ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশ, নেতৃত্বে ড. ইউনূস: দ্য ইকোনমিস্ট গভীর রাতে ৭৫০ জনকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ পরিবহণসহ ৫ খাতে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ ট্রাম্পের পরোক্ষ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান পুতিনের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প মধ্যরাতের অধ্যাদেশ’ বাতিলে সারাদেশে কলম বিরতি এনবিআরের একাধিক নেতাদের গণপদত্যাগ আগামী ১৫ ও ১৭ মে পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি

অর্থনীতি পুনর্গঠনে কী করছে ইউনূস সরকার

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৩৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

লুটপাট, টাকাপাচার বা দুর্নীতি নিয়ে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যদি এই কাজটি করে তাহলে সবগুলো একসঙ্গে নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটা শ্বেতপত্রটা প্রকাশ করা যেতে পারে। 

অর্থনীতিবিদরাও কয়েকদিন ধরে বলছেন, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা জরুরি। অর্থনৈতিক সেক্টরের লুটপাট, টাকাপাচার নিয়ে অনেকেই একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করার কথা বলছেন। আপনাদের এমন কোন পরিকল্পনা আছে কিনা? জানতে চাইলে গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই প্রয়োজন। আমি নিজেও সেটা মনে করি। মন্ত্রণালয় থেকে যদি নাও হয় তাহলেও আমি নিজে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটা রোডম্যাপ দিয়ে দিব। আমার জায়গা থেকে রোডম্যাপটা অর্থাৎ শ্বেতপত্রটা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, ১০০ দিনের মধ্যে যেন এটা পারা যায়। ১০০ দিনের মধ্যে একটা আউটলাইন হবে, এর বেশি হবে না। এরপর এই আউটলাইনটাকে বাস্তবায়নের রোডম্যাপে নিয়ে যেতে হবে। সেটা করতেও কিন্তু ৬ মাস থেকে ৯ মাস লাগবে। আমরা আশা করছি, সবার সহযোগিতা নিয়ে অর্থনীতির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’

 বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থনীতি পুর্নগঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথমেই কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন? জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘তাদের প্রথম কর্তব্য হল অর্থনীতির যে পরিস্থিতি সেটার একটা সম্যক উপলব্ধি লাভ করা। সাম্প্রতিককালে যে অর্থনীতির জটিল টানাপোড়েন চলছে সেটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ।এটার জন্য আমি একটা শ্বেতপত্র তৈরি করতে বলেছি। সেটা করলে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছতা আসবে। সংকটের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা আসবে এবং পরবর্তীতে পদক্ষেপগুলো সম্পর্কেও এক ধরনের পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। এটা একটা বড় কাজ বলে আমি মনে করি। যেহেতু সাম্প্রতিককালে তথ্য উপাত্ত নিয়ে অনেক সংশয় ছিল, সেহেতু তথ্য উপাত্তের সঠিকটা যাচাই করে পরিস্থিতির একটা বেঞ্চমার্ক যেটাকে আমরা বলি ভিত্তি পরিস্থিতি বোঝা যাবে।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অর্থনীতি পুনর্গঠনে কী করছে ইউনূস সরকার

আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

লুটপাট, টাকাপাচার বা দুর্নীতি নিয়ে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় যদি এই কাজটি করে তাহলে সবগুলো একসঙ্গে নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটা শ্বেতপত্রটা প্রকাশ করা যেতে পারে। 

অর্থনীতিবিদরাও কয়েকদিন ধরে বলছেন, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা জরুরি। অর্থনৈতিক সেক্টরের লুটপাট, টাকাপাচার নিয়ে অনেকেই একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করার কথা বলছেন। আপনাদের এমন কোন পরিকল্পনা আছে কিনা? জানতে চাইলে গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই প্রয়োজন। আমি নিজেও সেটা মনে করি। মন্ত্রণালয় থেকে যদি নাও হয় তাহলেও আমি নিজে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটা রোডম্যাপ দিয়ে দিব। আমার জায়গা থেকে রোডম্যাপটা অর্থাৎ শ্বেতপত্রটা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, ১০০ দিনের মধ্যে যেন এটা পারা যায়। ১০০ দিনের মধ্যে একটা আউটলাইন হবে, এর বেশি হবে না। এরপর এই আউটলাইনটাকে বাস্তবায়নের রোডম্যাপে নিয়ে যেতে হবে। সেটা করতেও কিন্তু ৬ মাস থেকে ৯ মাস লাগবে। আমরা আশা করছি, সবার সহযোগিতা নিয়ে অর্থনীতির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’

 বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থনীতি পুর্নগঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথমেই কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন? জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘তাদের প্রথম কর্তব্য হল অর্থনীতির যে পরিস্থিতি সেটার একটা সম্যক উপলব্ধি লাভ করা। সাম্প্রতিককালে যে অর্থনীতির জটিল টানাপোড়েন চলছে সেটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ।এটার জন্য আমি একটা শ্বেতপত্র তৈরি করতে বলেছি। সেটা করলে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছতা আসবে। সংকটের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা আসবে এবং পরবর্তীতে পদক্ষেপগুলো সম্পর্কেও এক ধরনের পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। এটা একটা বড় কাজ বলে আমি মনে করি। যেহেতু সাম্প্রতিককালে তথ্য উপাত্ত নিয়ে অনেক সংশয় ছিল, সেহেতু তথ্য উপাত্তের সঠিকটা যাচাই করে পরিস্থিতির একটা বেঞ্চমার্ক যেটাকে আমরা বলি ভিত্তি পরিস্থিতি বোঝা যাবে।’