ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

বান্দরবানে সেনাবাহিনী প্রধান কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়েছে, অস্ত্র উদ্ধার

বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী আটক করা হয়েছে। বান্দরবান জেলার রুমা-থানচিতে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ তাণ্ডব ও ব্যাংক লুটের ঘটনায় সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।

আজ ৭ এপ্রিল রোববার সকালে হেলিকপ্টারে তিনি বান্দরবান এসে পৌঁছান। পরে তিনি বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময় শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। তিনি বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফ’র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শান্তি আলোচনা চলছিল। দুটি মুখোমুখি সংলাপ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো। বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়েছে উৎসব আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিলো। কিন্তু ২এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো, মনের ভিতরে কি আছে সেটিতো জানা মুসকিল, তাইনা।

তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি। তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়, কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবেনা, কিন্তু সুফল ভোগ করবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর জিওসি মেজর জেনারেল মো: মাইনুর রহমান, বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধবতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে কেএনএফের তান্ডবের ঘটনায় রুমা এবং থানচিতে এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি উপজেলাবাসীদের। অপরদিকে তান্ডবের ঘটনায় মামলার হয়েছে ৮টি।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

বান্দরবানে সেনাবাহিনী প্রধান কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়েছে, অস্ত্র উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৯:২৭:০০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী আটক করা হয়েছে। বান্দরবান জেলার রুমা-থানচিতে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ তাণ্ডব ও ব্যাংক লুটের ঘটনায় সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।

আজ ৭ এপ্রিল রোববার সকালে হেলিকপ্টারে তিনি বান্দরবান এসে পৌঁছান। পরে তিনি বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময় শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। তিনি বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফ’র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শান্তি আলোচনা চলছিল। দুটি মুখোমুখি সংলাপ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো। বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়েছে উৎসব আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিলো। কিন্তু ২এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো, মনের ভিতরে কি আছে সেটিতো জানা মুসকিল, তাইনা।

তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি। তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়, কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবেনা, কিন্তু সুফল ভোগ করবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর জিওসি মেজর জেনারেল মো: মাইনুর রহমান, বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধবতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে কেএনএফের তান্ডবের ঘটনায় রুমা এবং থানচিতে এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি উপজেলাবাসীদের। অপরদিকে তান্ডবের ঘটনায় মামলার হয়েছে ৮টি।