আরও এক সেশন শ্রীলংকার, চাপে পড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
ফিফটির অপেক্ষায় থেকে সেশন শেষ করেছেন পাথুম নিসাঙ্কা/ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিন সকালে দ্রুতই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর দলের বাজে বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে শ্রীলংকা রান তুলছে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো গতিতে। ১০০ রান তুলে ফেলেছে ২৭ ওভারেই, উইকেট খুইয়েছে মোটে একটা। ফলে প্রতিপক্ষকে আর চেপে ধরতে পারেনি সফরকারীরা।

দ্বিতীয় দিন বিকেলের সেশনটা নিরঙ্কুশভাবে শ্রীলংকারই ছিল। এরপর তৃতীয় দিন সকালের সেশনটাও নিজেদের পকেটে পুরলো দলটা। তাতে বাংলাদেশও ধীরে ধীরে চাপটা টের পাচ্ছে বৈকি!

দিনের শুরুতে ৫০০ রানের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ খেলতে নামে। তবে ১৫ মিনিটেই শেষ হয় দলের ইনিংস, রান যোগ হয় ১১টি। ৪৯৫ রানের পুঁজি যোগ হয় দলের স্কোরবোর্ডে।

তবে শ্রীলংকা শুরু থেকেই চাপে রেখেছে বাংলাদেশকে। শুরুর দিকে তো ওভারপ্রতি একটা বাউন্ডারি আনছিলই। কাজটা করছিলেন অভিষিক্ত ওপেনার লাহিরু উদারা। ৩৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে তিনি ত্রাস ছড়াচ্ছিলেন বাংলাদেশ শিবিরে।

সেই তাকে থামিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম। দারুণ সেট আপ করে অভিষিক্ত উদারাকে ফিরিয়েছেন তিনি। ওভারের প্রথম তিনটি ডেলিভারি দিয়েছিলেন গুড লেন্থে, যা ভালোভাবেই ডিফেন্ড করছিলেন লঙ্কান ব্যাটার। চতুর্থ বলটা দিলেন ব্যাটের একেবারে সামনে, ফুলার লেন্থে। খানিকটা হকচকিয়ে গিয়ে উদারা ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন তাইজুলকে।

তার বিদায়ের পর পাথুম নিসাঙ্কা জুটি বাধেন দীনেশ চান্দিমালের সঙ্গে। দুজন মিলে রান তুলেছেন সাবলীলভাবেই। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ রান যোগ করে ফেলেছেন। দলীয় সেঞ্চুরির দেখাও স্বাগতিকরা পেয়ে গেছে মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগেই।

লঙ্কানরা এখনও ৩৯৫ রান পিছিয়ে। ফলো অন এড়াতেও তাদের চাই আরও ১৯৬ রান। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে লঙ্কানদের অ্যাপ্রোচ। দলটা অযথা খোলসে ঢুকে নেই, রান তুলছে ওভারপ্রতি চারের কাছাকাছি করে। সঙ্গে যোগ করুন উইকেটের সাহায্য, আর বাংলাদেশের লাগামহীন বোলিং। ফলে লঙ্কানদের বড় রান করে ফেলার শঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।