জাতির জনক নিপীড়িত মানবের মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১০১) তম জন্মদিন পালিত
- আপডেট টাইম : ০৫:১১:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১
- / ২৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ নজরুল ইসলাম।।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।(১০১)শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।উক্ত অনুষ্ঠানে আশুলিয়া থানা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে ,ও যুগ্ন আহবায়ক মোঃ মাইনুল ইসলাম ভৃঁইয়ার সন্চানলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান (জিএস)(মিজান)সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মোঃ নুরুল আমিন সরকার,
১৭ মার্চ, মঙ্গলবার। ১৯২০ সালের এই দিনে রাত আটটায় টুঙ্গি পাড়ায় জম্মগ্রহণ করেন শেখ পরিবারের আদরের খোকা।যিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির জাতির নিপীড়িত মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এবং বঙ্গবন্ধু। তাঁর হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা জম্ম নেয় লাল সবুজের সোনার বাংলা।মাত্র ৫৫ বছর বয়সে কিছু বিপথগামী সেনা হায়নার দল কেড়ে নেয় বঙ্গবন্ধুর প্রাণ।কিন্তু দেশের প্রতিটি কোানায় আজ উচ্চারিত হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম । আজ তার (১০১) তম জন্মদিনে জম্মক্ষণ রাত আটটায় সারা দেশে উৎসবের ফোয়ারায় ছোটাবে আতশবাজির ঝলকানি।আকাশে বাতাশে ভেসে আসবে যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই,,তবে বিশ্ব পেতো এক মহান নেতা আমরা পেতাম খুঁজে জাতির পিতা।বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মৃত্যু কিংবা জন্মবার্ষিকীতে এ গানটি বাজানো হয় অবধারিত ভাবেই। জনতার নেতা মুজিব না থাকলেও তাঁর আদর্শ ও অনুপ্রেরণ আজও বাঙালির মননে গেঁথে আছে শ্রদ্বেয় ভালোবাসার কৃতজ্ঞচিওে।আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করবে গোটা বাঙালি জাতি।
১৭ মার্চ ১৯২০ মঙ্গলবার রাত ৮ ঘটিকায় মা সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে আসেন ইতিহাসের মহানায়ক; বাঙালি ও বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ বাংলার সেই অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জন্মবার্ষিকী।
ইতিহাসের মহানায়ক’হওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ সব কালে,সব যুগে সৃষ্টি হয় না।যুগ-যুগান্তরের পরিক্রমায় হাতেগোনা এক-আধজনই শুধু ‘ইতিহাসের মহানায়ক’হয়ে উঠতে পারেন।ইতিহাস তার আপন তাগিদেই ‘মহানায়কের’ উদ্ভব ঘটায়, আর সেই ‘মহানায়ক’ হয়ে ওঠেন ইতিহাস রচনার প্রধান কারিগর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন তেমনই একজন কালজয়ী মহাপুরুষ। যিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সপ্ন জাতিকে দেখিয়েছিলেন । আবার সেই সপ্ন ‘স্বাধীন বাংলাদেশ‘ প্রতিষ্ঠা ও করেছিলেন ।
বঙ্গবন্ধু আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত ।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নর সেই ধারাবাহিকতা সে স্বপ্ন এখন ও পুরোপুরি বাস্তবায়িত । তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে উন্নয়নশীল দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই চরম দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন হয়েছে । কিন্তু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে আর ও অনেক দূর।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে, প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে আমাদের সকলকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। সেটাই হবে জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, পৃথিবীর ইতিহাস যত দিন থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একইভাবে প্রোজ্জ্বলিত হবেন প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে, প্রতিটি মুক্তিকামী, শান্তিকামী, মানবতাবাদীর হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন চিরকাল বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে- পথ দেখাবে। বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণের কালজয়ী এ মহাপুরুষকে চিরকাল স্মরণ করবে।
আজকের এই জন্মবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই বাঙালি জাগরণের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।