ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদ(বাভাসাপ) এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • / ৩৬ ০০.১০বার পাঠক

ময়মনসিংহের আবুল মনসুর সড়কে বৈদ্যুতিক কর্মচারী এসোসিয়েশনের হল রুমে বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কবি সাহিত্যিকদের উৎসবমুখর পদচারণায় জাঁকজমকভাবে কেক কাটার মাধ্যমে বাৎসরিক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কবি আড্ডা পালিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এই পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সঞ্চালনা করেন মধুর কন্ঠের অধিকারী কবি ও বাচিক শিল্পী আরিফ আহমেদ।

বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোমতাজুল করিম শিপলু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক কবির সুমন, সমন্বয়কারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সাত্তার সুমন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসানুজ্জামান, সহ-সভাপতি মোঃ আবু সুফিয়ান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি রতন সরকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী আলম, পরিচালক শাহজালাল সুজন, মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, শিখর সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা হানিফ রাজা, মারজান সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আফসারুল হক ভূঁইয়া, শিকড় সাহিত্য পরিষদের সংগঠক শাহীন শাহ, উপস্থিত ছিলেন উদীয়মান কবি ও সংগঠক শাহজালাল সুজন, মোঃ আমিরুল ইসলাম, সোহেল রানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের উদ্ভোদনী বক্তব্যে কবি ও গীতিকার জিয়াউর রহমান বলেন সাহিত্যকে সুদূরপ্রসারী করে তুলতে হলে কবি সাহিত্যিকদের মননশীল হতে হবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ প্রধান আলোচক বক্তব্যে কবি কবির সুমন তার বক্তব্যে বলেন সত্যিকারের সাহিত্যকে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি আরও বলেন কবি আড্ডা, কবি মিলন মেলার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা পরিপূর্ণতা পাবে না। তাই সাহিত্যকে সুদূরপ্রসারি করতে হলে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। আরো বক্তব্য রাখেন সোহেল রানা, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

সাংগঠনিক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক শেখ মোমতাজুল করিম শিপলু।তিনি সংগঠনের বিভিন্ন কর্ম প্রণয়ন ও পরিকল্পনা উত্থাপন করেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে সরকারি গেজেট প্রকাশের দাবি জানান। তার কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে – ছিন্নমূল পথ শিশুদের জন্য স্কুল করা, রাজশাহী অঞ্চলে এজটি অসহায় হতদরিদ্র মুসলিম শিশুদের জন্য একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা, দেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একটি করে গণ পাঠাগার করা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদানের জন্য মানবিক কর্মকান্ডে শামিল হওয়া এবং এর জন্য আর্থিক তহবিল গঠনের জন্য একটি সাহিত্য ফাউন্ডেশন গড়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। তিনি আরও বলেন, সাহিত্যের জন্য যা যা করণীয় তা করতে আমরা সদা প্রস্তুত। তাই তিনি ঘোষণা করেছেন ২০২৫ ইং ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঢাকার যেকোনো হল রুমে “কবি নজরুল সাহিত্যের সূর্যসন্তান” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাহিত্য সম্মেলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত সকল লেখক, সাহিত্যিক, কবি, প্রাবন্ধিক ছড়াকার গীতিকার সকলের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের মাধ্যমে। তিনি বলেন সাহিত্য হল দেশের উন্নয়নের রূপরেখার একটি অংশ। তাই সাহিত্যিকগণ যেন উপর মহল থেকে মূল্যায়িত হয় সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে প্রত্যেক সংগঠককে।

অনুষ্ঠানটি যদিও ঘরোয়া অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু কবি সাহিত্যিকদের পদচারনায় আর ঘরোয়া পরিবেশে থাকলো না। শেষে ইহা অত্যন্ত সুন্দর চমকপ্রদ অনুষ্ঠানের রূপ নিল।

উক্ত অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সংস্কৃতি আলোকপাত করে একটি ব্যতিক্রম ধর্মী কুইজ প্রতিযোগিতা করা হয় এবং বিজয়ীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়।

পরিশেষে বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের “সাহিত্যে সুদিন আসবেই” শীর্ষক অনুষ্ঠানে ১০ টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা স্মারক প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদ(বাভাসাপ) এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আপডেট টাইম : ০৬:২০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

ময়মনসিংহের আবুল মনসুর সড়কে বৈদ্যুতিক কর্মচারী এসোসিয়েশনের হল রুমে বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কবি সাহিত্যিকদের উৎসবমুখর পদচারণায় জাঁকজমকভাবে কেক কাটার মাধ্যমে বাৎসরিক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কবি আড্ডা পালিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এই পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সঞ্চালনা করেন মধুর কন্ঠের অধিকারী কবি ও বাচিক শিল্পী আরিফ আহমেদ।

বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোমতাজুল করিম শিপলু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক কবির সুমন, সমন্বয়কারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সাত্তার সুমন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসানুজ্জামান, সহ-সভাপতি মোঃ আবু সুফিয়ান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি রতন সরকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী আলম, পরিচালক শাহজালাল সুজন, মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, শিখর সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা হানিফ রাজা, মারজান সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আফসারুল হক ভূঁইয়া, শিকড় সাহিত্য পরিষদের সংগঠক শাহীন শাহ, উপস্থিত ছিলেন উদীয়মান কবি ও সংগঠক শাহজালাল সুজন, মোঃ আমিরুল ইসলাম, সোহেল রানা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের উদ্ভোদনী বক্তব্যে কবি ও গীতিকার জিয়াউর রহমান বলেন সাহিত্যকে সুদূরপ্রসারী করে তুলতে হলে কবি সাহিত্যিকদের মননশীল হতে হবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ প্রধান আলোচক বক্তব্যে কবি কবির সুমন তার বক্তব্যে বলেন সত্যিকারের সাহিত্যকে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি আরও বলেন কবি আড্ডা, কবি মিলন মেলার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা পরিপূর্ণতা পাবে না। তাই সাহিত্যকে সুদূরপ্রসারি করতে হলে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। আরো বক্তব্য রাখেন সোহেল রানা, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

সাংগঠনিক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক শেখ মোমতাজুল করিম শিপলু।তিনি সংগঠনের বিভিন্ন কর্ম প্রণয়ন ও পরিকল্পনা উত্থাপন করেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে সরকারি গেজেট প্রকাশের দাবি জানান। তার কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে – ছিন্নমূল পথ শিশুদের জন্য স্কুল করা, রাজশাহী অঞ্চলে এজটি অসহায় হতদরিদ্র মুসলিম শিশুদের জন্য একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা, দেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একটি করে গণ পাঠাগার করা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদানের জন্য মানবিক কর্মকান্ডে শামিল হওয়া এবং এর জন্য আর্থিক তহবিল গঠনের জন্য একটি সাহিত্য ফাউন্ডেশন গড়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। তিনি আরও বলেন, সাহিত্যের জন্য যা যা করণীয় তা করতে আমরা সদা প্রস্তুত। তাই তিনি ঘোষণা করেছেন ২০২৫ ইং ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঢাকার যেকোনো হল রুমে “কবি নজরুল সাহিত্যের সূর্যসন্তান” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাহিত্য সম্মেলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত সকল লেখক, সাহিত্যিক, কবি, প্রাবন্ধিক ছড়াকার গীতিকার সকলের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের মাধ্যমে। তিনি বলেন সাহিত্য হল দেশের উন্নয়নের রূপরেখার একটি অংশ। তাই সাহিত্যিকগণ যেন উপর মহল থেকে মূল্যায়িত হয় সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে প্রত্যেক সংগঠককে।

অনুষ্ঠানটি যদিও ঘরোয়া অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু কবি সাহিত্যিকদের পদচারনায় আর ঘরোয়া পরিবেশে থাকলো না। শেষে ইহা অত্যন্ত সুন্দর চমকপ্রদ অনুষ্ঠানের রূপ নিল।

উক্ত অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সংস্কৃতি আলোকপাত করে একটি ব্যতিক্রম ধর্মী কুইজ প্রতিযোগিতা করা হয় এবং বিজয়ীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়।

পরিশেষে বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য পরিষদের “সাহিত্যে সুদিন আসবেই” শীর্ষক অনুষ্ঠানে ১০ টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা স্মারক প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।