ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি বর্তমান বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
  • / ৩০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

আদর্শগতভাবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত অবিচল, কিন্তু একইসাথে দেশের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বাস্তববাদী। আর এজন্য তিনি সার্বজনীন মুল্যবোধ ও নীতির ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন”

সোমবার (০১ মার্চ) অনুষ্ঠিত একটি ওয়েবিনারে এমন বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ এর যৌথ উদ্যোগে এই ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ওয়েবিনারটির প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খ্যাতিমান সাংবাদিক ও লেখক সলীল ত্রিপাঠি, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার অনার প্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনিয়র কুটনীতিক থমাস এ ডাইন এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

প্যানেল আলোচনা পর্বের সঞ্চালক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট ফর সাউথ এশিয়া স্টাডিজ এর নির্বাহি পরিচালক ড. সঞ্চিতা বি. সাক্সেনা।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি ও আদর্শ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার দেয়া প্রথম ভাষণেই প্রতিফলিত হয়েছিল। বাংলায় দেয়া সেই ভাষণ অনুসরণ করেই বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। সেই সময়ের বৈশ্বিক অর্থনীতির অসমতা দূর করতে বঙ্গবন্ধু মানুষের ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মতার শক্তির পূনর্জাগরণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আহবান আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, কভিড-১৯ অতিমারীর কারণে আজ যখন বিশ্ব উন্নয়ন ব্যবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর, ঠিক এসময়েই জাতির পিতার সেই আহ্বানের বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতির পিতার “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়” নীতি-আদর্শ উল্লেখ করে বলেন, ‘এই আদর্শই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি। এই আদর্শ অনুযায়ী ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।’

তিনি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি গতিশীল হিসেবে চিহ্নিত, বিশ্বঅঙ্গণে যার রয়েছে নিরপেক্ষতার খ্যাতি এবং উচ্চ নৈতিক অবস্থান। আর একারণেই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরেছিল বাংলাদেশ।”

লেখক ও সাংবাদিক সলীল ত্রিপাঠি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক জাতীয়তাবাদ’ এর প্রবক্তা; যার শিকড় নিহিত ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে। তার সেই ধারণা এখনকার পৃথিবীতেও বড়ই প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কুটনীতিক থমাস এ ডাইন একাত্তরের মুত্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আলোকপাত করেন। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে উন্নয়ন ও অগ্রগতির উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ সেসময়ের মার্কিন নেতৃত্বকে ভুল প্রমাণ করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

বঙ্গবন্ধু কীভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছিলেন তা বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে উল্লেখ করেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধু নীতি-আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর উপর আরো গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

ওয়েবিনারটিতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি বর্তমান বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক

আপডেট টাইম : ০৫:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

আদর্শগতভাবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত অবিচল, কিন্তু একইসাথে দেশের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বাস্তববাদী। আর এজন্য তিনি সার্বজনীন মুল্যবোধ ও নীতির ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন”

সোমবার (০১ মার্চ) অনুষ্ঠিত একটি ওয়েবিনারে এমন বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ এর যৌথ উদ্যোগে এই ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ওয়েবিনারটির প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খ্যাতিমান সাংবাদিক ও লেখক সলীল ত্রিপাঠি, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার অনার প্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনিয়র কুটনীতিক থমাস এ ডাইন এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

প্যানেল আলোচনা পর্বের সঞ্চালক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট ফর সাউথ এশিয়া স্টাডিজ এর নির্বাহি পরিচালক ড. সঞ্চিতা বি. সাক্সেনা।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি ও আদর্শ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার দেয়া প্রথম ভাষণেই প্রতিফলিত হয়েছিল। বাংলায় দেয়া সেই ভাষণ অনুসরণ করেই বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। সেই সময়ের বৈশ্বিক অর্থনীতির অসমতা দূর করতে বঙ্গবন্ধু মানুষের ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মতার শক্তির পূনর্জাগরণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আহবান আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, কভিড-১৯ অতিমারীর কারণে আজ যখন বিশ্ব উন্নয়ন ব্যবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর, ঠিক এসময়েই জাতির পিতার সেই আহ্বানের বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতির পিতার “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়” নীতি-আদর্শ উল্লেখ করে বলেন, ‘এই আদর্শই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি। এই আদর্শ অনুযায়ী ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।’

তিনি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি গতিশীল হিসেবে চিহ্নিত, বিশ্বঅঙ্গণে যার রয়েছে নিরপেক্ষতার খ্যাতি এবং উচ্চ নৈতিক অবস্থান। আর একারণেই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশের স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরেছিল বাংলাদেশ।”

লেখক ও সাংবাদিক সলীল ত্রিপাঠি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক জাতীয়তাবাদ’ এর প্রবক্তা; যার শিকড় নিহিত ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে। তার সেই ধারণা এখনকার পৃথিবীতেও বড়ই প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কুটনীতিক থমাস এ ডাইন একাত্তরের মুত্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আলোকপাত করেন। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে উন্নয়ন ও অগ্রগতির উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ সেসময়ের মার্কিন নেতৃত্বকে ভুল প্রমাণ করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

বঙ্গবন্ধু কীভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছিলেন তা বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে উল্লেখ করেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধু নীতি-আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর উপর আরো গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

ওয়েবিনারটিতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।