ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে মাদ্রাসারছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণনের অভিযোগ কোস্টগার্ড কর্তৃক অবৈধ চিংড়ি রেণু পোনাসহ ০৪ জন আটক নবাবগঞ্জে জাতীয় উদ্যান শালবণে আগুন ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ আজমিরীগঞ্জে সিজার করতে গিয়ে প্রসূতির জরায়ু কেটে দেয়ার ঘটনায় নিউ মেডিল্যাব হাসপাতাল সীলগালা করে দিয়েছে স্বাস্হ্য প্রশাসন আসন্ন আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনা সভা পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের গণসংযোগ জামালপুরে মাষকলাই ডাল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে আজমিরীগঞ্জ মেডিল্যাব হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে জরায়ু মুখ কেটে ফেলে ডাক্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে

মাদক মামলায় টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মালিবাগে সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূলহোতা তথা গডফাদার মাদক কারবারিদের হাতে অবৈধভাবে অর্জিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ, ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ লন্ডারকৃত বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।

সিআইডি এরই মধ্যে উল্লিখিত মামলাগুলোর মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি (যার মূল্য অনুমান ৮.১১ কোটি টাকা) ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি (যার মূল্য অনুমান ৩৬.৮২ কোটি টাকা) ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান।

সিআইডি প্রধান আরও বলেন, কক্সবাজারের সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদকের গদফাদার হিসেবে বার বার অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনিসহ তার পরিবার, ভাই-স্বজনদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলেছে।

৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বদি বা বদির ভাইদের মাদকে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি।

বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাবো ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডিপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক কারবারি যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছে, তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে।

পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কন্ঠে,,,

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

রায়পুরে মাদ্রাসারছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণনের অভিযোগ

মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে

আপডেট টাইম : ০৫:৫৮:১০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মাদক মামলায় টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মালিবাগে সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূলহোতা তথা গডফাদার মাদক কারবারিদের হাতে অবৈধভাবে অর্জিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ, ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ লন্ডারকৃত বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।

সিআইডি এরই মধ্যে উল্লিখিত মামলাগুলোর মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি (যার মূল্য অনুমান ৮.১১ কোটি টাকা) ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি (যার মূল্য অনুমান ৩৬.৮২ কোটি টাকা) ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান।

সিআইডি প্রধান আরও বলেন, কক্সবাজারের সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদকের গদফাদার হিসেবে বার বার অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনিসহ তার পরিবার, ভাই-স্বজনদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলেছে।

৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বদি বা বদির ভাইদের মাদকে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি।

বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাবো ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডিপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক কারবারি যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছে, তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে।

পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কন্ঠে,,,