ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আর ফ্যাসিবাদী সহযোগীর মিলনে গণতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা ।।ঠাকুরগাঁওয়ে শামসুজ্জামান দুদু জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মোংলা উপজেলার ২নং বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নের ওর্য়াড কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন টাঙ্গাইলে আলহাজ্ব মোজাম্মেল হককে ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রমকে কঠোর হস্তে দমন করবে বিএনপি-জামায়াত নেতারা, আওয়ামী-জাপা দালাল সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব রোজার আগে পণ্যের দাম নিয়ে যে বার্তা দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ফের নিষেধাজ্ঞা? বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৫ আয়োজিত ১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য আইএমএফের শর্তে রাজস্ব আহরণে কতটা সফল, জানতে চায় অর্থ বিভাগ আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান

ভারতের মুখ্যমন্ত্রী কে? রাজমাতা বেঁকে বসায় রাজস্থানে ফাঁপরে বিজেপি

অনলাইন ডেষ্ক
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৯:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিধানসভা নির্বাচনের সাতদিন পর বিজেপি ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে দুই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেও রাজমাতা বেঁকে বসায় মরুরাজ্য রাজস্থানে জট অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জয়পুরে গিয়েও জট কাটাতে ব্যর্থ হলেন। ফলে আরও একদিন পিছিয়ে গেল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রকাশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে।

সোমবার মধ্যপ্রদেশে সকলকে চমকে দিয়ে অখ্যাত বিধায়ক তথা সাবেক মন্ত্রী মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করল গেরুয়া শিবির। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে কার্যত রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ জুটি। সাবেক কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর স্পিকার হবেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে একটি প্রবাদ চালু আছে। তা হল মোদির ডান হাত যে কাজ করে, বাঁ হাত জানতে পারে না। পরপর দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম সে কথাই প্রমাণ করল।

কিন্তু রাজস্থানেও কি তা অব্যাহত থাকবে? বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বদলে মরুরাজ্যেও কি নতুন কোনও মুখ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন? কারণ রাজমাতা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দাবি করে বসে আছেন। শিবরাজের অপসারণের সঙ্গে সঙ্গেই বড় কৌতূহল তৈরি হয়ে গেল বসুন্ধরার ভবিষ্যৎ নিয়ে। শিবরাজের অপসারণে রাজস্থানের দেওয়াল লিখন দেখতে পাচ্ছেন কেউ কেউ। বাজপেয়ী-আডবানী আমলে প্রায় একই সঙ্গে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা, রমন সিং এবং শিবরাজ সিং চৌহান। ২০০৩ সালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা। কিছু বিরতির পর আবার ২০২০ থেকে ২০২৩। বসুন্ধরা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দুটি মেয়াদে। অর্থাৎ দশ বছর।

মঙ্গলবার রাজস্থানে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই বসুন্ধরার ভাগ্য সুনিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে মরুরাজ্যে শঙ্কা শুধু একটাই, বসুন্ধরাকে অপাঙক্তেয় করে দিতে চাইলে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না তো। কারণ, বসুন্ধরা তো শুধু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, রাজ পরিবারের রক্তও রয়েছে তার শরীরে। অনেক বিধায়ক এদিনও তার বাড়িতে ভিড় করেছেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মোদি-শাহদের কার্যশৈলী দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, রাজ্যে রাজ্যে প্রশাসনিক শীর্ষ স্তরে নতুন মুখ তুলে আনা শুরু হয়েছে। আর তার মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা দূর করতে চাইছেন। যাতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে লোকসভা ভোটে তার প্রভাব না পড়ে। রাজ্যে নব নির্বাচিত সরকারও নতুন উদ্যম পায়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের মুখ্যমন্ত্রী কে? রাজমাতা বেঁকে বসায় রাজস্থানে ফাঁপরে বিজেপি

আপডেট টাইম : ০৮:২৯:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

বিধানসভা নির্বাচনের সাতদিন পর বিজেপি ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে দুই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেও রাজমাতা বেঁকে বসায় মরুরাজ্য রাজস্থানে জট অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূত কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জয়পুরে গিয়েও জট কাটাতে ব্যর্থ হলেন। ফলে আরও একদিন পিছিয়ে গেল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রকাশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে।

সোমবার মধ্যপ্রদেশে সকলকে চমকে দিয়ে অখ্যাত বিধায়ক তথা সাবেক মন্ত্রী মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করল গেরুয়া শিবির। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে কার্যত রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ জুটি। সাবেক কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর স্পিকার হবেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে একটি প্রবাদ চালু আছে। তা হল মোদির ডান হাত যে কাজ করে, বাঁ হাত জানতে পারে না। পরপর দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম সে কথাই প্রমাণ করল।

কিন্তু রাজস্থানেও কি তা অব্যাহত থাকবে? বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বদলে মরুরাজ্যেও কি নতুন কোনও মুখ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন? কারণ রাজমাতা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দাবি করে বসে আছেন। শিবরাজের অপসারণের সঙ্গে সঙ্গেই বড় কৌতূহল তৈরি হয়ে গেল বসুন্ধরার ভবিষ্যৎ নিয়ে। শিবরাজের অপসারণে রাজস্থানের দেওয়াল লিখন দেখতে পাচ্ছেন কেউ কেউ। বাজপেয়ী-আডবানী আমলে প্রায় একই সঙ্গে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা, রমন সিং এবং শিবরাজ সিং চৌহান। ২০০৩ সালে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বসুন্ধরা। কিছু বিরতির পর আবার ২০২০ থেকে ২০২৩। বসুন্ধরা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দুটি মেয়াদে। অর্থাৎ দশ বছর।

মঙ্গলবার রাজস্থানে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই বসুন্ধরার ভাগ্য সুনিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে মরুরাজ্যে শঙ্কা শুধু একটাই, বসুন্ধরাকে অপাঙক্তেয় করে দিতে চাইলে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না তো। কারণ, বসুন্ধরা তো শুধু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, রাজ পরিবারের রক্তও রয়েছে তার শরীরে। অনেক বিধায়ক এদিনও তার বাড়িতে ভিড় করেছেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মোদি-শাহদের কার্যশৈলী দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, রাজ্যে রাজ্যে প্রশাসনিক শীর্ষ স্তরে নতুন মুখ তুলে আনা শুরু হয়েছে। আর তার মাধ্যমে স্থানীয় স্তরে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা দূর করতে চাইছেন। যাতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে লোকসভা ভোটে তার প্রভাব না পড়ে। রাজ্যে নব নির্বাচিত সরকারও নতুন উদ্যম পায়।