ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার

কালিয়াকৈরে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা: ১৮ জনকে আসামি করে মামলা

মোঃ ফরিদ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (গাজীপুর)
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩০:২৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • / ৬৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীর বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ জুন ) আল আমিন হোসাইন নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (৭ জুন) ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন কালিয়াকৈর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা সবাই কালিয়াকৈর পৌর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
নিহত আল আমিন হোসাইন কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা গত বুধবার র‍্যাগ ডে’র নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে নেতৃত্ব দেন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ কামাল ওরফে সোহান। অনুষ্ঠানে গান বাজানো নিয়ে আজাদ কামাল ওরফে সোহান গ্রুপ ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানের গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
পরে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খান ও তার সহযোগী সাকিব, হৃদয়, আকাশ ও হাসান সহ ১০/১২ জন শিক্ষার্থী কলেজের মাঠে ডিগ্রী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ও কামরুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে আল আমিন ও কামরুল ইসলাম দৌড়ে কলেজের পশ্চিম পাশে মোকদ্দম প্লাজার সামনে গিয়ে পড়ে গেলে পৌর ছাত্রলীগ ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আল আমিন ও কামরুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করে। এমতাবস্থায় আল আমিন ও কামরুল ইসলামের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
উপস্থিত লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত আল আমিনের বাবা মোতালেব হোসেন শুক্রবার (৭ জুন) কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানকে প্রধান আসামি করে মোট আঠারো জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও নাম না জানা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, আল আমিন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা ঘটনার পর পরই আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাদের আটক করতে এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আটক করার চেষ্টা চলছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কালিয়াকৈরে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা: ১৮ জনকে আসামি করে মামলা

আপডেট টাইম : ০৫:৩০:২৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীর বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ জুন ) আল আমিন হোসাইন নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (৭ জুন) ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন কালিয়াকৈর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা সবাই কালিয়াকৈর পৌর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
নিহত আল আমিন হোসাইন কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা গত বুধবার র‍্যাগ ডে’র নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে নেতৃত্ব দেন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ কামাল ওরফে সোহান। অনুষ্ঠানে গান বাজানো নিয়ে আজাদ কামাল ওরফে সোহান গ্রুপ ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানের গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
পরে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খান ও তার সহযোগী সাকিব, হৃদয়, আকাশ ও হাসান সহ ১০/১২ জন শিক্ষার্থী কলেজের মাঠে ডিগ্রী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ও কামরুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে আল আমিন ও কামরুল ইসলাম দৌড়ে কলেজের পশ্চিম পাশে মোকদ্দম প্লাজার সামনে গিয়ে পড়ে গেলে পৌর ছাত্রলীগ ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আল আমিন ও কামরুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করে। এমতাবস্থায় আল আমিন ও কামরুল ইসলামের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
উপস্থিত লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত আল আমিনের বাবা মোতালেব হোসেন শুক্রবার (৭ জুন) কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানকে প্রধান আসামি করে মোট আঠারো জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও নাম না জানা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, আল আমিন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা ঘটনার পর পরই আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাদের আটক করতে এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আটক করার চেষ্টা চলছে।