ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন ফুলবাড়ীতে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্ভোদন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০জন প্রার্থী ব্যপক প্রচার-প্রচারণায় মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২১ মে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির মোটরসাইকেলের গনসংযোগ জনগণের ব্যাপক সাড়া জামালপুরে ধান কাটার মৌসুম শুরু

বরগুনা-১: (বরগুনা-আমতলী-তালতলী) আওয়ামী লীগের তৃণমূল চায় শম্ভুকে, নড়বড়ে বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বরগুনা-১ সংসদীয় আসনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ততই সরগরম হয়ে উঠছে। জেলার দুটি সংসদীয় আসনের ভেতরে এটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসনটি বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী উপজেলাকে নিয়ে গঠিত। প্রায় সাড়ে চার লাখ ভোটারের এ আসনে গত ১১টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৬টিতেই জয় পেয়েছে নৌকা। আর একটিতে জয় লাভ করেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এর মধ্যে পাঁচবারই জয় লাভ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দক্ষিণাঞ্চলের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তবে ২০০১ এর সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখান থেকে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রয়াত মো. দেলোয়ার হোসেন। নবগঠিত বরগুনা-১ আসনে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮- এর নির্বাচনে এখান থেকে পুনরায় পরপর তিনবার নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অনেক আগে থেকেই শক্তভাবে মাঠে রয়েছে। তবে বিএনপির প্রচার এখনও চোখে পড়েনি। ধারাবাহিকভাবে পাঁচবার নির্বাচিত হওয়ায় দলের নেতাকর্মী থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় সবাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকেই এখানে নৌকার প্রার্থী মনে করছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটানোসহ, গত পনেরো বছরে অসংখ্য উন্নয়ন করেছেন। মহামারি করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গতি কিছুটা কমে গেলেও তালতলীতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, আমতলী-পুরাকাটা পয়েন্টে পায়রা সেতুর নির্মাণকাজসহ বেশ কিছু অকল্পনীয় উন্নয়ন কর্মকাÐ তার তত্ত¡াবধানে শুরু হয়েছে, আর কিছু আছে শুরুর অপেক্ষায়। তাছাড়া তিনি বরগুনা-বাকেরগঞ্জ মহাসড়কের উন্নয়নসহ অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আদায় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রæতিও। পাশাপাশি, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এর সময়কালে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে সমগ্র জেলার উন্নয়নেই তিনি রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

তবে তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে মনোনয়নের আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবীর, বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান, এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এস এম মশিউর রহমান শিহাব, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. গাজী মো. আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন মো: শাহাবুদ্দিন সওদাগর।

এ প্রসঙ্গে শম্ভু বলেন, বরগুনা-১ আসনের সব উন্নয়ন আমার হাত ধরে হয়েছে। আমার যোগ্যতা, কর্মদক্ষতার কারণে বরগুনায় দল আমাকে বারবার মনোনয়ন দিয়েছে। এবারেও নৌকাই এখানে জিতবে ইনশাআল্লাহ্ এবং বরগুনার জনগণ আমাকে আবারও তাদের এমপি হিসেবে দেখতে চায়। তিনি আরও বলেন, গত পনেরো বছরে এখানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, আরও বেশ কিছু মেগা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান আছে, যা বাস্তবায়ন হলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বরগুনার চিত্র আমূল বদলে যাবে। এখানে পায়রা এবং বিষখালী নদীর উপরে দুটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হবে, জমি অধিগ্রহণসহ যার আনুষঙ্গিক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষপর্যায়ে রয়েছে, জাহাজ নির্মাণ শিল্প হচ্ছে, নৌবাহিনীর সুবিশাল ঘাঁটি হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় বরগুনা এবং পটুয়াখালীকে ঘিরে সিঙ্গাপুরের আদলে একটি বিশাল পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, একাধিক ইকোনমিক জোন তৈরির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি নির্বাচন করব। তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন পর্যন্ত মনোনয়ন চেয়ে আসছি। গতবার দিয়েও শেষপর্যন্ত দিতে পারলো না। তবে এখানে আমাকে না দিয়ে যদি অন্য কাউকেও দেওয়া হয়, আমি তার পক্ষে কাজ করব।

মনোনয়ন প্রসঙ্গে বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, আমি জনতার রাজনীতি করি, জনগণই আমার শক্তি। ২০১৮ সালেও আমি মনোনয়ন প্রার্থনা করেছিলাম, এ বছরও আমি একজন প্রার্থী। জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে এবং জনগণের জন্য আমি যা করেছি তা বিবেচনা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব।

বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপির অবস্থান ততটা সবল না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে কেন্দ্র করে দলটি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে এখান থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য, সাবেক এমপি মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা।

মনোনয়ন প্রসঙ্গে মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, বিগত ২০০১ সালে বরগুনা-৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে সামান্য ভোটে হারলেও সংসদীয় আসন ছেড়ে দেওয়ার পরে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। এবারও দল থেকে মনোনয়ন পেলে কর্মী-সমর্থক ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারব।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, এবার আমি এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইব। মনোনয়ন পেলে আশা করি, আওয়ামী লীগের আধিপত্যের দুর্গে হানা দিয়ে দুর্নাম ঘোচাতে সমর্থ হব।

এ আসনে জাতীয় পার্টির তেমন কোন কার্যক্রম চোখে না পড়লেও পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা জেলা কমিটির সভাপতি শাহজাহান মানসুর প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি বলেন, কেন্দ্র আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নেব এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করব।

সংযুক্তি: প্রার্থীদের ছবি।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে

বরগুনা-১: (বরগুনা-আমতলী-তালতলী) আওয়ামী লীগের তৃণমূল চায় শম্ভুকে, নড়বড়ে বিএনপি

আপডেট টাইম : ০২:২২:৪২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বরগুনা-১ সংসদীয় আসনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ততই সরগরম হয়ে উঠছে। জেলার দুটি সংসদীয় আসনের ভেতরে এটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসনটি বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী উপজেলাকে নিয়ে গঠিত। প্রায় সাড়ে চার লাখ ভোটারের এ আসনে গত ১১টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৬টিতেই জয় পেয়েছে নৌকা। আর একটিতে জয় লাভ করেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এর মধ্যে পাঁচবারই জয় লাভ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

স্বৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দক্ষিণাঞ্চলের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তবে ২০০১ এর সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখান থেকে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রয়াত মো. দেলোয়ার হোসেন। নবগঠিত বরগুনা-১ আসনে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮- এর নির্বাচনে এখান থেকে পুনরায় পরপর তিনবার নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অনেক আগে থেকেই শক্তভাবে মাঠে রয়েছে। তবে বিএনপির প্রচার এখনও চোখে পড়েনি। ধারাবাহিকভাবে পাঁচবার নির্বাচিত হওয়ায় দলের নেতাকর্মী থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় সবাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকেই এখানে নৌকার প্রার্থী মনে করছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটানোসহ, গত পনেরো বছরে অসংখ্য উন্নয়ন করেছেন। মহামারি করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গতি কিছুটা কমে গেলেও তালতলীতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, আমতলী-পুরাকাটা পয়েন্টে পায়রা সেতুর নির্মাণকাজসহ বেশ কিছু অকল্পনীয় উন্নয়ন কর্মকাÐ তার তত্ত¡াবধানে শুরু হয়েছে, আর কিছু আছে শুরুর অপেক্ষায়। তাছাড়া তিনি বরগুনা-বাকেরগঞ্জ মহাসড়কের উন্নয়নসহ অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আদায় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রæতিও। পাশাপাশি, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এর সময়কালে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে সমগ্র জেলার উন্নয়নেই তিনি রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

তবে তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে মনোনয়নের আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবীর, বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান, এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এস এম মশিউর রহমান শিহাব, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. গাজী মো. আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন মো: শাহাবুদ্দিন সওদাগর।

এ প্রসঙ্গে শম্ভু বলেন, বরগুনা-১ আসনের সব উন্নয়ন আমার হাত ধরে হয়েছে। আমার যোগ্যতা, কর্মদক্ষতার কারণে বরগুনায় দল আমাকে বারবার মনোনয়ন দিয়েছে। এবারেও নৌকাই এখানে জিতবে ইনশাআল্লাহ্ এবং বরগুনার জনগণ আমাকে আবারও তাদের এমপি হিসেবে দেখতে চায়। তিনি আরও বলেন, গত পনেরো বছরে এখানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, আরও বেশ কিছু মেগা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান আছে, যা বাস্তবায়ন হলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বরগুনার চিত্র আমূল বদলে যাবে। এখানে পায়রা এবং বিষখালী নদীর উপরে দুটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হবে, জমি অধিগ্রহণসহ যার আনুষঙ্গিক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষপর্যায়ে রয়েছে, জাহাজ নির্মাণ শিল্প হচ্ছে, নৌবাহিনীর সুবিশাল ঘাঁটি হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় বরগুনা এবং পটুয়াখালীকে ঘিরে সিঙ্গাপুরের আদলে একটি বিশাল পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, একাধিক ইকোনমিক জোন তৈরির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি নির্বাচন করব। তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন পর্যন্ত মনোনয়ন চেয়ে আসছি। গতবার দিয়েও শেষপর্যন্ত দিতে পারলো না। তবে এখানে আমাকে না দিয়ে যদি অন্য কাউকেও দেওয়া হয়, আমি তার পক্ষে কাজ করব।

মনোনয়ন প্রসঙ্গে বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, আমি জনতার রাজনীতি করি, জনগণই আমার শক্তি। ২০১৮ সালেও আমি মনোনয়ন প্রার্থনা করেছিলাম, এ বছরও আমি একজন প্রার্থী। জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে এবং জনগণের জন্য আমি যা করেছি তা বিবেচনা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব।

বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপির অবস্থান ততটা সবল না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে কেন্দ্র করে দলটি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে এখান থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য, সাবেক এমপি মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা।

মনোনয়ন প্রসঙ্গে মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, বিগত ২০০১ সালে বরগুনা-৩ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে সামান্য ভোটে হারলেও সংসদীয় আসন ছেড়ে দেওয়ার পরে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। এবারও দল থেকে মনোনয়ন পেলে কর্মী-সমর্থক ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারব।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, এবার আমি এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইব। মনোনয়ন পেলে আশা করি, আওয়ামী লীগের আধিপত্যের দুর্গে হানা দিয়ে দুর্নাম ঘোচাতে সমর্থ হব।

এ আসনে জাতীয় পার্টির তেমন কোন কার্যক্রম চোখে না পড়লেও পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা জেলা কমিটির সভাপতি শাহজাহান মানসুর প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি বলেন, কেন্দ্র আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নেব এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ করব।

সংযুক্তি: প্রার্থীদের ছবি।