ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর আকাশে দেখা গেল টর্নেডো নারী যেমন পুরুষকে বুঝবে পুরুষও নারীকে বুঝতে হবে: এতেই শান্তি আসবে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির মুট কোর্ট সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বললেন ড. ইউনূস বাতিল হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৯টি ধারা ও ৯০ শতাংশ মামলা এটিএম আজহারের আপিলের পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার র‍্যাঙ্কিংয়ে অবনতি, সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা হবে তো বাংলাদেশের? হাসনাত আব্দুল্লাহর মৃত্যুর খবর সত্য নয় দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া সাথে দুই পুত্র বধূ: শুভেচ্ছা জানাতে জনাব হুমায়ুন কবির খানের নেতৃত্বে ঢাকার উদ্দেশ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী কাশিমপুরে ডেভিল হান্ট ও মাদক ব্যবসায়ী সহ আটক ৬ জন

নারী যেমন পুরুষকে বুঝবে পুরুষও নারীকে বুঝতে হবে: এতেই শান্তি আসবে

মোঃ ফরিদ আহমেদ নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৫:২২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / ১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

আপনি কোনো পুরুষকে বদলাতে পারবেন না।

কারণ তারা জেদী, একরোখা এবং নিজের বিশ্বাসে অটল।

কিন্তু আপনি তাকে ভালোবাসলে, সে নিজ থেকেই বদলে যাবে। তার আচরণ, কথার টোন অটোম্যাটিক পরিবর্তন হবে।

নারী শক্তিশালী কেউ না, সে শক্ত হতে গেলে ভেঙে যাবে। প্যাচাতে গেলে কেটে যাবে। সে মূলত কোমল, পানির মতো তরল। এতটাই কোমল যে, তার পরশে পৃথিবীর সবচে শক্ত পুরুষও গলে যেতে বাধ্য।

কখনো সংসারে অমিল দেখা দিলে একবার নিজেকে যাচাই করে দেখুন তো– আপনার আচরণ নারীসুলভ আছে কি না।

আপনি কারো শখের নারী হওয়ার আগে ভাবুন– একজন পুরুষের শখের হওয়ার মতো করে তাকে ভালোবাসতে পারছেন কি না।

তালাক হয়ে যাবে; সবাই উপস্থিত, সালিশ চলছে।
ঠিক এই মুহূর্তেও কোনো স্ত্রী ‘নারী’ হয়ে উঠলে কোমল স্বরে একবার পুরুষকে চাইলে স্বামীর পাহাড়সম রাগ নিমিষেই বরফশীতল পানি করে দিতে পারে।

এটাই দাম্পত্যের রসায়ন।
স্বামী-স্ত্রী ছাড়া পৃথিবীর কেউ এর মূল কারণ বোঝে না।

সেজন্য বলি– সমস্যা হলেই মায়ের কাছে ফোন না দিয়ে আপনার পুরুষকে বুঝুন। সে বাহিরে থাকে, টাকা ইনকাম করে। বহুরকম লোকজনের সাথে তার উঠাবসা, লেনদেন। কোনো কারণে তার মেজাজ বিক্ষিপ্ত হতে পারে।

নারীর কাজ যত কঠিনই হোক, সে সমাজ ফেস করে না। ফলে নিজেকে সংযত ও নিয়ন্ত্রিত রাখা তার পক্ষে সম্ভব। তাই, আপনার পুরুষ বাইরে থেকে এলে তার যত্ন নিন।

চেহারা ফ্যাকাশে দেখলে তখনই কী হয়েছে জিজ্ঞেস না করে তাকে পানি দিন। বলুন একটু গোসল করে আসেন খাবার দিই। পরে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করুন কী হলো।

পুরুষ কখনো জিতে কখনো ঠকে। তার জিতাটা যেমন ইনজয় করেন, ঠকাটাও মেনে নিন। সে কোথাও লস করেছে মানেই তাকে বকাঝকা করবেন, এমন নয়। হেরে যাওয়ার অনুভব তারও আছে।

বরং সাপোর্ট দিন। সহজ করুন। সময় বুঝে পরামর্শ দিন।

এই যে ম্যানেজ করার ব্যাপার, এটা নারীদের আছে।
ঠিক এজন্যই নারী সুকুন, নারী শান্তি, নারী পুরুষের মোহ।

যে নারীর কণ্ঠ পুরুষের চেয়ে উঁচু, চলাফেরা অতি-আধুনিক, পুরুষোচিত, সে নারী ময়ূর থেকে কাক হতে চায়। নিজের মোহনীয় সৌন্দর্য ছেড়ে বিদঘুটে হতে চায়।

এমন নারী যত সুন্দরীই হোক, তার সংসার হয় না।
হলেও মরচে ধরে যায়। বাচ্চাকাচ্চা বা সামাজিকতার জন্য কোনোরকম টিকে থাকে। একে জীবন বলে না, বলে ঘানি টেনে যাওয়া।

সুতরাং নারী, আপনি বরং নারীই হোন। কোমল হোন, শান্ত হোন। নরম হোন, সুকুন হোন। দেখবেন– পাথরের মতো পুরুষও, আপনার ফোঁটা ফোঁটা ভালোবাসার সামনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বাধ্য হবে। উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে বহু পরিবারে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ডিভোর্স হচ্ছে যা কিনা ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারী যেমন পুরুষকে বুঝবে পুরুষও নারীকে বুঝতে হবে: এতেই শান্তি আসবে

আপডেট টাইম : ০৫:২২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

আপনি কোনো পুরুষকে বদলাতে পারবেন না।

কারণ তারা জেদী, একরোখা এবং নিজের বিশ্বাসে অটল।

কিন্তু আপনি তাকে ভালোবাসলে, সে নিজ থেকেই বদলে যাবে। তার আচরণ, কথার টোন অটোম্যাটিক পরিবর্তন হবে।

নারী শক্তিশালী কেউ না, সে শক্ত হতে গেলে ভেঙে যাবে। প্যাচাতে গেলে কেটে যাবে। সে মূলত কোমল, পানির মতো তরল। এতটাই কোমল যে, তার পরশে পৃথিবীর সবচে শক্ত পুরুষও গলে যেতে বাধ্য।

কখনো সংসারে অমিল দেখা দিলে একবার নিজেকে যাচাই করে দেখুন তো– আপনার আচরণ নারীসুলভ আছে কি না।

আপনি কারো শখের নারী হওয়ার আগে ভাবুন– একজন পুরুষের শখের হওয়ার মতো করে তাকে ভালোবাসতে পারছেন কি না।

তালাক হয়ে যাবে; সবাই উপস্থিত, সালিশ চলছে।
ঠিক এই মুহূর্তেও কোনো স্ত্রী ‘নারী’ হয়ে উঠলে কোমল স্বরে একবার পুরুষকে চাইলে স্বামীর পাহাড়সম রাগ নিমিষেই বরফশীতল পানি করে দিতে পারে।

এটাই দাম্পত্যের রসায়ন।
স্বামী-স্ত্রী ছাড়া পৃথিবীর কেউ এর মূল কারণ বোঝে না।

সেজন্য বলি– সমস্যা হলেই মায়ের কাছে ফোন না দিয়ে আপনার পুরুষকে বুঝুন। সে বাহিরে থাকে, টাকা ইনকাম করে। বহুরকম লোকজনের সাথে তার উঠাবসা, লেনদেন। কোনো কারণে তার মেজাজ বিক্ষিপ্ত হতে পারে।

নারীর কাজ যত কঠিনই হোক, সে সমাজ ফেস করে না। ফলে নিজেকে সংযত ও নিয়ন্ত্রিত রাখা তার পক্ষে সম্ভব। তাই, আপনার পুরুষ বাইরে থেকে এলে তার যত্ন নিন।

চেহারা ফ্যাকাশে দেখলে তখনই কী হয়েছে জিজ্ঞেস না করে তাকে পানি দিন। বলুন একটু গোসল করে আসেন খাবার দিই। পরে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করুন কী হলো।

পুরুষ কখনো জিতে কখনো ঠকে। তার জিতাটা যেমন ইনজয় করেন, ঠকাটাও মেনে নিন। সে কোথাও লস করেছে মানেই তাকে বকাঝকা করবেন, এমন নয়। হেরে যাওয়ার অনুভব তারও আছে।

বরং সাপোর্ট দিন। সহজ করুন। সময় বুঝে পরামর্শ দিন।

এই যে ম্যানেজ করার ব্যাপার, এটা নারীদের আছে।
ঠিক এজন্যই নারী সুকুন, নারী শান্তি, নারী পুরুষের মোহ।

যে নারীর কণ্ঠ পুরুষের চেয়ে উঁচু, চলাফেরা অতি-আধুনিক, পুরুষোচিত, সে নারী ময়ূর থেকে কাক হতে চায়। নিজের মোহনীয় সৌন্দর্য ছেড়ে বিদঘুটে হতে চায়।

এমন নারী যত সুন্দরীই হোক, তার সংসার হয় না।
হলেও মরচে ধরে যায়। বাচ্চাকাচ্চা বা সামাজিকতার জন্য কোনোরকম টিকে থাকে। একে জীবন বলে না, বলে ঘানি টেনে যাওয়া।

সুতরাং নারী, আপনি বরং নারীই হোন। কোমল হোন, শান্ত হোন। নরম হোন, সুকুন হোন। দেখবেন– পাথরের মতো পুরুষও, আপনার ফোঁটা ফোঁটা ভালোবাসার সামনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বাধ্য হবে। উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে বহু পরিবারে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ডিভোর্স হচ্ছে যা কিনা ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।