মির্জাগঞ্জে প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ” বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট টাইম : ০৩:০৫:২০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৪
- / ৩০ ৫০০০.০ বার পাঠক
করার অভিযোগে কোর্টে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই যুবতী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ।
বৃহস্পতিবার রাত অনুমান দশটায় উপজেলার, মজিদ বাড়িয়া ইউনিয়নের, হোসনাবাদ এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবারটি গরীব হওয়ায় ,প্রভাবশালী ধর্ষণকারীরা মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি শনিবার সকাল দশটায় নিজ এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন, এসময় মেয়েটির বাবা প্রতিবন্ধী সামসুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন বাড়িতে কেউ না থাকায় আমার যুবতী প্রতিবন্ধী কন্যাকে একা পেয়ে অভিযুক্ত ঘাতক খুনের ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।
মামলার আসামিরা হলেন ছালাম বেপারী ,পান্না খান , হাদিস প্যাদা।সংবাদ সম্মেলনে যুবতী বলেন আসামীরা এবং আমরা একই বাড়ীর লোক আমি প্রতিবন্ধি। আমার বাবা সামসুল হক পঙ্গু এবং নিত্যান্ত গরিব মানুষ। গ্রামে গ্রামে বাবা মা মিলিয়া পাওয়া রুটি ফেরী করে। আমি একা ঘরে থাকি। আসামীরা আমরা একই বাড়ীর লোক বিধায় আমাগো ঘরে প্রায়ই আসা যাওয়া করিত। ১নং আসামী আমাকে টাকার প্রলোভন সহ বিবাহের প্রলোভন, মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলিয়া একাধিকবার ধর্ষন করার জন্য আমাকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে এবং ধর্ষন করার জন্য বিভিন্ন অনুরোধ করিত। আমি তাহাদের কথায় রাজী না হইলে ইং ২০ জুন ২০২৪ তারিখ আমার ঘরে কেহ না থাকায় সন্ধ্যায় আসামীরা পানি খাওয়ার কথা বলিয়া আমার ঘরে প্রবেশ করিয়া আমাকে বলে তোকে বিবাহ করিব এখন থেকে তুই আমার স্ত্রীর মত থাকবি। এই বলে আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১নং আসামী জোর করে মুখ চাপিয়া ধরিয়া ঘরের মাঝখানে খাটের উপরে শোয়াইয়া ধর্ষন করে। যাওয়ার সময় আমার পা ধরিয়া বলে যে, কারো কাছে জানাবা না আমি ১৫ দিনের মধ্যে কাজীর মাধ্যমে তোকে বিবাহ করিব। আমি কান্নাকাটি করিলে আমাকে এই বলিয়া আশ্বাস দেয় যে, আমি তোমাকে ১৫ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ করিয়া সংসার করিব তার লজ্জার কারণে কারো কাছে বলি নাই। আসামী মাঝে মধ্যে সকলের অগোচরে আমার ঘরে আসিয়া এমনিভাবে আরও ১০/১২ দিন ধর্ষণ করে। এক পর্যায় আমি অন্তঃস্বত্ত্বা হইয়া পরি। পরবর্তীতে ২/৩নং আসামীর কু- প্ররোচনায় ১নং আসামী আমাকে ঔষধ খাওয়াইয়া গর্ভপাত করায়। যাহা আমার পিতা-মাতা জানিতে পারে এবং আমি ঘটনার বিস্তারিত আমার পিতা-মাতাকে বলি। আসামী আজ-কাল বলিয়া বিবাহ করিবে বলিয়া ঘুরাইতে থাকে। একপর্যায় ২/৩নং আসামী ১নং আসামীকে বিবাহ করিতে নিষেধ করে এবং দূরে সরাইয়া দিয়া ১নং আসামীকে সহযোগিতা করে। এক পর্যায়ে গত ইং ১০ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ৮.০০ ঘটিকায় ১নং আসামী আমাকে বিবাহ করার কথা সাফ অস্বীকার করিলে আমি প্রোক্ত ঘটনার বিষয় ঐ দিনই নিরূপায় হইয়া বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে অত্র মামলা দায়ের করি। তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।