তথ্য সূত্রে জানাযায় মামলার বাদী মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (২৫) এবং তাহার সঙ্গীয়-(১) মোঃ কায়ছার উদ্দিন(২৮) ও (২) উত্তম কর্মকার(৪০) সহ পাঁচলাইশ থানায় হাজির হইয়া বিবাদী-১। শুভ দত্ত রিপন দাশ (২৪), ২। মনির হোসেন (২৫) ও ৩। মোঃ সোলেমান বাদশা (৫৬) সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১/২ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে জানান যে, বাদী পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন বহদ্দারহাট মোড়স্থ ইলিজি স্কাই পার্ক নামীয় ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় দোকান নং-৫১৮ “এ্যাপেল ক্ল্যাসিক” নামীয় দোকানের মালিক। গ্রেফতারকৃত আসামিগণ উক্ত ইলিজি স্কাই পার্ক নামীয় ভবনের সিকিউরিটি গার্ড। ২৩ ডিসেম্বর ২৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ১৯:৫০ ঘটিকার সময় বাদীর উপরোক্ত দোকানের শাটার তালাবদ্ধ করিয়া বাসায় চলিয়া যায়। ২৪ ডিসেম্বর ২৩ ইং তাং উত্ত দোকান সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ইং ২৫ ডিসেম্বর ২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১.৪৫ ঘটিকার সময় বাদীর উপরোক্ত দোকানে আসিয়া দেখিতে পাই যে, দোকানের শাটারের তালা ভাঙ্গা। বাদীর সন্দেহ হওয়ায় তাৎক্ষণিক ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখিতে পান যে বাদীর দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫০,০০০/-টাকা এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের মোট ২৩টি স্মার্ট মোবাইল সেট নাই। উক্ত মার্কেটের পার্শ্ববর্তী দোকানদার বাদীর সঙ্গীয় মোঃ কায়ছার উদ্দিন (২৮) ২৩ ডিসেম্বর ২৩ ইং রাত অনুমান ৯:৫৫ ঘটিকার সময় তাহারা দোকান নং-৫১৬ এর ‘কে.এস মোবাইল এন্ড গ্যাজেড ক্লাব-ভিভো-শো-রুম” এর শাটার তালাবদ্ধ করিয়া বাসায় চলিয়া যায়। ২৪ ২৩ ইং তারিখ তাহার উক্ত দোকান সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে তিনি ২৫ ডিসেম্বর ২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১.৫০ ঘটিকার সময় তাহার দোকানে আসিয়া দেখিতে পান যে, তাহার দোকানের শাটারের তালা ভাঙ্গা। তিনি তাৎক্ষণিক ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখেন যে, তাহার দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা নগদ ২৪,০০০/-টাকা এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের মোট ৩৫টি স্মার্ট মোবাইল সেট এবং অবশিষ্ট ৫টি লাইফ ডামী যাহার মূল্য (এক লক্ষ) টাকা যথাস্থানে নাই। একই মার্কেটের ৩২২নং দোকানের মালিক আমার সঙ্গীয় উত্তম কর্মকার (৪০) এর স্কাই জুয়েলার্স নামক দোকান হইতে ইং ২৩ ডিসেম্বর ২৩ ইং রাত অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় তাহারা উপরোক্ত দোকানের শাটার তালাবদ্ধ করিয়া বাসায় চলিয়া যায়। ২৪ ডিসেম্বর ২৩ ইং তারিখ তাহার উক্ত দোকান সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ইং ২৫ ডিসেম্বর ২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১১:৫৫ ঘটিকার সময় সে তাহার উপরোক্ত দোকানে আসিয়া দেখিতে পান যে দোকানের শাটারের তালা ভাঙ্গা। তিনি তাৎক্ষণিক ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখিতে পান যে, তাহার দোকানে থাকা বিভিন্ন ধরনের মোট ২৪ ভরি ১৫ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার, যাহার মূল্য -(পঁচিশ লক্ষ) টাকা এবং ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) ভরি রুপা, যাহার মূল্য (পাঁচ লক্ষ) টাকা যথাস্থানে নাই। ঘটনার পর হইতে উপরোক্ত ১, ২ ও ৩ নং বিবাদীগন তাহারা কর্মস্থলে না আসিলে আমরা তাহাদের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করিলে তাহাদের প্রত্যেকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বাদীর ও তাহার সঙ্গীয়দের ধারণা ২৩ ডিসেম্বর ২৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ০৯:৫০ ঘটিকা হইতে ২৫ ডিসেম্বর ২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১.৫৫ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় গ্রেফতারকৃত ১, ২ ও ৩নং আসামিগন সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১/২ জন বিবাদীর পরস্পর যোগসাজশে বাদী ও তাহার সঙ্গীয়দের বর্ণিত দোকানের শার্টারের তালা ভেঙ্গে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে উল্লেখিত নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার চুরি করিয়া নিয়া গিয়াছে।
বাদীর উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে সূত্রেবর্ণিত মামলাটি রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পর মাননীয় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) ও অফিসার ইনচার্জ, পাঁচলাইশ মডেল থানা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে পাঁচলাইশ মডেল থানার একটি চৌকস আভিযানিক ডিএমপি, ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২৩ ইং তারিখ বহদ্দারহাটন মোড়স্থ ইলিজি স্কাই পার্ক নামীয় মার্কেট হইতে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করেন এবং ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করেন।
পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা রুজু পূর্বক আটককৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পাঁচলাইশ মডেল থানার অপস অফিসার এস আই জুবায়ের মৃধা