ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আর ফ্যাসিবাদী সহযোগীর মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা ।।ঠাকুরগাঁওয়ে শামসুজ্জামান দুদু জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মোংলা উপজেলার ২নং বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নের ওর্য়াড কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন টাঙ্গাইলে আলহাজ্ব মোজাম্মেল হককে ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রমকে কঠোর হস্তে দমন করবে বিএনপি-জামায়াত নেতারা, আওয়ামী-জাপা দালাল সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব রোজার আগে পণ্যের দাম নিয়ে যে বার্তা দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ফের নিষেধাজ্ঞা? বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৫ আয়োজিত ১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য আইএমএফের শর্তে রাজস্ব আহরণে কতটা সফল, জানতে চায় অর্থ বিভাগ আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৩:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি পাস হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ১৫৩-১০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। ২৩টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। বিরুদ্ধে যে ১০টি দেশ ভোট দিয়েছে, তাদের অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবেও ভেটো দিয়েছিল।

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন বাধ্যবাধকতাপূর্ণ না হলেও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ সম্পর্কে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে এই প্রস্তাবে। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটারেস দীর্ঘ দিন ধরেই গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তা বাস্তবায়িত হতে পারছে না।

সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটিতে অবিলম্বে সকল পণবন্দীর অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার, বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবের কিছু অংশে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ‘হামাসের জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা… এবং লোকজনকে পণবন্দী’ করার নিন্দা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল। আর অস্ট্রিয়া হামাসের হাতে থাকা পণবন্দী শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সমর্থনের অভাবে উভয় সংশোধনীই বাতিল হয়ে যায়।

জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম হামাসের নাম অন্তর্ভুক্ত করার উভয় প্রস্তাবের বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন যে কাউকে দোষ দিতে হলে উভয় দেশ, বিশেষ করে ইসরাইলের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

তিনি সাধারণ পরিষদে বলেন, ‘যখন আপনি জনসাধারণের স্বাধীনতা ও মর্যাদা অস্বীকার করবেন, যখন আপনি উন্মুক্ত কারাগারে তাদের অপমানিত করবেন, ফাঁদে ফেলবেন, যখন আপনি তাদেরকে পশুর মতো হত্যা করবেন, তখন তারা খুবই ক্রুদ্ধ হবে, তারা তাদের প্রতি যেসব আচরণ করা হচ্ছে, তাই করবে।’

সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হওয়র প্রশংসা করেছেন ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব একটি শক্তিশালী, মহান এবং বিশাল অবস্থান প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, অক্টোবরে সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে ১২০ ভোট পাওয়া গিয়েছিল। এবার তার চেয়ে ৩০ ভোট বেশি পাওয়া গেছে।

সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স এবং অন্যান্য

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস

আপডেট টাইম : ০৩:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি পাস হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ১৫৩-১০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। ২৩টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। বিরুদ্ধে যে ১০টি দেশ ভোট দিয়েছে, তাদের অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবেও ভেটো দিয়েছিল।

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন বাধ্যবাধকতাপূর্ণ না হলেও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ সম্পর্কে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে এই প্রস্তাবে। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটারেস দীর্ঘ দিন ধরেই গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তা বাস্তবায়িত হতে পারছে না।

সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটিতে অবিলম্বে সকল পণবন্দীর অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার, বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবের কিছু অংশে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ‘হামাসের জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা… এবং লোকজনকে পণবন্দী’ করার নিন্দা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল। আর অস্ট্রিয়া হামাসের হাতে থাকা পণবন্দী শব্দগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সমর্থনের অভাবে উভয় সংশোধনীই বাতিল হয়ে যায়।

জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম হামাসের নাম অন্তর্ভুক্ত করার উভয় প্রস্তাবের বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন যে কাউকে দোষ দিতে হলে উভয় দেশ, বিশেষ করে ইসরাইলের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

তিনি সাধারণ পরিষদে বলেন, ‘যখন আপনি জনসাধারণের স্বাধীনতা ও মর্যাদা অস্বীকার করবেন, যখন আপনি উন্মুক্ত কারাগারে তাদের অপমানিত করবেন, ফাঁদে ফেলবেন, যখন আপনি তাদেরকে পশুর মতো হত্যা করবেন, তখন তারা খুবই ক্রুদ্ধ হবে, তারা তাদের প্রতি যেসব আচরণ করা হচ্ছে, তাই করবে।’

সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হওয়র প্রশংসা করেছেন ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব একটি শক্তিশালী, মহান এবং বিশাল অবস্থান প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, অক্টোবরে সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে ১২০ ভোট পাওয়া গিয়েছিল। এবার তার চেয়ে ৩০ ভোট বেশি পাওয়া গেছে।

সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স এবং অন্যান্য