ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ!

আমতলীতে জিনবুনিয়ার ফ্লাসিং সুলিজ গেট দখল করে বাড়ী নির্মান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে পানি নিস্কাশন। যান চলাচল বন্ধ হাজারো মানুষের ভোগান্তি

মোঃ ইকবাল হোসেন,বরগুনা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৮৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

আমতলী উপজেলার পশ্চিম গাজীপুর এলাকার জিনবুনিয়া খালের ফ্লাসিং স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদুর মৃধা, মজিবুর মৃধা ও তাদের সহযোগীরা। ওই এলাকার পানি নিস্কাশনে তারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ কেটে দিয়েছে। এতে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী, নলুয়াবাগী, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর ও হলদিয়া ইউনিয়নের শত শত যান বাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পরেছে হাজার হাজার মানুষ। দ্রুত অবৈধভাবে স্লুইজ গেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ কাটার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

জানাগেছে, ১৯৬৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন বাসীদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ নিমার্ণ করেন। ওই বাঁধের ওপরে ৩০ বছর আগে সড়ক ও জনপথ পাকা রাস্তা নিমার্ণ করে। ওই রাস্তা দিয়ে গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী, গোলখালী, আঠারোগাছিয় ইউনিয়নের গাজীপুর, হলদিয়া ইউনিয়নের শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে। গাজীপুর এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় সরকার গত ৩৫ বছর আগে জিনবুনিয়া খালে ফ্লাসিং স্লুইজ গেট নিমার্ণ করে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদার মৃধা, মজিবুর মৃধা ও তাদের সহযোগী ওই স্লুইজগেট আটকে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দেয়। পরে ওই স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ করেছেন তারা। এতে পশ্চিম গাজীপুর এলাকার পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার বিকেলে ওই প্রভাবশালী ও সফিউল মৃধা পশ্চিম গাজীপুর জিনবুনিয়া খালের আজাহার মাষ্টার বাড়ীর সামনে থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁঁধ কেটে দিয়েছে। এতে গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী, গোলখালী, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর ও হলদিয়া ইউনিয়নে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ। দ্রুত তদন্ত করে জিনবুনিয়া খালের ফ্লাসিং স্লুইজ দখল মুক্ত এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ কেটে দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, স্থানীয় ২০-২৫ জন মানুষ বেকু মেশিন লাগিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ কেটে দিচ্ছে। পাশে শত শত যানবাহন দাড়িয়ে আছে।

পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, পানি নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় সরকার গত ৩৫ বছর আগে জিনবুনিয়া খালে ফ্লাসিং স্লুইজ গেট নিমার্ণ করে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদার মৃধা, মজিবুর মৃধা ও তাদের সহযোগীরা ওই স্লুইজগেট আটকে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দেয়। পরে ওই স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ করেছেন তারা। বর্তমানে পানি নিস্কাশনের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ কেটে দিয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পরেছে। তিনি আরো বলেন, ওই প্রভাবশালীরা বর্তমানে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি কেটে খাল খনন করছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, যারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ কেটে পানি নিস্কাশন করছে তারাই জিনবুনিয়া খালের ফ্লাসিং স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ করেছেন।

স্থানীয় সফিউল মৃধা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে পানি নিস্কাশনে আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে দিয়েছি। তবে স্লুইজগেট দখল করে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে রেখেছেন কেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি?

আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ কেটে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়নি। যারা কেটেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ কাটার কোন বিধান নেই। যারা কেটেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেও বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমতলীতে জিনবুনিয়ার ফ্লাসিং সুলিজ গেট দখল করে বাড়ী নির্মান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে পানি নিস্কাশন। যান চলাচল বন্ধ হাজারো মানুষের ভোগান্তি

আপডেট টাইম : ০৭:১৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

আমতলী উপজেলার পশ্চিম গাজীপুর এলাকার জিনবুনিয়া খালের ফ্লাসিং স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদুর মৃধা, মজিবুর মৃধা ও তাদের সহযোগীরা। ওই এলাকার পানি নিস্কাশনে তারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ কেটে দিয়েছে। এতে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী, নলুয়াবাগী, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর ও হলদিয়া ইউনিয়নের শত শত যান বাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পরেছে হাজার হাজার মানুষ। দ্রুত অবৈধভাবে স্লুইজ গেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ কাটার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

জানাগেছে, ১৯৬৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন বাসীদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ নিমার্ণ করেন। ওই বাঁধের ওপরে ৩০ বছর আগে সড়ক ও জনপথ পাকা রাস্তা নিমার্ণ করে। ওই রাস্তা দিয়ে গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী, গোলখালী, আঠারোগাছিয় ইউনিয়নের গাজীপুর, হলদিয়া ইউনিয়নের শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে। গাজীপুর এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় সরকার গত ৩৫ বছর আগে জিনবুনিয়া খালে ফ্লাসিং স্লুইজ গেট নিমার্ণ করে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদার মৃধা, মজিবুর মৃধা ও তাদের সহযোগী ওই স্লুইজগেট আটকে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দেয়। পরে ওই স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ করেছেন তারা। এতে পশ্চিম গাজীপুর এলাকার পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার বিকেলে ওই প্রভাবশালী ও সফিউল মৃধা পশ্চিম গাজীপুর জিনবুনিয়া খালের আজাহার মাষ্টার বাড়ীর সামনে থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁঁধ কেটে দিয়েছে। এতে গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী, গোলখালী, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর ও হলদিয়া ইউনিয়নে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ। দ্রুত তদন্ত করে জিনবুনিয়া খালের ফ্লাসিং স্লুইজ দখল মুক্ত এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ কেটে দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, স্থানীয় ২০-২৫ জন মানুষ বেকু মেশিন লাগিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ কেটে দিচ্ছে। পাশে শত শত যানবাহন দাড়িয়ে আছে।

পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, পানি নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় সরকার গত ৩৫ বছর আগে জিনবুনিয়া খালে ফ্লাসিং স্লুইজ গেট নিমার্ণ করে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী বাহাদার মৃধা, মজিবুর মৃধা ও তাদের সহযোগীরা ওই স্লুইজগেট আটকে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দেয়। পরে ওই স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ করেছেন তারা। বর্তমানে পানি নিস্কাশনের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ কেটে দিয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পরেছে। তিনি আরো বলেন, ওই প্রভাবশালীরা বর্তমানে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি কেটে খাল খনন করছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, যারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ কেটে পানি নিস্কাশন করছে তারাই জিনবুনিয়া খালের ফ্লাসিং স্লুইজগেট দখল করে বাড়ী নিমার্ণ করেছেন।

স্থানীয় সফিউল মৃধা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে পানি নিস্কাশনে আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে দিয়েছি। তবে স্লুইজগেট দখল করে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে রেখেছেন কেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি?

আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ কেটে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়নি। যারা কেটেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ কাটার কোন বিধান নেই। যারা কেটেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেও বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে