ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাত্রলীগ, যুবলীগের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে আমরা প্রস্তুত আছি: হাসনাত আবদুল্লাহ সন্ধ্যায় শপথ উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে পীরগঞ্জে আগাম শীত- স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশু সহ বয়োবৃদ্ধরা ২৪ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকরা, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা হাসিনাসহ পলাতকদের ফেরাতে রেড নোটিশ জারি করছে সরকার আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ বৈষমহীন দেশ গঠনে রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কালীতলায় ইউপি সদস্য মফিজুল হকের জবরদখল করা একটি আস্তানায় গোপন ক্যমেরায় বখাটেদের মাদক সেবন করার সত্যতা উঠে আসে মধ্যপ্রাচ্য বৈরুতের লেবানিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ইসরায়েলের বিমান হামলা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক আওয়ামী লীগের

১১ ঘণ্টা পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন চলাচল শুরু

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৮:৪২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১
  • / ৩২১ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার কাজী মোজাম্মেল।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর আবারও শুরু হলো ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালী ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল। হেফাজতে ইসলামের হরতালে নিরাপত্তার কারণে রবিবার (২৯ মার্চ) সকাল নয়টার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় এসব রুটের ট্রেন চলাচল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রবিবার রাত ১০টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার শয়েব আহমেদ জানান, রবিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে মালবাহী ট্রেন ছেড়ে যায়। পরে সকাল নয়টায় সিলেটের উদ্দেশে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। এরপর থেকে হরতালে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এর আগে রবিবার সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে ভাঙচুর চালানো হয়। খুলে ফেলা হয় রেললাইনের নাট-বল্টু। লাইনের ওপর কংক্রিটের স্লাবও ফেলে রাখে হরতালকারীরা আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝখানে ১৮ নম্বর রেলসেতুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তার কারণে সকাল নয়টার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, সকাল আটটার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকার পথে একটি মালবাহী ট্রেন আসে। এরপর ঢাকা থেকে সিলেটমুখী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন যায়। এরপর আর কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের কাছাকাছি হামলার মুখে পড়লে ট্রেনটিকে ফিরিয়ে ভৈরব নিয়ে আসা হয়। এটি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হতে পারে।

রেল কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামমুখী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে আছে নরসিংদীর আমিরগঞ্জে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে যাওয়া তিতাস কমিউটার ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে নরসিংদীর ঝিনারদিতে। নোয়াখালী থেকে ঢাকার পথে আসা উপকূল এক্সপ্রেস আটকে রয়েছে আখাউড়ায়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বসে আছে। সিলেট থেকে ঢাকামুখী কালনী এক্সপ্রেস বসে আছে হবিগঞ্জের আজমপুরে। চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহের পথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস কুমিল্লায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মেইল ট্রেন কর্ণফুলী এক্সপ্রেস আটকে রয়েছে নরসিংদী স্টেশনে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় তাণ্ডব চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা

গত শনিবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রী ওঠানামার সময় নাশকতা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই যাত্রাবিরতি বন্ধ রাখা হয়েছে। সকালে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সভা করে।

শনিবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে অন্তত আটজন নিহত হয় বলে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও দারুল আরকান মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাজিদুর রহমান জানান। এছাড়াও আরো অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। নিহতরা হলেন জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারিউড়া মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২) বুধলের প্লাম্বার শ্রমিক কাউসার (২৫), জোবায়ের মিয়া (১৪), আখাউড়া মনিয়ন্দের মাওলানা হোসাইন(২২), সদর উপজেলার কলাইমুড়ি এলাকার সুলতান ও বুধলের কাওসার মিয়া।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

১১ ঘণ্টা পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন চলাচল শুরু

আপডেট টাইম : ০৯:২৮:৪২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার কাজী মোজাম্মেল।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর আবারও শুরু হলো ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালী ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল। হেফাজতে ইসলামের হরতালে নিরাপত্তার কারণে রবিবার (২৯ মার্চ) সকাল নয়টার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় এসব রুটের ট্রেন চলাচল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রবিবার রাত ১০টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার শয়েব আহমেদ জানান, রবিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে মালবাহী ট্রেন ছেড়ে যায়। পরে সকাল নয়টায় সিলেটের উদ্দেশে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। এরপর থেকে হরতালে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এর আগে রবিবার সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে ভাঙচুর চালানো হয়। খুলে ফেলা হয় রেললাইনের নাট-বল্টু। লাইনের ওপর কংক্রিটের স্লাবও ফেলে রাখে হরতালকারীরা আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝখানে ১৮ নম্বর রেলসেতুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তার কারণে সকাল নয়টার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, সকাল আটটার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকার পথে একটি মালবাহী ট্রেন আসে। এরপর ঢাকা থেকে সিলেটমুখী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন যায়। এরপর আর কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের কাছাকাছি হামলার মুখে পড়লে ট্রেনটিকে ফিরিয়ে ভৈরব নিয়ে আসা হয়। এটি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হতে পারে।

রেল কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামমুখী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে আছে নরসিংদীর আমিরগঞ্জে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে যাওয়া তিতাস কমিউটার ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে নরসিংদীর ঝিনারদিতে। নোয়াখালী থেকে ঢাকার পথে আসা উপকূল এক্সপ্রেস আটকে রয়েছে আখাউড়ায়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বসে আছে। সিলেট থেকে ঢাকামুখী কালনী এক্সপ্রেস বসে আছে হবিগঞ্জের আজমপুরে। চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহের পথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস কুমিল্লায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মেইল ট্রেন কর্ণফুলী এক্সপ্রেস আটকে রয়েছে নরসিংদী স্টেশনে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় তাণ্ডব চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা

গত শনিবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রী ওঠানামার সময় নাশকতা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই যাত্রাবিরতি বন্ধ রাখা হয়েছে। সকালে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সভা করে।

শনিবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে অন্তত আটজন নিহত হয় বলে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও দারুল আরকান মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাজিদুর রহমান জানান। এছাড়াও আরো অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। নিহতরা হলেন জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাদল মিয়া (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারিউড়া মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২) বুধলের প্লাম্বার শ্রমিক কাউসার (২৫), জোবায়ের মিয়া (১৪), আখাউড়া মনিয়ন্দের মাওলানা হোসাইন(২২), সদর উপজেলার কলাইমুড়ি এলাকার সুলতান ও বুধলের কাওসার মিয়া।