ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বলিউড সিনেমা ‘লাক’ এর গল্প চুরি করে তৈরি ‘স্কুইড গেম’! শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত এ সময় প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টার সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ হবে ঢাবি ও জাবিতে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই: কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো দিনের শুরুতেই হাসানের তিন উইকেট, উড়ন্ত শুরু বাংলাদেশের যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে নিউইয়র্কে হচ্ছে না ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক গণহত্যায় শহীদ পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা বরাবর, মাননীয় – প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাপ্রধান – বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

নান্দাইলে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতে মাদকের আড্ডা ও চুরি পাশেই থানা তবু দেখার কেউ নেই

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ০২:১৬:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতে মাদকের আড্ডা সহ প্রতিষ্ঠানের সিলিং ফ্যান, পুরাতন চালের ঢেউটিন সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা গত ২ সেপ্টেম্বর ও ২২শে আগস্ট/২৪ইং নান্দাইল মডেল থানায় পৃথক পৃথক চুরির ঘটনায় দুটি সাধারণ ডায়েরী নথিভূক্ত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একটি কিশোরগ্যাং এসমস্ত মাদক আড্ডা সহ চুরির মতো অনৈতিক কর্মর্কান্ড করে যাচ্ছে। যদিও স্কুল থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরেই রয়েছে নান্দাইল মডেল থানা। তথাপিও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় মাদক আড্ডার বিষয়ে কোন সাড়া নেই পুলিশ প্রশাসনের। এছাড়া উক্ত কিশোরগ্যাংয়ের ভয়ে অত্র বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরীও ওদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে নারাজ। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ১৫টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়ে গেছে। জানাগেছে, সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যালয়ের সামনে নরসুন্দা নদীর পাড়ে, বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিংয়ের বারান্দায় ও খোলামাঠে একদল যুবক অর্থাৎ কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে থাকে। এ বিষয়ে কোন কিছু বলার সাহস নেই কারও। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতের বেলায় মাদকের আড্ডার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন সহ জরুরীভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশ কয়েকবার উত্থাপন করেছি, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এছাড়া আমি দূরের মানুষ এখানে চাকুরী করি। অনেক কিছু দেখেও না দেখার মতো থাকতে হয়। এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মজিদ বলেন, প্রায় সময়ই ওই বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পুলিশ পাঠানো হয়। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওইখানের নাইটগার্ডও অনেক সময় পাহারা না দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। এছাড়া ওই কিশোরগ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগও পাচ্ছিনা। তারপরেও বিষয়টি কথিয়ে দেখা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নান্দাইলে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতে মাদকের আড্ডা ও চুরি পাশেই থানা তবু দেখার কেউ নেই

আপডেট টাইম : ০২:১৬:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতে মাদকের আড্ডা সহ প্রতিষ্ঠানের সিলিং ফ্যান, পুরাতন চালের ঢেউটিন সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা গত ২ সেপ্টেম্বর ও ২২শে আগস্ট/২৪ইং নান্দাইল মডেল থানায় পৃথক পৃথক চুরির ঘটনায় দুটি সাধারণ ডায়েরী নথিভূক্ত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একটি কিশোরগ্যাং এসমস্ত মাদক আড্ডা সহ চুরির মতো অনৈতিক কর্মর্কান্ড করে যাচ্ছে। যদিও স্কুল থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরেই রয়েছে নান্দাইল মডেল থানা। তথাপিও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় মাদক আড্ডার বিষয়ে কোন সাড়া নেই পুলিশ প্রশাসনের। এছাড়া উক্ত কিশোরগ্যাংয়ের ভয়ে অত্র বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরীও ওদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে নারাজ। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ১৫টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়ে গেছে। জানাগেছে, সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যালয়ের সামনে নরসুন্দা নদীর পাড়ে, বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিংয়ের বারান্দায় ও খোলামাঠে একদল যুবক অর্থাৎ কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে থাকে। এ বিষয়ে কোন কিছু বলার সাহস নেই কারও। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় রাতের বেলায় মাদকের আড্ডার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন সহ জরুরীভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশ কয়েকবার উত্থাপন করেছি, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এছাড়া আমি দূরের মানুষ এখানে চাকুরী করি। অনেক কিছু দেখেও না দেখার মতো থাকতে হয়। এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মজিদ বলেন, প্রায় সময়ই ওই বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পুলিশ পাঠানো হয়। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওইখানের নাইটগার্ডও অনেক সময় পাহারা না দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। এছাড়া ওই কিশোরগ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগও পাচ্ছিনা। তারপরেও বিষয়টি কথিয়ে দেখা হবে।