ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
না.গঞ্জে বাবু-ফকিরের অপরাধ সাম্রাজ্যের পাহারায় বিএনপি নেতা সুমন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ শিশু সন্তানসহ বাবার মৃত্যু কোনো মার্ডার পুলিশের গুলিতে হয়নি, কিলিং এজেন্ট ছিল: শেখ হাসিনা মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রুহুল আমিন দুলালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন নবীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’, থানার ভেতরই একজনকে হত্যা করল পুলিশ নির্বাচন ব্যবস্থা, দুদক ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে যা বললেন কমিশন প্রধানরা বরগুনায় মামলা করে হুমকিতে বাদী” জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন তানভীরের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস ডিএমপির ডিবি অফিসার রাকিবের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একাধিক অভিযোগ: সঠিক তদন্তের দাবি আগৈলঝাড়ায় ট্রাক ইজিবাইক সংঘর্ষে নিহত ২

কিউলেক্স মশা নিধনে দু’সপ্তাহের মধ্যে নতুন কীটনাশক : মেয়র তাপস

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৪:৫৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • / ২৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে কীটনাশক প্রয়োগে সুফল পাওয়া গেছে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস । কিউলেক্স মশার জন্য তা কার্যকর হয় না। সেজন্য কীটনাশক পরিবর্তন করছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন কীটনাশক চলে আসবে। সেটা আমরা কিউলেক্স মশার জন্য ব্যবহার করব। কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ার যে অভিযোগ আসছে, সেটারও নিরসন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মোহাম্মদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত করপোরেশনের বোর্ড সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। এটি দ্বিতীয় পরিষদের ষষ্ঠ বোর্ড সভা।

শীত মৌসুমে কিউলেক্স মশার উপদ্রব কিছুটা বাড়ে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে এখনও এত বেশি ছোট ছোট বদ্ধ জলাশয় রয়েছে, যেগুলো আমাদের নাগালের বাইরে। এজন্য সে সকল জায়গা থেকে মশা বৃদ্ধি পেয়ে বিস্তার লাভ করে এবং প্রজনন ছড়ায়।

শেখ তাপস আরও বলেন, মশার ওষুধ বা কীটনাশকের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্য আমরা বারবার পরীক্ষা করাই। এতো বার পরীক্ষা করাই যে, সবাই অতিষ্ঠ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও যখনই অভিযোগ পাই, তখনই আমরা পরীক্ষা করাই। তাই আমাদের এই মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা- সেটা আপনাদেরকে তদারকি করতে হবে।

ডিএসসিসি’র কোথাও জলবদ্ধতা হতে দেব না—কাউন্সিলরদের এই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, মহামারির মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রত্যয় নিয়ে কাজ করায় সফলতা এসেছে। আমরা প্রত্যয় নিয়ে কাজ করলে ইনশাআল্লাহ জলাবদ্ধতা নিরসনও করতে পারব।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে আপনারা সজাগ থাকবেন। বৃষ্টি হলে যে ওয়ার্ডের যেখানে পানি জমবে, আপনারা সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে জানাবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

যথাযথভাবে রাজস্ব আয় না হলে করপোরেশনের সক্ষমতা বাড়বে না উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণের মূল ক্ষেত্র হলো হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স। এই জায়গাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। আমরা রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ইতোমধ্যেই টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছি। তাই আপনাদের নেতৃত্বে কোনো হোল্ডিং যাতে বাদ না পড়ে, কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত না হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।’

বোর্ড সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী ৯ সদস্যবিশিষ্ট ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা’ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস একে একে কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত সকলে একযোগে তা অনুমোদন করেন।

সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মুনান হাওলাদার, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কিউলেক্স মশা নিধনে দু’সপ্তাহের মধ্যে নতুন কীটনাশক : মেয়র তাপস

আপডেট টাইম : ০৪:১৪:৫৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে কীটনাশক প্রয়োগে সুফল পাওয়া গেছে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস । কিউলেক্স মশার জন্য তা কার্যকর হয় না। সেজন্য কীটনাশক পরিবর্তন করছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন কীটনাশক চলে আসবে। সেটা আমরা কিউলেক্স মশার জন্য ব্যবহার করব। কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ার যে অভিযোগ আসছে, সেটারও নিরসন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মোহাম্মদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত করপোরেশনের বোর্ড সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। এটি দ্বিতীয় পরিষদের ষষ্ঠ বোর্ড সভা।

শীত মৌসুমে কিউলেক্স মশার উপদ্রব কিছুটা বাড়ে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে এখনও এত বেশি ছোট ছোট বদ্ধ জলাশয় রয়েছে, যেগুলো আমাদের নাগালের বাইরে। এজন্য সে সকল জায়গা থেকে মশা বৃদ্ধি পেয়ে বিস্তার লাভ করে এবং প্রজনন ছড়ায়।

শেখ তাপস আরও বলেন, মশার ওষুধ বা কীটনাশকের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্য আমরা বারবার পরীক্ষা করাই। এতো বার পরীক্ষা করাই যে, সবাই অতিষ্ঠ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও যখনই অভিযোগ পাই, তখনই আমরা পরীক্ষা করাই। তাই আমাদের এই মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা- সেটা আপনাদেরকে তদারকি করতে হবে।

ডিএসসিসি’র কোথাও জলবদ্ধতা হতে দেব না—কাউন্সিলরদের এই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, মহামারির মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রত্যয় নিয়ে কাজ করায় সফলতা এসেছে। আমরা প্রত্যয় নিয়ে কাজ করলে ইনশাআল্লাহ জলাবদ্ধতা নিরসনও করতে পারব।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে আপনারা সজাগ থাকবেন। বৃষ্টি হলে যে ওয়ার্ডের যেখানে পানি জমবে, আপনারা সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে জানাবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

যথাযথভাবে রাজস্ব আয় না হলে করপোরেশনের সক্ষমতা বাড়বে না উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণের মূল ক্ষেত্র হলো হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স। এই জায়গাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। আমরা রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ইতোমধ্যেই টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছি। তাই আপনাদের নেতৃত্বে কোনো হোল্ডিং যাতে বাদ না পড়ে, কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত না হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।’

বোর্ড সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী ৯ সদস্যবিশিষ্ট ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা’ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস একে একে কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত সকলে একযোগে তা অনুমোদন করেন।

সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মুনান হাওলাদার, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।