ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ

অর্থনীতি পুনর্গঠনে কী করছে ইউনূস সরকার

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

লুটপাট, টাকাপাচার বা দুর্নীতি নিয়ে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যদি এই কাজটি করে তাহলে সবগুলো একসঙ্গে নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটা শ্বেতপত্রটা প্রকাশ করা যেতে পারে। 

অর্থনীতিবিদরাও কয়েকদিন ধরে বলছেন, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা জরুরি। অর্থনৈতিক সেক্টরের লুটপাট, টাকাপাচার নিয়ে অনেকেই একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করার কথা বলছেন। আপনাদের এমন কোন পরিকল্পনা আছে কিনা? জানতে চাইলে গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই প্রয়োজন। আমি নিজেও সেটা মনে করি। মন্ত্রণালয় থেকে যদি নাও হয় তাহলেও আমি নিজে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটা রোডম্যাপ দিয়ে দিব। আমার জায়গা থেকে রোডম্যাপটা অর্থাৎ শ্বেতপত্রটা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, ১০০ দিনের মধ্যে যেন এটা পারা যায়। ১০০ দিনের মধ্যে একটা আউটলাইন হবে, এর বেশি হবে না। এরপর এই আউটলাইনটাকে বাস্তবায়নের রোডম্যাপে নিয়ে যেতে হবে। সেটা করতেও কিন্তু ৬ মাস থেকে ৯ মাস লাগবে। আমরা আশা করছি, সবার সহযোগিতা নিয়ে অর্থনীতির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’

 বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থনীতি পুর্নগঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথমেই কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন? জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘তাদের প্রথম কর্তব্য হল অর্থনীতির যে পরিস্থিতি সেটার একটা সম্যক উপলব্ধি লাভ করা। সাম্প্রতিককালে যে অর্থনীতির জটিল টানাপোড়েন চলছে সেটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ।এটার জন্য আমি একটা শ্বেতপত্র তৈরি করতে বলেছি। সেটা করলে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছতা আসবে। সংকটের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা আসবে এবং পরবর্তীতে পদক্ষেপগুলো সম্পর্কেও এক ধরনের পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। এটা একটা বড় কাজ বলে আমি মনে করি। যেহেতু সাম্প্রতিককালে তথ্য উপাত্ত নিয়ে অনেক সংশয় ছিল, সেহেতু তথ্য উপাত্তের সঠিকটা যাচাই করে পরিস্থিতির একটা বেঞ্চমার্ক যেটাকে আমরা বলি ভিত্তি পরিস্থিতি বোঝা যাবে।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অর্থনীতি পুনর্গঠনে কী করছে ইউনূস সরকার

আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

লুটপাট, টাকাপাচার বা দুর্নীতি নিয়ে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যদি এই কাজটি করে তাহলে সবগুলো একসঙ্গে নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটা শ্বেতপত্রটা প্রকাশ করা যেতে পারে। 

অর্থনীতিবিদরাও কয়েকদিন ধরে বলছেন, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা জরুরি। অর্থনৈতিক সেক্টরের লুটপাট, টাকাপাচার নিয়ে অনেকেই একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করার কথা বলছেন। আপনাদের এমন কোন পরিকল্পনা আছে কিনা? জানতে চাইলে গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই প্রয়োজন। আমি নিজেও সেটা মনে করি। মন্ত্রণালয় থেকে যদি নাও হয় তাহলেও আমি নিজে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটা রোডম্যাপ দিয়ে দিব। আমার জায়গা থেকে রোডম্যাপটা অর্থাৎ শ্বেতপত্রটা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, ১০০ দিনের মধ্যে যেন এটা পারা যায়। ১০০ দিনের মধ্যে একটা আউটলাইন হবে, এর বেশি হবে না। এরপর এই আউটলাইনটাকে বাস্তবায়নের রোডম্যাপে নিয়ে যেতে হবে। সেটা করতেও কিন্তু ৬ মাস থেকে ৯ মাস লাগবে। আমরা আশা করছি, সবার সহযোগিতা নিয়ে অর্থনীতির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’

 বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থনীতি পুর্নগঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথমেই কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন? জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘তাদের প্রথম কর্তব্য হল অর্থনীতির যে পরিস্থিতি সেটার একটা সম্যক উপলব্ধি লাভ করা। সাম্প্রতিককালে যে অর্থনীতির জটিল টানাপোড়েন চলছে সেটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ।এটার জন্য আমি একটা শ্বেতপত্র তৈরি করতে বলেছি। সেটা করলে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছতা আসবে। সংকটের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা আসবে এবং পরবর্তীতে পদক্ষেপগুলো সম্পর্কেও এক ধরনের পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। এটা একটা বড় কাজ বলে আমি মনে করি। যেহেতু সাম্প্রতিককালে তথ্য উপাত্ত নিয়ে অনেক সংশয় ছিল, সেহেতু তথ্য উপাত্তের সঠিকটা যাচাই করে পরিস্থিতির একটা বেঞ্চমার্ক যেটাকে আমরা বলি ভিত্তি পরিস্থিতি বোঝা যাবে।’