ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তা পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশ, নেতৃত্বে ড. ইউনূস: দ্য ইকোনমিস্ট গভীর রাতে ৭৫০ জনকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ পরিবহণসহ ৫ খাতে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ ট্রাম্পের পরোক্ষ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান পুতিনের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প

গাজায় সুড়ঙ্গের ফাঁদ আরও ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরাইল বাহিনী। সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা, হাসপাতালেও চালানো হচ্ছে হামলা। তবে স্থল অভিযানে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি ইসরাইলের। একটি টানেলে হামাসের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চার ইসরাইলি সেনা। এ ছাড়া গোলাগুলিতে আরও এক ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিহতের বিষয় নিশ্চিত করেছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় আরও পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে।

ইসরাইলি ইনেট নিউজ ওয়েবসাইট একটি সামরিক বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উত্তর গাজার বেইত হানুনে একটি বুবি-ফাঁদ টানেলে চার সেনা নিহত হয়েছে এবং আরেকজন উত্তরে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

বুবি-ফাঁদ হলো এমন একটি ডিভাইস বা সেটআপ, যা মানুষ বা অন্য প্রাণীকে হত্যা, ক্ষতি বা অবাক করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এটি শিকারের উপস্থিতি বা ক্রিয়া দ্বারা ট্রিগার হয় এবং কখনো কখনো শিকারকে এর দিকে প্রলুব্ধ করার জন্য কিছু টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি স্থল অভিযানে এখন পর্যন্ত তাদের ৪৩ সেনার মৃত্যু হয়েছে। গাজাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে প্রচণ্ড যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে সেনাবাহিনী।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার কয়েকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। জ্বালানির অভাবে গাজার প্রায় সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরাইলি বাহিনী গাজার অন্যতম আল শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে। জ্বালানির অভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সেবা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৩৭ শিশুসহ গুরুতর আহত অনেক রোগী।

আল শিফা হাসপাতাল ঘিরে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। সেখানে শত শত রোগী ছাড়াও হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেখানকার শেষ জেনারেটার বন্ধ হয়ে যায় যখন সেটির জ্বালানি শেষ হয়ে যায়।

হাসপাতালের মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া বলেন, এই স্থাপনাটি শনিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তিনি টেলিফোনে জানান, চিকিৎসার যন্ত্রপাতিগুলো সব বন্ধ হয়ে যায়। রোগীরা, বিশেষত যারা নিবিড় চিকিৎসাকেন্দ্রে ছিলেন তাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। তিনি যখন কথা বলছিলেন তখনো বন্দুকের গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে অকাতরে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে দখলদার ইসরাইল। এমন অবস্থার মধ্যে মুসলিম ও আরব বিশ্বের নেতারা সৌদি আরবে একত্রিত হয়েছিলেন। তবে সম্মেলনে ফিলিস্তিন ইস্যুতে এখনো তারা দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকা গত ৩৫ দিনে ভয়াবহ হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু এবং প্রায় তিন হাজারের বেশি নারী। নিহতদের মধ্যে প্রায় সবাই বেসামরিক এবং সাধারণ ফিলিস্তিনি। ইসরাইল যে হামাসকে নির্মূলে এই নৃশংস অভিযান পরিচালনা করছে, সেই হামাসের টিকিটিও খুঁজে পাচ্ছে না তারা। ফলে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজায় সুড়ঙ্গের ফাঁদ আরও ৫ ইসরাইলি সেনা নিহত

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরাইল বাহিনী। সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা, হাসপাতালেও চালানো হচ্ছে হামলা। তবে স্থল অভিযানে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি ইসরাইলের। একটি টানেলে হামাসের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চার ইসরাইলি সেনা। এ ছাড়া গোলাগুলিতে আরও এক ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিহতের বিষয় নিশ্চিত করেছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় আরও পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে।

ইসরাইলি ইনেট নিউজ ওয়েবসাইট একটি সামরিক বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উত্তর গাজার বেইত হানুনে একটি বুবি-ফাঁদ টানেলে চার সেনা নিহত হয়েছে এবং আরেকজন উত্তরে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

বুবি-ফাঁদ হলো এমন একটি ডিভাইস বা সেটআপ, যা মানুষ বা অন্য প্রাণীকে হত্যা, ক্ষতি বা অবাক করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এটি শিকারের উপস্থিতি বা ক্রিয়া দ্বারা ট্রিগার হয় এবং কখনো কখনো শিকারকে এর দিকে প্রলুব্ধ করার জন্য কিছু টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি স্থল অভিযানে এখন পর্যন্ত তাদের ৪৩ সেনার মৃত্যু হয়েছে। গাজাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে প্রচণ্ড যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে সেনাবাহিনী।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার কয়েকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। জ্বালানির অভাবে গাজার প্রায় সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরাইলি বাহিনী গাজার অন্যতম আল শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে। জ্বালানির অভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সেবা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৩৭ শিশুসহ গুরুতর আহত অনেক রোগী।

আল শিফা হাসপাতাল ঘিরে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। সেখানে শত শত রোগী ছাড়াও হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেখানকার শেষ জেনারেটার বন্ধ হয়ে যায় যখন সেটির জ্বালানি শেষ হয়ে যায়।

হাসপাতালের মোহাম্মদ আবু সেলমিয়া বলেন, এই স্থাপনাটি শনিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। তিনি টেলিফোনে জানান, চিকিৎসার যন্ত্রপাতিগুলো সব বন্ধ হয়ে যায়। রোগীরা, বিশেষত যারা নিবিড় চিকিৎসাকেন্দ্রে ছিলেন তাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। তিনি যখন কথা বলছিলেন তখনো বন্দুকের গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে অকাতরে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে দখলদার ইসরাইল। এমন অবস্থার মধ্যে মুসলিম ও আরব বিশ্বের নেতারা সৌদি আরবে একত্রিত হয়েছিলেন। তবে সম্মেলনে ফিলিস্তিন ইস্যুতে এখনো তারা দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকা গত ৩৫ দিনে ভয়াবহ হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু এবং প্রায় তিন হাজারের বেশি নারী। নিহতদের মধ্যে প্রায় সবাই বেসামরিক এবং সাধারণ ফিলিস্তিনি। ইসরাইল যে হামাসকে নির্মূলে এই নৃশংস অভিযান পরিচালনা করছে, সেই হামাসের টিকিটিও খুঁজে পাচ্ছে না তারা। ফলে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে।