ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিবিসিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে কাশেমপুর থানার ওসির সাইফুল প্রত্যাহার দাবিতে বিএনপি কর্মী ও আমজনতার মানববন্ধন কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন দুই কলোনির ২০ কক্ষ পুড়ে ছাই ভাঙ্গুড়ায় অবৈধ তিন ইটভাটাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা সোলাইমান সেলিম রোজা আছি, বই পড়ি, পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ কারাগারে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি: শাজাহান খান সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ পিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা প্রবাসীদের দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা মঠবাড়িয়ার দুই প্রতারক

চীনের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতির চুক্তি মিয়ানমারে

আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

তাদের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের অবসান হতে চলেছে বলে দাবি করল চীন। শনিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জানান, মিয়ানমারের সেনার সঙ্গে সংখ্যালঘু জনজাতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতির বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। মিয়ানমারের জুন্টা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ ও চীনের মধ্যস্থতায় চুক্তিটি নিশ্চিত করেছে।

মাও জানান, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী চীনের উহান প্রদেশের কুনমিং-এ গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার ওই দু’তরফের আলোচনা হয়েছে। তাতেই স্থির হয়, মিয়ানমারের উত্তর শান প্রদেশে চলে আসা সংঘর্ষ শেষ হয়ে এ বার সমস্যা মেটাতে আলোচনা এবং দাবিদাওয়া আদায়ে দর কষাকষি হবে। সীমান্ত বাণিজ্য ফের চালু করার বিষয়েও তারা একমত হয়েছে, জানিয়েছে বিদ্রোহী তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-র ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় এসেছিল মিয়ানমার সেনা। এ পর্যন্ত তাদের সব থেকে বেকায়দায় ফেলেছে জোটবদ্ধ তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এই বিদ্রোহ। অনেক এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে। গত সপ্তাহেই তারা উত্তর দিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে ফেলার ঘোষণা করেছিল।

গত সপ্তাহে বেইজিং সীমান্ত এলাকায় চীনের উপরে এ সংঘর্ষের প্রভাব নিয়ে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তারা ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ করবে বলে বার্তা দিয়েছিল। শনিবরা মাও বলেছেন, ‘চীন-সীমান্তের মানুষজনের এবং মিয়ানমারে থাকা চীনা নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে কোনও আপস করা হবে না বলে দু’পক্ষই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’

এই সূত্র ধরেই ‘স্থিতিশীলতা’ ফেরানোর অছিলায় ভবিষ্যতে মিয়ানমারে চীনা সেনা ঢুকে পড়তে পারে বলে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। সূত্র: এবিপি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চীনের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতির চুক্তি মিয়ানমারে

আপডেট টাইম : ০৮:৫৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

তাদের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের অবসান হতে চলেছে বলে দাবি করল চীন। শনিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জানান, মিয়ানমারের সেনার সঙ্গে সংখ্যালঘু জনজাতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতির বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। মিয়ানমারের জুন্টা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ ও চীনের মধ্যস্থতায় চুক্তিটি নিশ্চিত করেছে।

মাও জানান, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী চীনের উহান প্রদেশের কুনমিং-এ গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার ওই দু’তরফের আলোচনা হয়েছে। তাতেই স্থির হয়, মিয়ানমারের উত্তর শান প্রদেশে চলে আসা সংঘর্ষ শেষ হয়ে এ বার সমস্যা মেটাতে আলোচনা এবং দাবিদাওয়া আদায়ে দর কষাকষি হবে। সীমান্ত বাণিজ্য ফের চালু করার বিষয়েও তারা একমত হয়েছে, জানিয়েছে বিদ্রোহী তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-র ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় এসেছিল মিয়ানমার সেনা। এ পর্যন্ত তাদের সব থেকে বেকায়দায় ফেলেছে জোটবদ্ধ তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এই বিদ্রোহ। অনেক এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে। গত সপ্তাহেই তারা উত্তর দিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে ফেলার ঘোষণা করেছিল।

গত সপ্তাহে বেইজিং সীমান্ত এলাকায় চীনের উপরে এ সংঘর্ষের প্রভাব নিয়ে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তারা ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ করবে বলে বার্তা দিয়েছিল। শনিবরা মাও বলেছেন, ‘চীন-সীমান্তের মানুষজনের এবং মিয়ানমারে থাকা চীনা নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়ে কোনও আপস করা হবে না বলে দু’পক্ষই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’

এই সূত্র ধরেই ‘স্থিতিশীলতা’ ফেরানোর অছিলায় ভবিষ্যতে মিয়ানমারে চীনা সেনা ঢুকে পড়তে পারে বলে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। সূত্র: এবিপি।