ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ ৪০ বছরে প্রায় ৯ হাজার ইট সংগ্রহ, গিনেস রেকর্ডে নাম লেখালেন মার্কিন ব্যক্তি সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের গোপন সম্পদের ‘২ বস্তা’ নথি উদ্ধার উত্তরায় দম্পতিকে কোপানোর ঘটনায় পুরো চক্র গ্রেফতার নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে ২ যুম্ম সম্পাদক গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল এখনো বহাল তবিয়তে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ অবিলম্বে এটিএম আজহারকে মুক্তি না দিলে আমাদের আন্দোলন কোন ভাবেই বন্ধ হবে না -ডা. শফিকুর রহমান পার্বতীপুরে আওয়ামীলীগ নেতার মাস্তক বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

বাঁচতে চায় শিশু মিম চোখে মরণ বেদীর টিউমার 

মোঃ জহির হোসেন,রায়পুর,লক্ষ্মীপুর:
  • আপডেট টাইম : ০১:৫০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / ৮৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফুটফুটে শিশুটির বয়স মাত্র ২ বছর আট মাস। এখনো দুনিয়ার কিছুই বুঝার বয়স হয়নি তার। যে বয়সে পুরো পরিবার মাতিয়ে রাখার কথা সে বয়সেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে মারজিয়া আক্তার মিম। কারণ ছোট্ট মিমের কচি দুই চোখে বাসা বেঁধেছে মারণব্যাধি টিউমার ক্যান্সার।
অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধের পথে। আর একটু সাহায্য-সহযোগিতা পেলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতো ক্যান্সারে আক্রান্ত মিম। কিন্তু দারিদ্রতা তার সকল চলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিম রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ৮নং উত্তর কেরোয়া গ্রামের সুনামগঞ্জ মিয়াজান পাটোয়ারী বাড়ীরর দারিদ্রতা কাজী সবুজের কন্যা।
শিশুর বাবা দারিদ্রতা কাজী সজুব জানান, এক বছর আগে হঠাৎ প্রচুর জ্বরে আক্রান্ত হয় মিম। এরপর তাকে লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানের চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর দুই চোখে টিউমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তার পরে থেকে চিকিৎসক পরামর্শে চিকিৎসা চলেও কিছুতেই মিম সুস্থ হচ্ছে না। মিম পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে অন্তত ২ বছর ডাক্তাররা রক্ষণাবেক্ষণ রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাড়িসহ জমিজমা সব বিক্রি করেও মেয়েকে রক্ষা করতে পারছি না। সব শেষ করে এখন আমি নিঃস্ব। কীভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাব তা বুঝতে পারছি না। এখন নিজের বাড়ি বিক্রি করে গৃদকালিন্দিয়া ভাড়া বাড়িতে থাকছি।
ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু মিমের মা বলেন, ক্যান্সার শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪-১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখনো ৮-১০ লক্ষ টাকার মতো দরকার। কোথা থেকে এত টাকা জোগাড় করব তাই ভেবে উঠতে পারছি না। আমরা গরিব-অসহায়, তাই হয়তো এতো টাকা জোগাড়ও করতে পারব না। তবে আমি আমার এই ফুটফুটে ছোট্ট বাচ্চাটাকে হারাতে চাই না।
চিকিৎসকরা বলেছেন, মিমের পুরো চিকিৎসায় অন্তত ৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা না পেলে অকালেই ঝরে যাবে মিমের জীবন। তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে চাইলে বিকাশ মোবাইল নম্বরে (০১৬১৫৯৩৪০২৩) যোগাযোগ করতে পারেন বিত্তবানেরা।
কাজী সবুজ, হিসাব নাম্বার ২২০২৯৮৫০৬৯০০১, সিটি ব্যাংক, রায়পুর শাখা,লক্ষ্মীপুর।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাঁচতে চায় শিশু মিম চোখে মরণ বেদীর টিউমার 

আপডেট টাইম : ০১:৫০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

ফুটফুটে শিশুটির বয়স মাত্র ২ বছর আট মাস। এখনো দুনিয়ার কিছুই বুঝার বয়স হয়নি তার। যে বয়সে পুরো পরিবার মাতিয়ে রাখার কথা সে বয়সেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে মারজিয়া আক্তার মিম। কারণ ছোট্ট মিমের কচি দুই চোখে বাসা বেঁধেছে মারণব্যাধি টিউমার ক্যান্সার।
অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধের পথে। আর একটু সাহায্য-সহযোগিতা পেলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতো ক্যান্সারে আক্রান্ত মিম। কিন্তু দারিদ্রতা তার সকল চলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিম রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ৮নং উত্তর কেরোয়া গ্রামের সুনামগঞ্জ মিয়াজান পাটোয়ারী বাড়ীরর দারিদ্রতা কাজী সবুজের কন্যা।
শিশুর বাবা দারিদ্রতা কাজী সজুব জানান, এক বছর আগে হঠাৎ প্রচুর জ্বরে আক্রান্ত হয় মিম। এরপর তাকে লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানের চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর দুই চোখে টিউমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তার পরে থেকে চিকিৎসক পরামর্শে চিকিৎসা চলেও কিছুতেই মিম সুস্থ হচ্ছে না। মিম পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে অন্তত ২ বছর ডাক্তাররা রক্ষণাবেক্ষণ রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাড়িসহ জমিজমা সব বিক্রি করেও মেয়েকে রক্ষা করতে পারছি না। সব শেষ করে এখন আমি নিঃস্ব। কীভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাব তা বুঝতে পারছি না। এখন নিজের বাড়ি বিক্রি করে গৃদকালিন্দিয়া ভাড়া বাড়িতে থাকছি।
ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু মিমের মা বলেন, ক্যান্সার শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪-১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখনো ৮-১০ লক্ষ টাকার মতো দরকার। কোথা থেকে এত টাকা জোগাড় করব তাই ভেবে উঠতে পারছি না। আমরা গরিব-অসহায়, তাই হয়তো এতো টাকা জোগাড়ও করতে পারব না। তবে আমি আমার এই ফুটফুটে ছোট্ট বাচ্চাটাকে হারাতে চাই না।
চিকিৎসকরা বলেছেন, মিমের পুরো চিকিৎসায় অন্তত ৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা না পেলে অকালেই ঝরে যাবে মিমের জীবন। তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে চাইলে বিকাশ মোবাইল নম্বরে (০১৬১৫৯৩৪০২৩) যোগাযোগ করতে পারেন বিত্তবানেরা।
কাজী সবুজ, হিসাব নাম্বার ২২০২৯৮৫০৬৯০০১, সিটি ব্যাংক, রায়পুর শাখা,লক্ষ্মীপুর।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।