ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দুরবাস থাকতে পারবে না-মামুনুল হক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংবাদপত্র কর্মী
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৮১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করা হলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দূতাবাস থাকতে পারবে না বলে হুশিয়ারি করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত গণসমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। দেশে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া  নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা খুনের নেশায় মাতাল। বর্তমান পৃথিবীতে বড়-বড় খুনের নেশায় মাতাল আছেন এক নম্বরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী), দুই নম্বর নরেন্দ্র মোদি (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) এবং তিন নম্বর বাংলাদেশের বিদায়ী ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা। এই শেখ হাসিনা এখন খুনের নেশায় মাতাল হয়ে নরেন্দ্র মোদির সাথে আখড়া গড়েছে। যদি সেখান থেকে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দূতাবাস থাকতে পারবে না।

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বিভিন্ন থানায়, আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। খুনী হাসিনাকে ধরে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বিগত দিনে যেভাবে আমরা রক্ত দিয়েছি পিলখানায়, যেভাবে রক্ত দিয়েছি শাপলা চত্বরে এবং যেভাবে রক্ত দিয়েছি মোদিবিরোধী আন্দোলনে হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়- ঠিক আগামীদিনে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, ইসলামের হেফাজতের জন্য- তাহলে স্বাধীনতার ঝান্ডা নিয়ে রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি’।

গণ সমাবেশ থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে বিশেষ ৮দফা ঘোষণা পাঠ করেন হেফাজত নেতা মাওলানা মাজহারুল হক কাসেমী। দফায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে ১৪ জন শাহাদাত বরন করেছে।  এই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

বিগত ২০০১ ২০১৩, ২০১৬ এবং ২০২১ সালে হেফাজতের নেতাকর্মীদের যারা নির্মমভাবে শহীদ করেছে, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতের দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।  এছাড়া দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের এবং তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির মাদ্রাসার ছাত্ররা পাহাড়া দিচ্ছে বলে জানিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা সকল ধর্মের সহ অবস্থান বিশ্বাস করি। ছাত্র জনতার আন্দোলনে পরাজিত আওয়ামী স্বৈরশাসকদের লোকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের ব্যবহার করে নৈরাজ তৈরী করার চেষ্টা করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সচেতন ছাত্র জনতা তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিহত করা ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার আহবান জানান।

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা মুফতি মোবারকুল্লাহ(দা.বা.) সভাপতিত্বে ও মাও মাজহারুল হক কাসেমী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন আফতাবী, মাও ইমাম হুসাইন ও মাও তাজুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান,কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হুসেন রাজী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল কাসেমী, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, মাওলানা আতাউল্লাহ হামদী, মাওলানা আফসার মাহমুদ রব্বানীসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দুরবাস থাকতে পারবে না-মামুনুল হক

আপডেট টাইম : ০৪:১৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করা হলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দূতাবাস থাকতে পারবে না বলে হুশিয়ারি করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত গণসমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। দেশে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া  নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা খুনের নেশায় মাতাল। বর্তমান পৃথিবীতে বড়-বড় খুনের নেশায় মাতাল আছেন এক নম্বরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী), দুই নম্বর নরেন্দ্র মোদি (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) এবং তিন নম্বর বাংলাদেশের বিদায়ী ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা। এই শেখ হাসিনা এখন খুনের নেশায় মাতাল হয়ে নরেন্দ্র মোদির সাথে আখড়া গড়েছে। যদি সেখান থেকে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দূতাবাস থাকতে পারবে না।

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বিভিন্ন থানায়, আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। খুনী হাসিনাকে ধরে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বিগত দিনে যেভাবে আমরা রক্ত দিয়েছি পিলখানায়, যেভাবে রক্ত দিয়েছি শাপলা চত্বরে এবং যেভাবে রক্ত দিয়েছি মোদিবিরোধী আন্দোলনে হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়- ঠিক আগামীদিনে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, ইসলামের হেফাজতের জন্য- তাহলে স্বাধীনতার ঝান্ডা নিয়ে রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি’।

গণ সমাবেশ থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে বিশেষ ৮দফা ঘোষণা পাঠ করেন হেফাজত নেতা মাওলানা মাজহারুল হক কাসেমী। দফায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে ১৪ জন শাহাদাত বরন করেছে।  এই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

বিগত ২০০১ ২০১৩, ২০১৬ এবং ২০২১ সালে হেফাজতের নেতাকর্মীদের যারা নির্মমভাবে শহীদ করেছে, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতের দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।  এছাড়া দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের এবং তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির মাদ্রাসার ছাত্ররা পাহাড়া দিচ্ছে বলে জানিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা সকল ধর্মের সহ অবস্থান বিশ্বাস করি। ছাত্র জনতার আন্দোলনে পরাজিত আওয়ামী স্বৈরশাসকদের লোকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের ব্যবহার করে নৈরাজ তৈরী করার চেষ্টা করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সচেতন ছাত্র জনতা তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিহত করা ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার আহবান জানান।

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা মুফতি মোবারকুল্লাহ(দা.বা.) সভাপতিত্বে ও মাও মাজহারুল হক কাসেমী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন আফতাবী, মাও ইমাম হুসাইন ও মাও তাজুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান,কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হুসেন রাজী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল কাসেমী, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, মাওলানা আতাউল্লাহ হামদী, মাওলানা আফসার মাহমুদ রব্বানীসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দ।