ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শতাধিক আহত ভৈরবে ব্যবসায়ী কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টা ও চোখ উৎপাটনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আকবর নগর বাস স্টেশনে সামনে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপু বিশ্বাসকে যা বলেন শাকিব খান পাথরঘাটায় জামায়াতের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত বিধ্বস্তের আগে সাহায্য চেয়ে পাইলটের বার্তা, এরপর সব নিস্তব্ধ ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলল ইসলামী আন্দোলন ১৪৫ বছরে যা হয়নি, লর্ডস দেখেছে সেই কীর্তি কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৮:১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • / ৩৫১ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

আজ রবিবার (৭ মার্চ) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে এ তথ্য জানা যায়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিলো। বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন।এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান। সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় শমী কায়সারকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোনো সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’

২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বাদী স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে পরিদর্শক লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে কোনো মানহানিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদী এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দুটি মোবাইল চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

শমী কায়সার অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছেন। তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান। কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে সংবাদকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন। অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমন বক্তব্যের জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিও দেয় সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি

আপডেট টাইম : ০৮:১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

আজ রবিবার (৭ মার্চ) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে এ তথ্য জানা যায়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিলো। বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন।এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান। সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় শমী কায়সারকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোনো সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’

২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর বাদী স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে পরিদর্শক লুৎফর রহমান উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে কোনো মানহানিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদী এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দুটি মোবাইল চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

শমী কায়সার অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছেন। তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করান। কেউ ঘটনাস্থল থেকে বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে সংবাদকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হন। অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমন বক্তব্যের জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিও দেয় সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।