ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এস এস সি পরিক্ষার্থীসহ অভিভাবককে পিটিয়ে জখম: থানায় অভিযোগ

মির্জাপুর, টাংগাইল প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • / ১১৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এস এস সি পরিক্ষার্থীসহ অভিভাবককে পিটিয়ে জখম: থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পূর্বের জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ করিয়া আসতেছে। গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) সকাল আনুমানিক ০৬:৩০ ঘটিকার সময় আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩০) আমাদের ঘরের সামনে গরুর গোবর শুকাতে দিতে গেলে মো: নজরুল ইসলাম বাধা দেন। বাধা প্রদানের কারণ জানতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ নিষেধ করায় মোঃ নজরুল ইসলাম এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জাহানারা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারেন। উক্ত বারি মাথায় লেগে মারাত্মক রক্তাক্ত ফাটা গুরুতর যখম হয়। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া আমার স্ত্রীকে এলোপাথারী ভাবে বারি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।

আরও জানা যায়, ১নং ও ২নং বিবাদীর আঘাতে আমার স্ত্রী মাটিতে পড়ে ডাক-চিৎকার করিতে থাকিলে আমার মেয়ে- তাহমিনা আক্তার ইমা (১৭) বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে ২নং বিবাদী নুর ইসলাম চুলের মুঠি ধরিয়া ও কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া মাটিতে ফেলে দেই। তার শ্লীলতাহানী ঘটাইয়া ১নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত তাহমিনা আক্তার ইমা তার ডান হাত দিয়া ফিরাইলে বারিটি ডান হাতের কইনুয়ের নিচে লেগে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয় এবং কেই আঙ্গুলে ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় বিবাদীরা আমার মেয়েকে বলে তোর হাত, পা ভেঙ্গে পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিব।

পরবর্তীতে আমার পরিবারের সকল সদস্যদের সুযোগমত পাইলে খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদান করে চলে যায়।

গুরুতর আহত ব্যক্তিরা হলেন: মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামের পিতাঃ মৃত: নছিম উদ্দিন এর ছেলে ইশানুর (৪২), তার সহধর্মিণী সহ এস এস সি পরীক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার ইমা।

অভিযুক্ত আসামীরা হলেনঃ মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামের ১/ মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৮) ২/ নুর ইসলাম (৪০) উভয় পিতা: মৃত: নছিম উদ্দিন ৩/ তাইজুল ইসলাম (২২) পিতা: নুর ইসলাম ৪/ হালিমা বেগম (৩২) স্বামী: মো: নজরুল ইসলাম ৫/ হেলেনা বেগম (৩৭) স্বামী: নুর ইসলাম।

পরে আহতদের আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

ঘটনার সাথে জড়িতদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি তাদের।

এবিষয়ে গেরামারা গোহাইল বাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী তাহমিনা আক্তার ইমা (১৭) ও এস এস সি পরীক্ষার্থী। এই ঘটনার তীব্র নিদ্রা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার করা হোক।

এব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এস এস সি পরিক্ষার্থীসহ অভিভাবককে পিটিয়ে জখম: থানায় অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৯:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এস এস সি পরিক্ষার্থীসহ অভিভাবককে পিটিয়ে জখম: থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পূর্বের জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ করিয়া আসতেছে। গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) সকাল আনুমানিক ০৬:৩০ ঘটিকার সময় আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩০) আমাদের ঘরের সামনে গরুর গোবর শুকাতে দিতে গেলে মো: নজরুল ইসলাম বাধা দেন। বাধা প্রদানের কারণ জানতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ নিষেধ করায় মোঃ নজরুল ইসলাম এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জাহানারা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারেন। উক্ত বারি মাথায় লেগে মারাত্মক রক্তাক্ত ফাটা গুরুতর যখম হয়। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া আমার স্ত্রীকে এলোপাথারী ভাবে বারি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।

আরও জানা যায়, ১নং ও ২নং বিবাদীর আঘাতে আমার স্ত্রী মাটিতে পড়ে ডাক-চিৎকার করিতে থাকিলে আমার মেয়ে- তাহমিনা আক্তার ইমা (১৭) বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে ২নং বিবাদী নুর ইসলাম চুলের মুঠি ধরিয়া ও কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া মাটিতে ফেলে দেই। তার শ্লীলতাহানী ঘটাইয়া ১নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত তাহমিনা আক্তার ইমা তার ডান হাত দিয়া ফিরাইলে বারিটি ডান হাতের কইনুয়ের নিচে লেগে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয় এবং কেই আঙ্গুলে ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় বিবাদীরা আমার মেয়েকে বলে তোর হাত, পা ভেঙ্গে পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিব।

পরবর্তীতে আমার পরিবারের সকল সদস্যদের সুযোগমত পাইলে খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদান করে চলে যায়।

গুরুতর আহত ব্যক্তিরা হলেন: মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামের পিতাঃ মৃত: নছিম উদ্দিন এর ছেলে ইশানুর (৪২), তার সহধর্মিণী সহ এস এস সি পরীক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার ইমা।

অভিযুক্ত আসামীরা হলেনঃ মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামের ১/ মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৮) ২/ নুর ইসলাম (৪০) উভয় পিতা: মৃত: নছিম উদ্দিন ৩/ তাইজুল ইসলাম (২২) পিতা: নুর ইসলাম ৪/ হালিমা বেগম (৩২) স্বামী: মো: নজরুল ইসলাম ৫/ হেলেনা বেগম (৩৭) স্বামী: নুর ইসলাম।

পরে আহতদের আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

ঘটনার সাথে জড়িতদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি তাদের।

এবিষয়ে গেরামারা গোহাইল বাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী তাহমিনা আক্তার ইমা (১৭) ও এস এস সি পরীক্ষার্থী। এই ঘটনার তীব্র নিদ্রা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার করা হোক।

এব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।