ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • / ৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রাম বন্দরের মেগা সম্প্রসারণ প্রকল্প বে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বাংলাদেশকে ৬৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬৫ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, যা দেশীয় মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ধরে)।

এই প্রকল্পের আওতায় দুটি কনটেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং একটি তেল ও গ্যাস টার্মিনাল উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই টার্মিনালটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বন্দরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে অনেকাংশে কমে আসবে আমদানি ও রপ্তানি ব্যয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যার অধীনে সমুদ্রস্রোত ও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া থেকে বন্দরকে রক্ষা করতে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জলবায়ুসহিষ্ণু বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের অংশ হিসেবে বন্দরের প্রবেশদ্বার, অববাহিকা ও সংযোগ-চ্যানেলগুলো খনন করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, এই বে টার্মিনালের মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজ বন্দরে ঢুকতে পারবে। সেই সঙ্গে এসব জাহাজে মালামাল ওঠানো-নামানোর সময় কমবে। ফলে প্রতিদিন আনুমানিক ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু এই বন্দরের সক্ষমতার ঘাটতি আছে। এই প্রকল্পটি (বে টার্মিনাল) বাংলাদেশের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবহণ ব্যয় ও সময় কমিয়ে আনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতার উন্নতি হবে, পরিবহণ ব্যয় কমবে এবং বিশ্ববাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে। এ ছাড়া প্রকল্পটি কনটেইনার টার্মিনাল উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগ জোরদার করবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর

আপডেট টাইম : ১২:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরের মেগা সম্প্রসারণ প্রকল্প বে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বাংলাদেশকে ৬৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬৫ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, যা দেশীয় মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ধরে)।

এই প্রকল্পের আওতায় দুটি কনটেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং একটি তেল ও গ্যাস টার্মিনাল উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই টার্মিনালটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বন্দরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে অনেকাংশে কমে আসবে আমদানি ও রপ্তানি ব্যয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যার অধীনে সমুদ্রস্রোত ও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া থেকে বন্দরকে রক্ষা করতে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জলবায়ুসহিষ্ণু বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের অংশ হিসেবে বন্দরের প্রবেশদ্বার, অববাহিকা ও সংযোগ-চ্যানেলগুলো খনন করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, এই বে টার্মিনালের মাধ্যমে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজ বন্দরে ঢুকতে পারবে। সেই সঙ্গে এসব জাহাজে মালামাল ওঠানো-নামানোর সময় কমবে। ফলে প্রতিদিন আনুমানিক ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু এই বন্দরের সক্ষমতার ঘাটতি আছে। এই প্রকল্পটি (বে টার্মিনাল) বাংলাদেশের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবহণ ব্যয় ও সময় কমিয়ে আনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতার উন্নতি হবে, পরিবহণ ব্যয় কমবে এবং বিশ্ববাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে। এ ছাড়া প্রকল্পটি কনটেইনার টার্মিনাল উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগ জোরদার করবে।