ্যাংয়ের ভয়ে অত্র বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরীও ওদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে নারাজ। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ১৫টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়ে গেছে। জানাগেছে, সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যালয়ের সামনে নরসুন্দা নদীর পাড়ে, বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিংয়ের বারান্দায় ও খোলামাঠে একদল যুবক অর্থাৎ কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে থাকে। এ বিষয়ে কোন কিছু বলার সাহস নেই কারও। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতের বেলায় মাদকের আড্ডার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন সহ জরুরীভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশ কয়েকবার উত্থাপন করেছি, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এছাড়া আমি দূরের মানুষ এখানে চাকুরী করি। অনেক কিছু দেখেও না দেখার মতো থাকতে হয়। এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মজিদ বলেন, প্রায় সময়ই ওই বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পুলিশ পাঠানো হয়। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওইখানের নাইটগার্ডও অনেক সময় পাহারা না দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। এছাড়া ওই কিশোরগ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগও পাচ্ছিনা। তারপরেও বিষয়টি কথিয়ে দেখা হবে।