ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

কোয়ারেন্টাইনে যেমন আছেন ক্রিকেটাররা…

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:৪৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ২৪১ ০.০০০ বার পাঠক

খেলাধুলার রিপোর্ট।।

করোনা মহামারী মানুষের চলাফেরার স্বাভাবিক স্বাধীনতা কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রার পর এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে গেলেই কঠোর স্বাস্থ্যবিধির বেড়াজালে পড়তে হয়। আর বিদেশ সফর হলে তো কথাই নেই, তখন কোয়ারেন্টাইনের কঠোর নীতি মানতে হয়। এই মুহুর্তে নিউজিল্যান্ড সফরে তেমনই এক কঠিন সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ড পৌঁছে ৪৮ ঘণ্টা হোটেলের রুমে বন্দী থাকতে হয়েছে। এরপর করোনা টেস্টের প্রথম ধাপে নেগেটিভ হওয়ার পর আধাঘণ্টা খানেক হাঁটাহাঁটির সুযোগ মিলেছে। আজ ডানহাতি পেসার জানিয়েছেন বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের কঠোর কোয়ারেন্টাইন সময়ের অভিজ্ঞতা।

৩টি করে ওয়ানডে ও টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যাওয়ার পর এখন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। করোনা মহামারী ঠেকাতে সতর্কতা হিসেবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। প্রথম ৭ দিন কোন অনুশীলন ছাড়া প্রায় বন্দী অবস্থায় এবং আরও ৭ দিন সীমিত আকারে অনুশীলন করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। সবমিলিয়ে ১৪ দিন পর পুরোপুরি উন্মুক্ত হবে বাংলাদেশ দলের জন্য নিউজিল্যান্ডের যেকোন স্থান।

এমন বাঁধাধরা নিয়মের শৃঙ্খলে কাটানো খুব কঠিন স্বাধীনচেতা প্রবৃত্তির মানুষের জন্য। এ বিষয়ে তাসকিন বললেন, আসলে এ রকম আইসোলেশন একটি আলাদা অভিজ্ঞতা। আর আগে কখনো এভাবে সময় কাটানো হয়নি। তবে প্রথম দফা করোনা পরীক্ষায় সব ক্রিকেটার নেগেটিভ আসার পর হোটেলের রুম থেকে বেরিয়ে কাছাকাছিই কিছুক্ষণ হাঁটার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। তাসকিন জানিয়েছেন, প্রথম করোনা পরীক্ষায় সবার নেগেটিভ আসার পরে আমাদের হাঁটতে দিয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর আমরা ৩০-৪০ মিনিটের জন্য ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটার সুযোগ পেয়েছি, আবার রুমে চলে এসেছি।’

১৪ দিন পর স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে এর মধ্যেই নিজেদের ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুশীলন শুরুর সুযোগ হতে পারে। তাসকিন বললেন, আরও কিছু টেস্ট বাকি আছে। এর পর ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আমরা অনুশীলন শুরু করতে পারব। তো সব মিলিয়ে আলাদা অনুভূতি। চাইব যত দ্রুত অভিজ্ঞতাটা শেষ হোক ততোই ভাল।

এই বাঁধাধরা নিয়মনীতি মানতে হবে সবমিলিয়ে ৭ দিন। ইতোমধ্যে ৩ দিন পেরিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় কিভাবে সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা? এ নিয়ে তাসকিন বলেছেন,সময় কাটছে আসলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে (ফোনে), সিনেমা দেখে। বিসিবি থেকে আমাদের কিছু শরীরচর্চারও ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিছু কর্মসূচী দেওয়া হয়েছে রুমে যেসব শরীরচর্চা করা সম্ভব সেগুলো করার জন্য। তো সবমিলিয়ে এভাবেই সময় কেটে যাচ্ছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

মোংলায় ডে বোট অপারেটর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

কোয়ারেন্টাইনে যেমন আছেন ক্রিকেটাররা…

আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:৪৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

খেলাধুলার রিপোর্ট।।

করোনা মহামারী মানুষের চলাফেরার স্বাভাবিক স্বাধীনতা কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রার পর এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে গেলেই কঠোর স্বাস্থ্যবিধির বেড়াজালে পড়তে হয়। আর বিদেশ সফর হলে তো কথাই নেই, তখন কোয়ারেন্টাইনের কঠোর নীতি মানতে হয়। এই মুহুর্তে নিউজিল্যান্ড সফরে তেমনই এক কঠিন সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ড পৌঁছে ৪৮ ঘণ্টা হোটেলের রুমে বন্দী থাকতে হয়েছে। এরপর করোনা টেস্টের প্রথম ধাপে নেগেটিভ হওয়ার পর আধাঘণ্টা খানেক হাঁটাহাঁটির সুযোগ মিলেছে। আজ ডানহাতি পেসার জানিয়েছেন বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের কঠোর কোয়ারেন্টাইন সময়ের অভিজ্ঞতা।

৩টি করে ওয়ানডে ও টি২০ ম্যাচের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যাওয়ার পর এখন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। করোনা মহামারী ঠেকাতে সতর্কতা হিসেবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। প্রথম ৭ দিন কোন অনুশীলন ছাড়া প্রায় বন্দী অবস্থায় এবং আরও ৭ দিন সীমিত আকারে অনুশীলন করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। সবমিলিয়ে ১৪ দিন পর পুরোপুরি উন্মুক্ত হবে বাংলাদেশ দলের জন্য নিউজিল্যান্ডের যেকোন স্থান।

এমন বাঁধাধরা নিয়মের শৃঙ্খলে কাটানো খুব কঠিন স্বাধীনচেতা প্রবৃত্তির মানুষের জন্য। এ বিষয়ে তাসকিন বললেন, আসলে এ রকম আইসোলেশন একটি আলাদা অভিজ্ঞতা। আর আগে কখনো এভাবে সময় কাটানো হয়নি। তবে প্রথম দফা করোনা পরীক্ষায় সব ক্রিকেটার নেগেটিভ আসার পর হোটেলের রুম থেকে বেরিয়ে কাছাকাছিই কিছুক্ষণ হাঁটার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। তাসকিন জানিয়েছেন, প্রথম করোনা পরীক্ষায় সবার নেগেটিভ আসার পরে আমাদের হাঁটতে দিয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর আমরা ৩০-৪০ মিনিটের জন্য ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটার সুযোগ পেয়েছি, আবার রুমে চলে এসেছি।’

১৪ দিন পর স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে এর মধ্যেই নিজেদের ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুশীলন শুরুর সুযোগ হতে পারে। তাসকিন বললেন, আরও কিছু টেস্ট বাকি আছে। এর পর ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আমরা অনুশীলন শুরু করতে পারব। তো সব মিলিয়ে আলাদা অনুভূতি। চাইব যত দ্রুত অভিজ্ঞতাটা শেষ হোক ততোই ভাল।

এই বাঁধাধরা নিয়মনীতি মানতে হবে সবমিলিয়ে ৭ দিন। ইতোমধ্যে ৩ দিন পেরিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় কিভাবে সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা? এ নিয়ে তাসকিন বলেছেন,সময় কাটছে আসলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে (ফোনে), সিনেমা দেখে। বিসিবি থেকে আমাদের কিছু শরীরচর্চারও ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিছু কর্মসূচী দেওয়া হয়েছে রুমে যেসব শরীরচর্চা করা সম্ভব সেগুলো করার জন্য। তো সবমিলিয়ে এভাবেই সময় কেটে যাচ্ছে।